পাতা:স্বর্গীয় মহাকবি কালিদাসের জীবন বৃত্তান্ত - গিরীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

as কালিদাস উপন্যাস | হইতে পারবে। অতএব আমি অবিলম্বেই বিদেহ নগরে গমন করিব।” এই বলিয়া কহোড় পরদিন প্রত্যুষে বিদেহ যাত্র। করিলেন । இ. এদিকে রাজমি জনকের যজ্ঞ সভায় বন্দী নামক এক সুবিচক্ষণ সৰ্ব্বশাস্ত্র-বিশারদ পণ্ডিত আসিয়া উপস্থিত হইয়াছিলেন । তিনি জনক রাজার সহিত গৃঢ়মন্ত্রণা করিয়া এই প্রকার প্রতিজ্ঞা করি যা ছিলেন যে, এই যজ্ঞস্থলে যে কোন পণ্ডিত আগমন করিবেন তিনি ইচ্ছা করিলেই আমার সহিত শাস্ত্রার্থবাদে প্রবৃত্ত হইতে পারবেন, আমি যদি পরাস্ত হই, তবে জেতাকর্তৃক জলে | নিমজ্জিত হইব, নতুবা যিনি আমার নিকট পরাজিত হইবেন, | তাহাকে অামি জলে নিমজ্জিত করিব । জনক দেখিলেন যদি সমাগত পণ্ডিতমাত্রই স্বেচ্ছাক্রমে বন্দীর সহিত বিচারে প্রবৃত্ত হইতে পারেন, তাহা হইলে অনেককেই জলমগ্ন হইতে হইবে । এই জন্য তিনি স্বয়ং সৰ্ব্বদ। পুরো মাগে বিচরণ করিয়৷ বেড়াইতে লাগিলেন এবং অভ্যাগত পণ্ডিতগণের সহিত কথোপকথনচ্ছলে শাস্ত্র-বিচারের অবতারণা করিয়। তাহাদিগের বিদ্যা পরীক্ষা করিতে লাগিলেন । যাহাদিগকে তিনি সুবিচক্ষণ বিবেচনা করতেন, কেবল র্তাহারাই বন্দীর সহিত বিচারে প্ররক্ত হইতে পারিতেন, অপর কেহ তা হার নিকটে ও যাইতে পারিতেন . ৷ কহোড় জনক রাজার সহিত কথোপকথন করিয়া যথেষ্ট্র পাণ্ডিত্যের পরিচয় প্রদান করিয়া ছিলেন । সুতরাং কেহই তাহাকে বন্দীর সহিত বিচার করিতে নিষেধ করে নাই । কিন্তু বন্দী অদ্বিতীয় পণ্ডিত ছিলেন, এ পর্য্যন্ত কেহই তাহাকে পরাস্ত করিতে সমর্থ হন নাই , যিনি যিনি তাহার সহিত শাস্ত্রার্থবাদে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন, তাহাদের সকলকেই তাহার নিকট পরাজিত হইয়া জলমগ্ন হইতে হইয়াছিল। কহোড়ও তাহার নিকট পরা