পাতা:স্বর্গীয় মহাকবি কালিদাসের জীবন বৃত্তান্ত - গিরীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯ কালিদাস উপন্যাস । । তাহার স্তায় । তাহার দণ্ড কেবল আমাদিগকে তাহার সৎপথে আনিবার উপায় মাত্র । তিনি আমারদের মুখ-দাতা, মঙ্গলদাতা, মুক্তি-দাতা । তাহারি প্রসাদে অনন্ত জীবন ধারণ করিয়া উচ্চৈঃস্বরে তাহারি মহিমা গান করিতেছি। দেখ, ঈশ্বরের কি করুণা। আমরা ঘোর পাপেতে জড়ীভূত থাকিলেও তিনি আমার দিগকে তাহা হইতে মুক্ত করিতেছেন । তাহার করুণা উপলব্ধি করিয়া এসে আমরা সকলে একত্র হইয়া তাহার পদতলে স্বীয় স্বীয় হৃদয়ের সদঃপ্রস্ফুটিত প্রীতি-পুপ বিকীর্ণ করি ; তাহার পদতলের ছায়াতে এই উত্তপ্ত গাত্রকে শীতল করি ; সংসারদাবানলে আমারদের আত্মা দগ্ধ হইয়। গিয়াছে, তাহার নিকটে কাতর মনে প্রার্থনা করি, তিনি আমাদের আত্মাতে আত্ম প্রসাদ-রূপ শীতল বারি বর্ষণ করিবেন। এলো এই সময়েই আমরা তাহার অমৃত হ্রদে অবগাহন করিয়া “হৃদয়-থাল-তার প্রীতিপুপহার” তাহাকে প্রদান করি, তিনি প্রসন্ন হইয়া এখনি তাহা গ্রহণ করুন । - - ও একমেবাদ্বিতীয়ং রাজবাটীর সকলের অন্তঃকরণ স্ফৰ্ত্তিতে পরিপূর্ণ। কালিদাসেয় যে কত গুণ স্ফৰ্ত্তি হইয়াছিল তাহা তিনিই জানেন তখন মহারাজা আদেশ করিলেন যে বিবাহের শণ্ডিকা লমাপন করিয়া বরপাত্ৰ কালিদাস কে সত্যবতীর মহলায় লইয়া शों 3 ।। মহারাজের আদেশ মতে কুশণ্ডিকা সম্পন্ন হইয়া স্বারস্বত কুণ্ডের জল লইয়। সত্যবতীর মহলায় বরপাত্র কালিদাস স্বীয় পত্নীর নিকট গমন করিলেন । এখন শয়নাগার দ্বারদেশে অসিয়া উপস্থিত হইলেন । তখন তৎপত্নী অগ্রে পতির অপমান করিয়া, পশ্চাৎ পরিতপ্ত রূপ কল