কালিদাস উপন্যাস । وعد কথিত আছে একজন সন্ন্যাদী রাজার নিকট প্রত্যহ আসিয়া একটী শ্ৰীফল উপঢৌকন স্বরূপে প্রদান করিত, রাজা ঐ ফল গ্রহণ করিয়া ভাণ্ডারে রাখিবার নিমিত্ত মন্ত্রিহস্তে সমপণ করিতেন। একদিবস দৈবাৎ ঐ লোভনীয় ফল এক বানরের হস্তুে অপর্ণ দলিয়ছিলেন তাহাতে কপির দুস্তাঘাতে ফল ভাঙ্গিয় । ফেলিলে তাহার অন্তর হইতে মণি মার্ণীক্য ভূমিতে পড়িতে লাগিল নরপতি তাহা দেখিয়া অত্যন্ত বিস্ময়াপন্ন হইলেন এবং পর দিবস তাপদ আদিলে ঐ আশ্চৰ্য্য উপঢৌকনের বৃত্তান্ত জিজ্ঞাসা করিলেন, তাহাতে সন্ন্যাসী তাহকে কহিল যদি এ বিষয়ের তথ্য জানিতে স্বাঞ্ছ। করেন তবে আমার সহিত আগমন করুণ, রাজ। তাহাতে সম্মত হইলে এক নির্দিষ্ট দিবসে তাহাকে কালিকাদেবীর মন্দিরে লইয়। গেল সন্ন্যাসীর মানস ছিল যে ঐ নিভূত স্থানে রাজকে একাকী পাইয়। র্তাহার মস্তক ছেদন পূৰ্ব্বক তাল বেতাল সিদ্ধ হইবে কিন্তু বেতালের সাহায্যে রাজা স্বয়ং কালীর নিকট সন্ন্যালির শিরচ্ছেদ করিয়া তাল বেতাল সিদ্ধ হইলেন এবং এই প্রভাবে যাহ। মনে করিতেন তা হাই করিতে পারিতেন ঐ সময়ে বেতাল রাজাকে যে পঞ্চবিংশতি উপাখ্যন কহে তাহা বেতাল পঞ্চবিংশতি নামক পুস্তকে বর্ণিত আছে । আরও কথিত আছে কোন সময়ে ইন্দ্রের সভাতে রক্ত ও উৰ্ব্বশীর মধ্যে গুণের তারতম্য বিষয়ে বিবাদ হইলে তাহার মীমাংসাৰ্থ বিক্রমাদিত্য আহত হইয়াছিলেন তিনি তদ্বিষয়ের যে সমাধা করেন ইন্দ্র তাহাতে তুষ্ট হইয়া তাহাকে দ্বাত্রিংশং পুত্ত{লক। বাহিত সিংহাসন প্রদান করেন, বিক্রমাদিত্য ঐ সিংহাসনে বলিয়৷ বহুকাল পর্য্যন্ত রাজত্ব করিয়াছিলেন । বর্ণিত আছে ঐ সিংহাসনের অদ্ভুত ঐন্দ্রজালিক শক্তি ছিল, যে ব্যক্তি তাহাতে বসিতেন তিনি স্বভাবতঃ সদ্বিচার করিয়া সকলকে সন্তুষ্ট করিতে
