4 o' কালিদাস উপস্যাস । পণ্ডিতেরা কহিলেন সে কন্যা অতিশয় বুদ্ধিমতী, আমরা এই যুবককে গুরু বলিয়। স্বীকার করিলেই বা সে তাহা বিশ্বাস করিবে কেন ? যুবকের কছিলেন আমরাও সেই সন্দেহ করিয়া এই মুখকে উপযুক্ত সঙ্কেত করিতে শিখাইয়াছি। যদি সত্যবতী ইহার বয়স অল্প দেখিয়া যদি কোন কথা উত্থাপন করে, এ ব্যক্তি তৎক্ষণাৎ সেই সঙ্কেত করি বে। আমরা সেই সঙ্কেতের অর্থ করিয়া দিব, এবং আপনারাও সেই সময়ে আমাদের সহায়তা করিবেন | সকলে এইরূপ পরামর্শ করিয়া পরদিন প্রাতঃকালে মুখকে বিচার-স ভায় লইয়া যাওয়া স্থির করিলেন । পরদিন প্রাতঃকালে রদ্ধ পণ্ডিতেরা একে একে মহারাজা প্ৰবন্ধ পাঠ দুরের বাটতে আসিতে লাগিলেন । মহারাজ ও র্তাহ:দিগকে যথেষ্ট সমাদর করিলেন । সকলে সমবেত হইলে তাহারা ধ্বান্ধারাজকে কহিলেন যে অদ্য এক সুপণ্ডিত যুবক আপনার কন্যার সহিত বিচার করিতে আসিতেছেন । যদি তাহার নিকট সত্যবতী পরাজিত হন, তাহা হইলেই তাহার বিবাহ হইবে, নচেং এ দেশে এমন স্থপণ্ডিত আর কেহই নাই যে তিমি সত্যবতীকে পরাজয় করিতে পারি বেন । মহারাজা, কন্যার বিবাহের জন্য বিশেষ ব্যতিব্যস্ত হইয়া উঠিয়াছিলেন, তিনি ভট্টাচার্য । দিগের কথা শুনিয়া অতিশয় আহিলাদিত হইলেন । বিশে", ৬ঃ ঈদৃশ প্রাচীন পণ্ডিতগণ সত্যবতীর সহিত যুবকের বিচার শুনিতে আসিয়াছেন দেখিয়া তিনি মনে মনে স্থির করিলেন যে এই যুবক প্রকৃতই সুপণ্ডিত হইবেন । এদিকে যুবাপণ্ডিতগণ সেই মুখকে স্নান করাইয়া ও পট্টবস্ত্র পরিধান করাইয়। সভায় লইয়। আসিলেন । মূখ সভায় প্রবেশ করিবামাত্র বৃদ্ধ পণ্ডিতগণ স সম্ভমে উঠিয়া তাহাকে বসাইলেন ও কেহ দক্ষিণে, কেহ বামে, কেহ বা পশ্চাদ্ভাগে উপবেশন করি
