পাতা:স্বর্গীয় মহাকবি কালিদাসের জীবন বৃত্তান্ত - গিরীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই কথা বলিলেন বটে কিন্তু ঐশ্বরীক কি মায়াশক্তি ধে কিছুতেই ভুলিতে পারিতেছেন না, পুনঃ পুনঃ ঐ কথা আবার সখিকে জিজ্ঞাসা করিলেন যে তোমার দিদিমণি আমার নাম সখি । বিলক্ষণ, আপনার নাম শুনে তিনি একটু সুস্থির । ছয়ে বসে আছেন, আজ দেখি, কি, পুস্তক লইয়ে পড়তে বলেছেন । কালিদাস । তুমি আপন ইচ্ছায় এখানে এলে না কি ৷ তোমার দিদিমণি পাঠাইলেন । । সখি । রাজবাটীর কথা হুকুম ভিন্ন কি কারু কোথাও দাবার খো আছে, রাণীম। আমাকে পাঠাইয়। দিলেন দিদি ও ঘে খানে ছিলেন । । কালিদাস । ঠাকুর বাড়ী নিয়ে যথেষ্ট অপমান করা হইয়াছে এ সব কথা কাল রাজ কাছারিতে বলিব, দেখি রাজা কি বলেন, এ প্রকার অপমান সহ্য করিয়া যে শ্বশুর বাড়ী থাকা তা পারব ন। এখন আমার বিবাহের ভাবন নাই, দা, কুঠারে যখন বিবাহ হইয়াছে তখন এখন ত দিগ্বিজয়ী পণ্ডিত একজন, আমাকে যে শাস্ত্র দিবে তাহারই অর্থ করিয়া দিব । তবে সত্যবর্তী বিদ্যা বিষয়ে বিশেষ নিপুণ। এই জন্য একটু চেষ্টা করছি না হলে করতাম না । এই প্রকার আক্ষেপ করতে করতে ক্রমে অধিক রাত্রি হলো ও দিকে সখি ও চলে গেল । কালিদাস কি করেন লখন বসে কখন বা শুয়ে রাত্রি প্রভাত কল্লেন । ক্রমে তিন দিবস উপস্থিত, ^কিন্তু বিছানা থেকে উঠতে পাল্লেন মা । কারণ ভারি অসুখ, সমস্ত শরীর ভার, মাথা যেন কলসীর মত ভারি, হাত প। অবশ, গাত্রে ও উত্তাপ হয়েছে, স্পষ্ট জ্বর, রুসনা বিরস, অমুখের কথা কাহাকে বলিব, নিকটে কেহই নাই, কিছু বিষন্নভাবে রহিলেন,