পাতা:স্বর্গীয় মহাকবি কালিদাসের জীবন বৃত্তান্ত - গিরীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালিদাস উপন্যাস । و یاد , “ন। আমা হইতে হইবে না এ দুঃসাহসিকতায় কাজ নাই । চোর ডাকাতের মেয়েরাও এমন কাৰ্য্য করিতে পারে না । সহসা তাড়িতালে’কে দিক প্রকাশিত তই ল, কালিদাস স্পষ্ট দেখিতে পাইলেন, যেন দুই ব্যক্তি উদ্যান প্রাচীরের ভিতর দিকে দাড়াইয়া কথা কহিতেছে, পরক্ষণে দৃশ্যটি অন্ধকারে মিশাইয়া গেল । কালিদাস তখন বুঝিতে পারিলেন না যে, ব্যক্তিদ্বয় কে ? তাহার মনোভাবের পরিবর্তন হইল । কি করেন শূন্ত গৃহে আছেন কারণ— “মগৃহং গৃহ মুচ্যেত গৃহিণী গৃহমুচ্যতে” . যাহার গৃহে গৃহিণী নাই তাহার শূন্ত গৃহ মাত্র, এই প্রকার চিন্তা করিত্বে করিতে ক্রমে রাত্রি শেষ হইয়া গেল । নভোমণ্ডল ঘন মেঘে সমাচ্ছন্ন সমস্ত রান্ত্রি মুষলের ধারে রষ্টি হইয়াছে । এখন ও টিপ টুপ টাপ বৃষ্টি পড়িতেছে, মধ্যে মধ্যে প্রারট বায়ু সর্ণ স শব্দে রক্ষ শাখা আন্দোলন করিয়া এক দিক হইতে আসিয়া অপর দিকে প্রধাপিত করিতেছে। সন্ধ্যা হইতে কালিদাস ষে কত, কি, ভাবিয়াছেন, তাহা কে বলিতে পারে, সমস্ত রাত্রি বিপরীত দিগধাবিত চিন্তা তরঙ্গমালা র্তাহার হৃদয় তটে আঘাত প্রত্যাঘাত করিয়াছে । এখনও তাহান মনের অবস্থা তথৈব । - so পূর্ণ গগনে তুর্য্যকিরণের আভা দেখা দিল মেঘ না থাকিলে হয়ত এতক্ষণে জগৎ আলোকময় হইত । দুই চারিটি পক্ষী কলরব করিতে লাগিল রষ্টির জন্ত নগর বাসীরাও এখনও গৃহের বাহির হয় নাই । ঠাকুর বাটীর দ্বার খোলা রহিয়াছে এবং গৃহের অভ্যন্তর হইতে সন্মার্জনী সঞ্চালনের শব্দ আলিতেছে । এমন সময় কালিদাস শয্যা হইতে উত্থিত হইয়া লেীচ কাৰ্য্য সম্পন্ন করার জন্য বাহিরে গমন করিলেন এদিকে উষা বায় ।