পাতা:স্বর্গীয় মহাকবি কালিদাসের জীবন বৃত্তান্ত - গিরীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালিদাস উপন্যাস। ১৬৫ এদিকে রাজপতা সাজান হয়েছে আর অনেক জায়গার পণ্ডিত সকলে এসে পৌছেছেন । বোধ হয় পরস্ত তারিখে বিচারের দিন ধাৰ্য্য হয়েছে এই সকল কথা বলে পুরোহিত চলে গেলেন । এদিকে “প্রদোশে রজনী মুখং" নিশা আগত স্বচ্ছ চক্রের মনোহর ছবি প্রতি বিস্থিত হচ্চে” দৃশু চমৎকার । কালিদাস সায়ং কার্য্য সমাপন করে বসে আছেন, এমৎসময় দাসী দুইজম এসে জল খাবার দিয়ে কথা বাৰ্ত্ত কয়ে চলে গেল, কালিদাস আপন মনে বসে দেবীর স্তব পাঠ করিতেছেন আর সত্যবতীকে কতক্ষণে পাইবেন সেই দিন গুনিতেছেন । যদিও সন্ধ্য। অনেক ক্ষণ আ ক্রীত হইয়াছে বটে, কিন্তু বর্ষা কালে গগন মণ্ডল ঘন ঘটা সমাচ্ছন্ন থাকতে, রাত্রি আরও অধিক হইয়াছে বলিয়া প্রতীতি হইতেছে । প্রকৃতির ভয়ঙ্কর গভীর তমসাছন্ন ভাব দেখিলে, নিভাঁকের ও হৃদয়ে ভয়ের সঞ্চার হয়, এই সময়ে একট চতুর্দশ বর্ষীয়া বালিকা তুঙ্গ সৌধের এক উন্নত প্রকোষ্ঠের বাতায়নে বসিয়া রজনীর ভয়ঙ্কর অবস্থা নিরীক্ষণ করিতেছেন । সৌধের তলে প্রাচীর বেষ্টিত একটি প্রশস্ত উদ্যান আছে, কিন্তু অট্টালিকার নিম্ন প্রদেশে উদ্যান, বা রাজমাগ, অথবা পরিস্কত ভূমি কিম্বা অন্য কোন পদার্থ ও আছে, ঘোর অন্ধকার বশতঃ তাঙ্গ নির্ণীত হইতেছে না । কেবল পবন হিপ্পোল সঞ্চালিত রক্ষ পত্রের মর মর তর তর শব্দ চলিতেছে, নিচয় আশ্রিত ঝিল্লিগণের অবিচ্ছিন্নতার ঝঙ্কার, আর उनTाब মধ্যস্থ সরসী চর ভেকগণের উল্লাস ধ্বনি অট্র নিম্নস্থ ক্রীড়া কাননের অস্তিত্ব জ্ঞাপন করিতেছে । নিঃশব্দে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি কণা পড়িতেছে, এবং মধ্যে মধ্যে বিড় তিস্করণ হইতেছে, যুবতীর মনে কি ভাবের উদয় হইল, তিনি সহদা উচ্চারণ করিলেন । 尊