পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Уе е র্তাহার হৃদয় । পিয়া উঠিল । বিজন উৎকণ্ঠlজড়িত কাতরস্বরে তঁtহণকে ককিল,—“লাচf ও ডাক্তfর, দ্বাচাও, কোথায় যাও, পাশে-পাশে পাশে দেথ।” শরৎকুমার তখন পাশে চাৰ্চিয়! ভূর্শায়িত রাজকন্যাকে দেখিতে পাইলেন, বিশ্বব্ৰহ্মাও ষ্টাহার মাথার মধ্যে ঘূরিয়া উঠিল—তিনি জ্ঞানশূষ্ঠভাবেই নিকটে লসিয়া পড়িলেন । রাজকন্যার রক্তাক্ত কলেবর নজরে পড়ায় অভ্যস্ত কৰ্ত্তব্যবোধ পুনরায় তাহান্তে সজাগ হইয়া উঠিল । ডাক্তারী যন্ত্র অঃাস্বল্প একটি ছোট ৯ামড়ার ‘কেসে চুরুট-দেশলায়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঙ্গ র কোটের পকেটেই থাকিত । জিনিসগুলা সব পকেট হইতে বাহির করিয়া লইয়। ভূপৃষ্ঠে ফেলিয়া কোটটা ধীরে ধীরে জ্যোতিৰ্ম্ময়ীর মাথার নীচে তিনি দিয়া দিলেন । তাহাব পর সযত্নে তাহাকে একটু ফিরাষ্টয়া পরিয়৷ ছুবি লষ্টয়া বামদিকের জ্যাকেট কাটিতে আরম্ভ করিলেন । এই সযত্ন নাড়াচাড়াতেও ব্যথা অনুভব করিয়। রাজকন্যা চেপি খুলিলেন । শরৎকুমারকে চিনিতে পারিয়া তাহার বেদনা-মান মুগকাস্তি আনন্দে উজ্জ্বল গুইয়। উঠিল । তিনি মুক্তকণ্ঠে বলিলেন,--“তুমি ডাক্তারদা । মালাটি এনেছ বুঝি —ঐ যে তোমার গলায় দেখছি, --দt ও, তামাকে পরিয়ে দt ৭ । বিজন-দ1 আমাকে মুক্তি দিয়েছেন, বিধাতা অণমাদের বাসন পূর্ণ করেছেন—দ ও স্বামি-আমার গলায় ঐ মালাটি পরিয়ে দাও।” কিছুপূৰ্ব্বে এই প্ৰেম-অভিভাষণ শুনিলে শবংকুমীর যেরূপ পরমানন্দ লাভ করিতেন । তাই দেবতারও স্পৃহণীয়। বহুদিন- বহুদিন ধপিয়া ইহারই জন্স তিনি পিপাসিত, ইহfরষ্ট কয়ন সু ৰ্তী চার মনপ্রাণ অণশ-পঞ্জীবিত ! আর আজ ? সেই ঈপিাত বাণী শুনিয়াই বুকফাটা অ-জলে র্তls1র নয়ন ভরির উঠিল, তিনি চারিদিক অন্ধকার দেখিলেন . রাজকন্সার অঙ্গবশ্বে ছুরি চালিত কবা তপন তাহার পক্ষে দুষ্কর হুষ্টয়া উঠিল—অশ-নিবারণে সচেষ্ট ইষ্টয়া তিনি আনত নয়ন মুদিত করিলেন । রাজকণ্ঠার হাত সে জলে ভিঞ্জিয়া গল । তাহাকে নিঃস্তব্ধ দেখিয়া বিজন বাস্ত হইয়া বলিয়া উঠিল,--“কি করছ তুমি ? পারছ না বুঝি গুলী বীর করতে থ দাও, আমাকে যন্থ দাও, ওঠ তুমি, আমি ববি ক'রে দিচ্ছি।” বিজনের অস্তিত্ব শয়ুংকুমার ভুলিয়াই গিয়াছিলেন, —সে একটু দূরে তাছার পশ্চাদিকে দাড়াইয়া ছিল। তাহার উক্ত