*१२ : .# কালিদাস উপন্যাস। বাণ-বিদ্ধ হইতে থাকে ? যখন আমরা সেই অসহ গ্লানিতে ক্ষs বিক্ষত হইয়া বাণ-বিদ্ধ হরিণের ন্যায় চতুৰ্দ্ধিক অন্ধকার দেখিতে থাকি তখন আমাদের সম্মুখে উদ্যত বজের ন্যায় কাহার রুজ মূর্তি প্রকাশ পায় ? কিন্তু সে সময়ে ঈশ্বরের স্নেহ কি আমরা অনুভব করিতে পারি না ? যখন তাহার দণ্ড ভোগ করিয়া র্তাহার নিকটে ক্ৰন্দন করি এবং ক্রমে যখন সেই পাপ হইতে মুক্ত হইয়। অল্পে অল্পে আত্মপ্রসাদ লাভ করিতে থাকি তখন কি উাহার স্নেহ আমরা অনুভব করিয়া কৃতজ্ঞতা তাহার পদে প্রণিপাত করি না ? আমরা ঘোর পাপী হইয়াও ঈশ্বরের করুণাতে পাপ-যন্ত্রণা হইতে মুক্ত হইতে পারিতেছি । এখানে অবাধ্য দুষ্ট পুত্রকে ত্যজ্য পুল করিয়া তাহার প্রতি পিতা আর मृष्टि করেন না , কিন্তু ঈশ্বরের কি সেই প্রকার ত্যজ্য পুত্ৰ আছে ? এমন কি কোন পাপায়। থাকিতে পারে, যাহাকে ঈশ্বর ত্যজ্য পুত্ৰ বলিয়। একেবারে পরিত্যাগ করেন ? কখনই না । তিনি ঘোরতর পাপীদিগেরে লৌহ-বদ্ধ হৃদয়-দ্বার ভেদ ফরিয়। তাহতে প্রবেশ করেন এবং উপযুক্ত মতে সহস্ৰপ্রকার দণ্ড বিধান দ্বারা অবশেষে তাহাকে পুনৰ্ব্বার আপন ক্ৰোড়ে আনয়ন করেন । তিনি রুদ্র মূৰ্ত্তি ধারণ করেন ৩নি দও বিধান করেন. তিনি আত্মপ্লানি-রূপ তীব্ৰ কয় দ্বার পাপাশ্রিত হৃদয়কে কৰ্ত্তন করেন, ষে আমরা পাপ-পথ পরিত্যাগ করিয়া তাহার অমৃত ক্ৰোড়ের আশ্রয় লই । যদি আমাদের আত্ম হইতে পাপ-মলা প্রক্ষালিত না হয় , তবে যেমন সমল আদশে প্রতিবিম্ব পতিত হয় না, সেই প্রকার অfমাদের আত্মাতে ও ঈশ্বরের স্বরূপ প্রতিভাত হয় না , এ নিমিত্তে তিনি অগ্রে দণ্ড বিধান করিয়া আমাদের পাপু মলা-সকল দূরীভূত করেন, । পরে ভাস্কার প্রীতি পুর্ণ দক্ষিণ মুখে দৰ্শন দিয়া আমারদিগকে
