পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২ সকলে মিলে অনদর-পথে ঘাটযাত্রা বুঝলে ত ৬° "যে আস্ত্ৰে” বলিয়া সে চটপট নামিয়া গেল । রাজকুমারী সিড়িপথে দাড়াচড়াই সখীদের সহিত গল্প স্বরু করিয়া দিয়া কহিলেন, “আমার হরিরামকে যদি দেখ, হাসিদি, পুবই তোমার খাসি পাবে ; কিন্তু তার গল্প যদি শুনতে চাও- ” হাসি ব্যগ্রভাবে বলিল, “শুম্ব শুনব।” “তা হ’লে কিন্তু হাসিটাকে কিছুক্ষণ চেপে রাখতে হবে—নইলে তার গল্প জম্বে না।” “আমি ঠিক বলছি রাজকুমারী-—মোটেষ্ট হাস্ব Fil 던원리 " বলিয়া সে খুব খানিকট হাসিয়া লইল । রাজকুমারী ও হাসিয়া পলিলেন, “তা বেশ ! এখনই তা হ'লে হাসির ফোয়lরটিাকে নিঃশেষ ক’রে নেও । তার পর হরিরাম যথন সনাতন চৌধুরী ঠাকুরের ধহর্কিথার বিশদ ব্যাগ্য করবে, তখন সমজদার শ্রোতার মত গষ্ঠান ভাবে সে কথা শুনে ধেও। তবে আত্মরক্ষার্থ এষ্টটুকু আগে থাকৃতে ব’লে রাখি যে, শুনতে শুনতে যদি নিদারোগে ধরে—আমাকে কিন্তু তথন দায়ী করে না ।" o অণুভ বলিল, “ন। হাসিদি, রাজকুমারীর কথায় ভয় পেয়ে না-হরিরামের গল্প তোমার ভালই লাগবে ।” রাজকুমারী হাসিয়া বলিলেন, "আমার কিন্তু সত্যি ভাই তার গল্প শুনলেই সুম পায়। যা হ’ক, সন্ধ্যাটাও তা হ’লে এইখানেই কাটােচ্ছ ? আহারান্তে রাতে তার পর আমি নিজেই তোমাকে পৌছে রেখে আসিব,---এই ঠিক রইল, কেমন ?” হাসি এ কথার কোন উত্তর না দিতে দিতে কুন্দ পশ্চাৎ হইতে ডাকিল, “রাজকুমারি !” রাজকুমারী চমকিঙ্কণ চাহিয়া বলিলেন, “এই ষে কুন্দদি, আমরা নৌকায় যাচ্ছি,—আপনিও চলুন না ?” কুন সে কথার কোন উত্তর না করিয়া কহিল— "একবার এদিকে অস্বেন ? একটা কথা আছে।” "গোপন কথা না কি ?” বলিতে বলিতে রাজকুমারী কিছু দূরে সবিস্তু কুন্দের নিকট আসিয়া দাড়াইলেন । কুন্দ তাহাকে চুপে চুপে য়ে কথা বলিল, তাহাতে র্তাহার মুখ বিযঃ গম্ভীর হইয়া পড়ল, দু'জনে দু'এক মুহূৰ্ত্তকাল কথাবাৰ্ত্ত হইবার পরে কুন্দ বিদায় গ্রহণ করিল,-- রাজকুমারী সর্থীদের নিকট ফিরিয়া আসিয়া হাসিকে বলিলেন, “আজি ভাই বপ্লব— স্বর্ণকুমারী দেবীর গ্রন্থাবলী একটা বিশেষ দরকারে অ1মায় ঘরে থাকৃতে হবে —অনাদি-দা এসে তোমাদের নৌকায় নিয়ে एitदन ।” রাজকুমারী নৌকাভ্রমণে যাইতে পরিবেন না শুনিয়া সকলেই নিরুৎসাহ হইয়া পড়িল। হাসি বলিল,—“আমারও ত ভাই নৌকায় যাওয়া হবে না ! পরশু যে দাদার গায়ে হলুদ, সে কথা একেবারেই ভুলে গিয়েছিলুম ! কত যে গোছগাছ করার অাছে। আমি না গেলে মা, দিদিম। সকলেই খুব রাগ করবেন।” রাজকুমারী তাঙ্গকে আর থাকিতে পীড়াপীড়ি না করিয়া কহিলেন, “হা, সত্যিই ত ; পরশু যে অণুদিদির গায়ে হলুদ । আজ তা হ’লে ছেডে দিচ্ছি হাসিদি—পরশু কিন্তু হলুদ নিয়ে তোমায় নিজেরই আসতে হবে। নইলে হলুদ-স্বান জমূবে না, তার পর আমরা দু’জনে মিলে বনে সাজাব, এই সর্বে ছাড় পেলে, এই মনে রেখে ” হাসি বলিল- "আচ্ছা, বেশ, নিমন্ত্রণ গ্রহণ কর্লুম, বিস্তু ফুলশয্যার দিন তোমারও ভাই কনে সাজাতে আসতে হবে—আসবে ত, ভাই ? কথা लां७ !” “আসব বই কি, গায়ে হলুদের সাজ ত দাদা দেখতে পfবে না, ফুলশয্যর সাজ দাদাব মনে ধরান छाझे ड !” অণুভ। রাগের ভাণ করিয়া সলজে কছিল--- “যাও, আমি সাজতে চাইনে ৷” রাজকুমারী হাসিয়া তাহার গল টিপিয়া দিলেন । ইতিমধ্যে অনাদি অসিরা জুটিল। রাজকুমারী তাহাকে কহিলেন– “অনাদি-দা, আজ আর ভাই নৌকাভ্রমণ হলো না । আমার মোটর গাড়ীবারান্দায় আছে--তুমি-প্রহরী হয়ে হসিদিকে বাড়ী পৌছে এস দেখি ” অনাদি স্ত্রীলোকের অস্থিরচিত্ততা সম্বন্ধে সংক্ষেপ কূটমন্তব্য প্রকাশ করিয়া তাহীদের সহিত গাড়ীবারান্দায় অসিয়া মোটর-চালকের পাশ্ব গ্ৰহণ করিল। হাসিকে মোটরে চড়াই দিয়া রাজকুমারী ও অণুভ উভয়ে ভিন্ন পথে গৃহাভিমুখী হইলেন। পঞ্চম পরিচ্ছেদ অণুভাকে বিবাহ-যৌতুক দিবীর অভিপ্রায়ে রাজকুমারী নিজের একছড়া দামী মুক্তার মাল৷