পাতা:স্বর্গীয় মহাকবি কালিদাসের জীবন বৃত্তান্ত - গিরীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালিদাস উপন্যাস। ১৯s দেখবার সামগ্রী কি কি আছে, একদিন জমির প্রায় ও । ৭ ঘণ্টা বেড়িয়ে বেড়িয়ে দেখে এসেছি, কিন্তু যতদূর শুনা গেছে তাহার কোন অংশই দেখা যায় না, পরিচয়ে প্রকাশ হল, ঐ ভদ্রলোকটি আগস্তুক নগর বাসী নহেন, তাহার পরে কালিদাস বল্লেন দেখবার যে সকল জিনিস তাই ভগ্ন বা লোপ হইয়। গিয়াছে, এখানকার পুর্ণ অবস্থা শুনতে লোকের মত আহলাদ হত এথম তার কিছুই নাই, তবে পৃথিবী, নগর নাম ধারণ করে বসে আছেন, এই কথা বলে ভদ্রলে কটকে সঙ্গে নিয়ে অনেক ঘুরে ফিরে কবিরাজের বাসায় এলেন, বাসায় বলে বল্লেন তবে অন্তত রহস্য শ্রবণ করুণ এই কথা বলে কালিদাস গল্প আরম্ভ কলেন | যথা – হায়দারাবাদের পূর্ব নবাব আসক উদ্দৌলা নামক বাদসা নপুংস ছিলেন, সুতরাং তার সন্তান সন্ততি কি প্রকারে হইবে, কিন্তু সে কোন রমণী, শিশু কোলে লয়ে তার কাছে গিয়ে বলতে ‘নবাব সাহেব”এ সন্তানটা আপনার, এবং আপনার ঔরষে ও আমার গর্ভে এটর জন্ম হইয়াছে, এই কথা বল্লে, তাকে অন্তঃপুরে রেখে বেগম ও সস্তান বলে পরিচয় দিতেন, ঐ প্রকারে তার অনেক সস্তান ও অনেক বেগম হয়েছিল, তার হায়দারাবাদের মধ্যে বড় সেখীন লোকছিলেন, প্রতিদিন দাসীদিগের এক এক জনকে বিবুহি দিতেন, আপনি সন্তান প্রসব করছি বলে এক এক দিন মৃতিকগারে প্রবেশ হতেন, এক মাস যাবৎ সুতিকাগারে থেকে ঔষধ পথ্য সেবন করে, বাহিরে এসে পুত্রোৎসব কৰ্বেন, এবং ইংরাজের বিৰি অনেক গুলি বিবাহ করেছিলেন অন্তঃপুর মধ্যে তাদের বাসস্থান ছিল, বা দল ঐ মহলকে বিলিতি মহল বলে আদর কৰ্ত্তেন, বিবাহিত পাটরাণীর সহিত বিশেষ দ্বন্দছিল, বেগমের গৰ্ত্তঙ্গাত পুত্রকে ত্যজ্য করে রেখেছিলেন, সময় সময় কৃষ্ণলীলা ।