পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিচিত্র কর্তাবাবু একটি অনতিবিস্তৃত গৃহে ছিন্ন কাগজবেষ্টনীর মধ্যে, একটি ছোট টেবিলের নিকটে বসিয়া কাগজের পর কাগজে নানা ফিগার সাকিয়া জিওমেটি,-সাহায্যে জীবাত্মা ও পরমাত্মার একাত্মবাদ প্রমাণ করিতে ব্যস্ত । বৃত্ত বা লাইন— যাহা জগতের সার নিদর্শক তাহা বিন্দুর সমষ্টি বই আর কিছুই নহে,—ইহাই বিশ্বকোষ, অথচ এই বিন্দুগুলি স্ব স্বপ্রধান ; বৃত্তের মধ্যে ইহার প্রভাব অসীম, কিন্তু তফাৎ করিয়া লওঁ ইহা বিন্দুমাত্র ; অতএব পরমাত্মাতেই জীবায়ার এবং জীবায়াতেই পঞ্চমাত্মার বিকাশ। বহুদিন ধরিয়া এই তত্ত্বনির্ণয়ের জন্ত তিনি ফিগার’ আঁকিতেছেন ; কিন্তু এই জড়চিত্রে জ্ঞানময় আত্মার প্রতিষ্ঠা দ্বারা কিরূপে বিপক্ষ-সুক্তিগুলিকে খণ্ডন করিবেন, তাহার ভালরূপ মীমাংস হইতেছে না। আজ তাহার মাথায় সেই তত্ত্বের উদয় হইয়াছে। শব্দ-শাস্ত্রের সাহায্যে ও শব্দদ্বারা বহুকাল হইতে এই সত্য প্রমাণিত হইয়া আদিতেছে, হঠাৎ এই জ্ঞানে তিনি প্রবুদ্ধ হইয়া উঠিয়াছেন। জিওমেটির ফিগার লেখ! কাগজগুলি সব ফেলিয়া দিয়া একখানা নুতন কাগজে দেবনাগরী অক্ষরে ; শব্দটি বেশ বড় ছাদে তিনি লিখিতে আরম্ভ করিয়াছেন, এমন সময় গৃহিণী আসিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন "কই সে বিষয়ের কি হ’ল ?” বাধা পাইয়ী কর্তা বড়ই আহত হইয়া পড়িলেন । কিন্তু রাগ-প্রকাশের সাহস নাই, কাগজের দিকে বদ্ধদৃষ্টি হইয়াই বলিলেন, “কোন বিষয়ে ?” "ভুলে গেছ নাকি ?” কৰ্ত্তার অক্ষবের একটা কি একটু ধ্যাপড়া হইয়া পড়িল ; তিনি একটু অসংযত স্বরেই বলিলেন - “আঃ ভুলব কেন ? তবু বল না ?” “গিয়েছিলে কি, বিজনের বাপের কাছে ?” এইবার কর্তা অক্ষর হইতে মুখ তুণিয়া গৃহিণীর দিকে চাহিয়। বলিলেন--“আমার যাওয়াটা কি ভাল দেখায় ? হেমকে সে ভার দিয়েছি ।” “হেমকে ভার দিয়েছ ?” গৃহিণী রাগিয়া গেলেন —“ঠিক জুড়িদারটিই বটে।” “না আমাকে সে কথা দিয়েছে---কাজটা হাশিল ক’রে তবে অন্নজল গ্রহণ করবে। তুমি একটুও ভেব না——” “দেখ, মেয়ে বড় হয়ে উঠলো—তোমার—” কৰ্ত্তী অধীর হইয়া পড়িলেন, সামুনয়ে বলিলেন —“দেখ গিল্পি—একটা মস্ত প্রমাণ হামার মাথাৰ এসেছে, গঙ্গীটি—তুমি এখন-” అసి “তুমি কি ক্ষেপলে ? মেয়ে বড় হয়েছে তাঁর জষ্ঠ ভাবনা নেই--কেবল---” “তোমার পায়ে পড়ি--” “দেখ আমি মাথামুড় খুঁড়ে মরব—” “আ: জালালে তুমি । আচ্ছা বল কি করতে হবে ? ব’লে ফেলো ।” “তোমার ঐ কাগজগুলো কিন্তু আমি ফেলব ।” কি জানি কথাটা গৃহিণী কার্য্যেই খদি পরিণত করিয়া বসেন ! কর্তা তাহাকে প্রসন্ন করিবার অভিপ্রায়ে হাস্তমুখে বলিলেন—“কি করতে হবে বলই না, কোন কথাটা বল দেখি তোমার না শুনি ?” "হ্যী শেন বটে, কিন্তু এক কান থেকে অন্ত কানে আর পৌছায় না। আর কিছু তোমার করতে হবে না, তুমি নিজে গিয়ে রায় মশায়কে একবার নেমস্তয় ক’রে এস !” “শুধু শুধু নিমন্ত্রণ ! ক্ষেপলে নাকি ৷” "তা শুধু-শুধু কি নিমন্ত্রণ করতে নেই! খোকা পাশ হয়েছে—তাই যেন আহলাদ ক’রে খেতে বলছ, আপনার জন ত সে তোমার, এতে আর দেযি কি ?” “ত বেশ তাই হবে । আগে কিন্তু এই লেখাটা শেষ করতে দাও । যতক্ষণ এটা ন শেল্প হচ্ছে-- ততক্ষণ কিন্তু কারো সঙ্গে কথাবাৰ্ত্তী চালান আমার পক্ষে অসম্ভব ।” কৰ্ত্ত। আর আত্মসংবরণ করিতে পারিলেন না । কিন্তু ফলট ভাল হইল না ; গৃহিণী রাগিয়া বলিলেন, "আমি চলুম তবে । তুমি যে-রকম জালাচ্ছ, কিরোসিনের তেলে জ’লে দেখছি আমাকে ঠাণ্ড হ’তে হবে ।" গৃহিণীকে চলি যাইতে দেখিয়া কাগজপত্র ফেলিয়াও কৰ্ত্তার উঠিতে হইল। তাড়াতাড়ি তাহাকে ফিরাইয়া সাদরে বলিলেন– “রাগ করে না আমার যাদুটি, তোমার চোখে আগুন দেখলেই যে আমার প্রাণে সৰ্ব্বনাশ উপস্থিত হয়—” গৃহিণী যখন বাকী-নয়নে চাহিয়া একটু হাসিলেন, তখন আশ্বস্ত হইয়া কৰ্ত্তা আবার বলিলেন—“আচ্ছা আমি একটা কথা বলি শুনবে ?” “চিরদিনই ত শুনে আসছি।” “একেই ত বলে লক্ষ্মীটি । আচ্ছা বিজনকে शनि नोहे अteग्नl याब्र, ठitछ g#न कि क्रडि ! "इ९ ७ कोोtन छ ।९हे ...६-५ुन ७णबन्नुि ছি ড়ে