পাতা:স্বর্গীয় মহাকবি কালিদাসের জীবন বৃত্তান্ত - গিরীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>\ー)● - কালিদাস উপন্যাস । বোধ হয় বাস করবেন। হিংস্ৰক পশুরা ও ঘৃণিত মানব অপেক্ষা উচ্চ, রাজকন্যা কেন এ প্রকার গহিত কাৰ্য্য করিল। “হা, জগদীশ” (, মহারাজের চিত্ত দাহ অসহ্য হইয়া উঠিল । সহসা তিনি শয্যা হইতে উঠিয়া জানালার দিকে আসিলেন এবং বাহিরের চতুর্দিকে অবলোকন করিয়া প্রচণ্ড বেগে জানালাটি বন্ধ করিয়া দিলেন । একখানা শারদী বঞ্চন শব্দে পড়িয়া চুর্ণ হইয়া গেল । আবার শয্যায় গিয়া শয়ন করিলেন । উঃ—এই শব্দটি উচ্চারণ করিয়া আবার উঠিয় দাড়াইলেন । যেন হৃদয় গহবরের অপরিমিত শোকোচ্ছাস বলপুৰ্ব্বক বাহির করিয়া দিলেন । পরে দুই হস্তে নয়ন যুগল আচ্ছাদিত করিয়া অবনত মস্তকে একখানি পালঙ্গে বসিয়া পড়িলেন, দর বিগলিত অশ্রুধারা, তাহার কপোল দ্বয় বাহিয়া ভূতলে পড়িতে লাগিল । . এমন সময়ে দ্বারে করাঘাত হইল । মহারাজ নয়নমুছিয়া ধীরে ধীরে আসিয়া দ্বার খুলিয়। দেখিলেন, রাণীর একজন পরিচারিক । পরিচারিক সভয়ে নিবেদন করিল । ম। রাণীর অত্যন্ত পীড়া হইয়াছে । মহারাজ অন্তঃপুরে আসিয়া দেখিলেন রাণী লুষ্ঠিত কুল । কেশ পাশা ধূলি ধুনরিত কলেবর মুস্থিত। ভূতলে পড়িয়া আছেন । নির্দয় তাড়নে কপাল দেশের মাংস স্থানে স্থানে ফুলিয়া ফোটক কার ধারণ করিয়াছে। এবং সেই মাংসপিণ্ড সকল ফুটিয়৷ বিন্দু বিন্দু রক্ত ঝরিতেছে । পুত্ৰীগতা-প্রাণ।” “একমাত্র কন্যা” বিরহ বিধুর। রাণীর শোচনীয় অবস্থা দর্শনে মহারাজের হৃদয় ফাটিয়া গেল । তিনি ক্ষিপ্ত হস্তে সুবাসিত বারি ও অন্যান্ত শীতল দ্রব্য লইয়। রণীর মুখে সিঞ্চন করিলেন এবং নিজ হস্তে র্তাহাকে বীজন করিতে লাগিলেন।