१९ কালিদাস উপন্যাস । হইবে । শাস্ত্রার্থ ব্যাখ্যার যে কয়টি উপায় নির্দিষ্ট আছে, অভি নয় তাহার মধ্যে একটি উপায় । যখন তুমি সেই অভিনয় বুঝিতে পারিলে না তখন ইহা অপেক্ষা পরাজয় আর কি হইতে পারে ? ইনি প্রথমে আটটি অঙ্গুলি দেখাইয়া অষ্ট অঙ্গ বুঝাইলেন, পরে তাহাদিগের বক্র করাতে “অষ্টাবক্র সংজ্ঞা স্থচিত হইল । বৃদ্ধ পণ্ডিতগণের প্রতি অঙ্গলি নির্দেশ করিয়া “বন্দী’ সংজ্ঞা বুঝাইলেন । সত্যবতী বলিলেন তবে আমার দিকে হস্ত প্রসারণ করিলেন কেন ? যুবক পণ্ডিতগণ কহিলেন কেবল তোমার দিকে হস্ত প্রসারণ করেন নাই, তাহার পূৰ্ব্বে একবাৰ প্রাচীন ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় দিগের প্রতি চাহিয়া ছিলেন । তাহার অর্থ এই যে তোমরা সত্যবতীকে অষ্টবক্র বন্দী সংবাদ বুঝাইয়। লাও । বিদ্যোত্তম কিঞ্চিৎ অপ্রস্তুত হইয়া প্রাচীন পণ্ডিতগণকে বলিলেন আপনার অনুগ্রহ করিয়৷ যদি ঐ উপাখ্যান বর্ণনা করেন, তাহা হইলে অামি এই মহাত্মার অভিনয়ের তাৎপৰ্য্য গ্রহণ করিতে পারি। প্রাচীন পণ্ডিতগণ কহিলেন ভট্টাচাৰ্য্যমহাশয়ও আমাদিগের প্রতি ঐ রূপ আদেশ করিয়াছেন, অতএব অবশু্যই আমর। অষ্টবক্র এবং বন্দীর আশ্চর্য্য উপাখ্যান বর্ণনা করিতেছি, শ্রবণ করুন । . পূৰ্ব্বকালে উদালক নামে এক মহর্ষি ছিলেন । ক ভূ নামক জনৈক শিষ্য র্তাহার নিকট নিয়ত অধ্যয়ন করিতেন । তিনি অল্প বয়সেই সমগ্ৰ বেদশাস্ত্র অধ্যয়ন করিয়া ছিলেন ও সৰ্ব্বদা আচার্য্যের শুশ্রুষায় নিযুক্ত থাকিতেন । মহর্ষি উদালক কহোড়ের শাস্ত্র পারদর্শিতা দেখিয়া ও শুশ্রষাম লুন্তুষ্ট হইয়া র্তা হার সহিত স্বীয় তনয়ার বিবাহ দিয়াছিলেন । কহোড় ভাৰ্য্যার সহিত গৃহাশ্লমে বাস করিতে লাগিলেন । ক্রমশঃ নানা স্থান হইতে শিষ্যগণ র্তাহার নিকট অধ্যয়ন