তিরস্কারৰণক্যে তিনি সচেতন হইয়া উঠিলেন। সশ জল অপন হইতেই তঁr tর নয়নে স্বর্ণকুমারী দেবীর গ্রন্থাবলী তখন মিলাইয়া পড়িল, তিনি মুখ একটু ফিরাইয়া অবজ্ঞজনক কুদ্ধদৃষ্টি বিজনের দিকে নিক্ষেপ করিয়া তীব্রস্বরে বলিলেন,—“পাষণ্ড, নরাধম, স’রে যা তুই, —দূর হয়ে যা এখান থেকে ; তার পর এক দিন তোর সঙ্গে আমি বোঝাপড় করব ।” বিজন তবুও অটল পাষাণের মত দাড়াইয়া রহিল ; কিন্তু শরৎকুমার সে দিকে আর তথন লক্ষেপ না করিয়া কার্য্যে প্রবৃত্ত হইলেন। রাজকুমারী সকাতরে বলিয়া উঠিলেন, “বিজনদাকে বকো না – ডাক্তারদা, ক্ষমা করো, ওঁকে ক্ষমা করে । উনি মুক্তি না দিলে ত আমাদের মিলন ছোত না, ভুলে ঘেও না ভাইটি এ কথা । বল তুমি, ক্ষমা করলে ?” রাজকুমারীর এই কাতরতা ডাক্তারের প্রাণে পৌছিল ; তিনি একটু ঝু কিয়া মৃদুস্বরে বলিলেন, —“তাই চলে, রাজকুমারি, তোমার যা ইচ্ছা, তাই গুলে--শাস্ত হও তুমি, অfর কথা কয়ে না ।” বিজনের ওড়নাথান৷ তখনও ভূতলেই পড়িয়া ছিল । শরৎকুমাব জ্যাকেট কাটিতে কাটিতে অানত নয়নেই পুনরায় পিজনকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেন,— “ওড়নাগনা বুঝি আপনার ? ভিজিয়ে আমুন দেখি শীগগির করে ! দেখবেন, দেরী করবেন না।” ডাক্তারের স্ববে এবার কঠোরত ছিল না । তাহার নিকট হইতে রাজকুমারীকে সেবা করিবার এই অধিকারটুকু পাইমু কৃতজ্ঞতায় বিজনের হৃদয় ভরিয়া উঠিল, উড়ানিথান ভূমি হইতে উঠাইয়া সবেগে উড়িয়াই যেন সে তখন নদীমুখী হইল । রাজকুমারী বুঝিলেন, শবৎকুমার তাহাকে মার্জন করিলেন–র্তাহীর মুখে হাসি ফুটির উঠিল । সেই হাসিটি লোপ না পাইতে পাইতে বেদনার ঘোরে তিনি অtণর আচ্ছন্ন হুইয়া পড়িলেন । ইতোমধ্যে জ্যাকেট যতটা কাটা হইয়াছিল, তাহাঁতেই শরৎকুমারের অভিপ্রায় সিদ্ধ হইল। ক্ষতস্থান তাহার নজরে পড়িয়া গেল। রুমাল দ্বারা রক্ট মুছিতে মুছিতে আশ-পাশ অতি ধীরে ধীরে ধীমান্ত একটু টেপাটুপি করিয়াই তাহার মনে হইল, ক্ষতের মুখের কাছেই নে কিছু অাছে। চামড়ার কেস্ট হাতের কাছেই ছিল, তাহ হইতে সত্বর একটি সন্না বাহির করিয়া লইলেন । বহু দিন ধরিয়া কত রোগীর উপবে দৃঢহস্তে সংযতভাবে তিনি অস্ত্রচালনা করিয়া আসিতেছেন, কিন্তু রাজকন্যার মঙ্গে সীমান্ত অস্ত্রটি চালাইবার কল্পনায় তাহার হাত কঁাপিয়া উঠিল, দৃষ্টি ঘোলা হষ্টয়া গেল ; চাঁদের আলোক