পাতা:স্বর্গীয় মহাকবি কালিদাসের জীবন বৃত্তান্ত - গিরীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bペう কালিদাস উপন্যাস। অচিন্ত্যব্যক্তরূপায় নিগুৰ্ণায় গুণাত্মনে, সমস্ত জগদাধার মুৰ্ত্তয়ে ব্রহ্মণে নমঃ ॥ হরপাৰ্ব্বতী সংবাদ । পাৰ্ব্বতীনাথ ভাঙের নেশায় বিভোর হুইয়া কৈলাস শিখরের রমণীয় কন্দরে সুখশয্যায় নিদ্রিত আছেন । এমন সময়ে পাৰ্বতী প্রস্রবণ স্নাত ও পট্ট বস্ত্র পরিহিতা এবং তিলক ধারণ পূৰ্ব্বক হরিতকী হাতে লইয়া ভগবান ভবানী পতির নিকট আলিয়া সপ্রেম ভাবে কহিলেন । হে নাথ গাত্রোথান করুন । গত রাত্রিতে ভাঙের পরিমাণ টা কিঞ্চিৎ অধিক হইয়াছিল বলিয়া পূর্জেটির গভীর নেশা হইয়াছিল, নাসিকারন্ধের প্রবল খজনে পাৰ্ব্বতীর সিংহ সৰ্ব্বদা চমকিয়। চমকিয়। উঠিয়াছিল । এখন তত নেশা নাই বটে, সামান্য গোলাপী নেশা আছে মাত্র । তাই ভবানীপতি পাৰ্ব্বতীর কথা শুনিয়াও শুনিলেন ন পাৰ্ব্বতী কিছু চিংকার করিয়া কহিলেন, “মহাদেব উঠুন।” একবার সামান্য শব্দ মহাদেবের কর্ণে প্রবেশ হইল, মহাদেব চক্ষ, মেলিতে পারলেন না। চক্ষ, মুদিয়াই বলিয়া উঠি ন, চাই কি ? এখন যে অনেক রাত্রি আছে । - পাৰ্ব্বতী বলি লেন । মরণ আর কি, রাত্রি আছে না রেলা আট টা বেজে গেল, ঐযে তোমার মুখের উপরে রোদ উঠেছে । মহাদেব তখনও চক্ষ মুদিয়াই আছেন, এবং চক্ষ মুদিয়াই বলিলেন, 2 “বটে, তবে এত শীত কেন, আর ঐ শীতের সময় তোমার এত গরজ কি ? ভাল বলই ন৷ কেন, ব্যাপার টা কি p”