পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भिव्लन-द्रांख्रि —“অন্ধকার রাত্রিতে তুমি স্বর্য্য-লোকের বীরতা এনেছ, কিরূপে তোমাকে অভ্যর্থনা করব, কি দিয়ে তোমাকে পুরস্কত করব, তা. ত বুঝতে পারছিনে ? কোথায় এ সময় রাণী ?” উত্তর হইল—“তিনি বাগানে ৷” “দেখা হয়েছে তোমাদের ?” শরৎকুমার স্ত্রীলোকের হায়ই সলজ্জভাবে উত্তর করিলেন—“মহাত্মাজীকে বাৰ্ত্তাবহ ক’রে পাঠিয়ে আমি ভাবলুম—” রাজা হাসিন্ধু বলিলেন –“কৈফিয়তের ত দরকণর নেই। তাকে তুমি স্ব-খবরটা তাড়াতাড়ি দিতে গেছ—সে ত ভাল কথা ; কিন্তু রাণী তোমার সঙ্গে এল না কেন,—আমি সেই কথাই বলছি।” শরংকুমার জানিয়ছেন, রাজকতার প্রতিশ্রুতির বিষয় রাজা কিছুই জানেন না, এই জন্য সে কথা এখানে এখন তুলিতে অনিচ্ছুক হইয়া তিনি কহিলেন,—“আপনাকেই অামি সেখানে নিয়ে যেতে এসেছি ।” রাজা হtসিলেন ; ভাবিলেন, এ মন্দ প্ল্যান নয় ! উপন্যাসের নায়ক-রূপে শরৎকুমার আজ সে বিজন সুন্দর কাননতলে তঁtষ্ঠার প্রাণের গোপন কথা রাণীর কানে তুলিয়াছেন সেই কাননখের মধ্যে রাজাকে ও তিনি এ কথা বলিয়া তাহার অনুরাগের প্রকাশমাহাত্মা বুঝি বা সম্পূর্ণ করিতে চান। অথবা কে জানে, বাজকন্যাই যদি বা—শরৎকুমারের মনোভাব জানার পর তাহার সহিত একত্রে পিতার নিকট আসিতে লজ্জা বোধ করিয়া থাকেন ! রাজা হাসিন্ধা বলিলেন—“বুঝেছি, বুঝেছি,— আর বলতে হবে না। অামার মনেও বহুদিন থেকে যে অtশ-বাসনা জাগছে, ঘরের আলোর চেয়ে চাদের অালোতেই তার প্রকাশ ভাল হবে । চল ডাক্তার, মাজ এই শুভ রাত্রিতে তোমাদের অঙ্গুরী-বিনিময় হোক। বিবাহের অনুষ্ঠান-পৰ্ব্ব এর পর যথাসময়ে শীঘ্রই সমাধা করব। আংটী আছে তোমার হাতে ?” শরৎকুমার লজ্জিতভাবে মুদ্রস্বরে বলিলেন— *আপনার দত্ত অt'টটি পুলিস খুলে নিয়েছিল—এখনও ফেরত পাই নি। আমার আছে একগাছি মাল৷ ” রাজা সহস্তে বলিলেন—“সে ত অারো ভালো। কোথায় তোমার মালা ? গলায় দেখছিনে ত "

  • অlনছি আমি”—বলিয়া তিনি পাশের ঘরে চলিব৷ গেলেন। পাঠক জানেন, রাজভবনে এর্তাহারই ঘৱ । পৃরে গিন্স একটি বাল্প খুলিয়া তন্মধ্যে বক্সের

ఏవ নিম্নে সযত্নে রক্ষিত ফুলমাল্য হস্তে গ্রহণ করিলেন এবং তৎসঙ্গে গ্রথিত হাসি-দত্ত ফুলটি তাহা হইতে ছিড়িয়া ফেলিয়া মালাগাছি আনিয়া রাজাকে দিলেন। রাজা মালাটি হাতে লইয়া অবাকৃ হইয়া গেলেন, কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে রাজকন্যা যে জামাল্য তাহাকে পরাইয়া দিয়াছিলেন, ইহা ত সেই মালা ! আশ্চৰ্য্য ! মালাগাছি শুকাইয়া গিয়াছে, তথাপি ইহার ফুলদল স্বত্রবিচ্ছিন্ন হইয় পড়ে নাই ! রাজা সেই শুষ্কমালা ডাক্তারকে ফিরাইয়া দিয়া গম্ভীরভাবেই বলিলেন—“এর চেয়ে পবিত্রতর, উৎকৃষ্টতর প্রেমোপহার আর কিছু হ’তে পারে না । যাও ডাক্তার, তুমি এগিয়ে চল, আমি মহারাণীকে মুক্তির সংবাদ দিয়ে এখনি তোমাদের কাছে গিয়ে পড়ছি।” ডাক্তার পলিলেন—“মহাত্মাজীকেও আনবেন।" রাজা সহৰ্ষে উত্তর করিলেন—“বেশ বেশ, আমিও সেই কথা ভাবছিলাম । তার আশীৰ্ব্বাদে এ মিলনরাত্রি পুণ্যজ্যোতিৰ্ম্ময় হয়ে উঠবে ।” শরৎকুমার চলিয়া যাইবার পর রাজা ক্ষণকাল জ্যোৎস্না-প্লাবিত কাননের দিকে নিস্তব্ধে চাহিয়া রহিলেন । এই অনিন্দ-দিনে বড় বেশী করিয়া তাহার মনে পড়িতে লাগিল ভাসিকে । কিন্তু মৰ্ম্মোথি হু গোপন দীর্ঘনিশ্বাস মৰ্ম্মনিতৃতেই চাপিয়া ধরিয়া, তিনি তখনি মহারাণীর নিকট যাত্রা করিলেন । তখনও মন্দিরে আরতি-ঘণ্টা বাজিতেছিল, রাজা বন্দী হওয়া অবধি মহারাণীৰ সন্ধ্যাপুজা শেষ হইতে অনেক রাত্রি হইয়া পড়ে । বারীন্দীর সোপানাবলী উত্তীর্ণ হইয়। তাহার হঠাৎ বোধোদয় হইল যে, এ সময় ত তিনি মাতৃদর্শন পাইবেন না। আবার তিনি উপরে উঠিলেন–কিন্তু তখনও গোবিন্দজী ভজনগৃহ হইতে ফেরেন নাই। তাঙ্গার জন্য কিছুক্ষণ র্তাহীকে অপেক্ষা করিয়া থাকিতে হইল। তিনি বারান্দায় ফিরিবার পর তাহাকে সঙ্গে লইয়। রাজা কাননাভিমুখী হইলেন । এই কারণে কাননে পৌছিতে র্তাহীদের কিছু বিলম্ব হইয়া পড়িল। ভমন্তিম লক্ষণক্তি=ী রাজার নিকট হইতে বিদাল্পগ্রহণ করিয়া, আশাবিশ্বাসপুর্ণ চিত্তে, আশে পাশে ভ্ৰক্ষেপ না করিয়াই শরৎকুমার দ্রুত চলিতেছিলেন । লতামগুপের কাছাকাছি আসিয়াই প্রায় পথের মাঝখানে দুর্নিমিত্ত বিভীষিকা-স্বরূপ বিজনকে দণ্ডায়মান দেখিয়া তিনিও থমকি দাড়াইলেন । একটা অমঙ্গল আশঙ্কা