পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e والا মীর-কাটা দরে থাক, বিপন্ন ক’লে তাদেবও রক্ষণ করতে হবে আমাদের ”

  • অর্ণরে তুমি যে যীশুখুষ্ট হয়ে উঠলে ৮ কিন্তু তার follower নামধেয় যারা তারাও ত ও কথা মানছেন না দিদি ৷”
  • ৰ্তাদের অধঃপতন মুরু হয়েছে । কিন্তু আমরা পুরাতন যুগ ফিরিয়ে আনতে পারব তখনই, যখন এই সত্য আমাদের মনে আবার জেগে উঠবে। যুদ্ধ-বিদ্রোহ তখন তোমাদের কিছু করতে হবে না –সীমামৈত্রীর পতাকার নাচে তখন জাতি-বিজাতি এক হয়ে যাবে, ভারতবর্ঘ বিনা রক্তপাতে, অঙ্গুলিতড়িনে তখন স্বরাজলtভ করবে।”

অনাদি অবিশ্বাসের হাসি হাসিয়া কহিল, “আচ্ছা ভাই, তখন আমি সৰ্ব্বাগ্রে নিশানহুস্তে সেই পতাকার তলে গিযে দাড়।প । এখন এস রাণীদিদিজি, তোমার হাতে রাখা বেঁধে দিই, দেশশুদ্ধ লোক এই রাগী প'রে ‘ভাই ভাই এক ঠাষ্ট’ হচ্ছে ।” অনাদি পকেট চফ্টতে এক গোচ্চ রার্থী বাছির করিয়া টেবিলে ফেলিল এবং তাহার মধ্য হইতে সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট একগাছি বাছিয জ্যোতিৰ্ম্ময়ীর হাতে বঁধিতে লাগিল । জ্যোতিৰ্ম্ময়ী পরিতে পরিতে বলিলেন, “বাংলা দেশেব এষ্ট রাগীবন্ধন সমস্ত ভারতের পক্ষে যেন শুভ হয় ভাই ।” অনাদি তাড়াতাড়ি রাজকুমাবীব হাতে রiষ্ট্ৰীট কষিয়া দিয়া দুই হাত পকেটে পুরিয়া দুই নেত্ৰ বিস্ফারণপূর্বক জ্যোতিৰ্ম্ময়ীর দিকে চাহিয়া কহিল, "নিশ্চিন্ত চ ও দিদি । সে বিষয়ে এই শৰ্ম্ম গ্যারাটি । তুমি যে পগট বাংলালে, সেটা যে কি এবং কোথায় --তা যদিও আমি ঠিক বুঝতে পারি নি, - কিন্তু তুমি ভাই দেখে নিও, আমাদের সংকল্পিত উপায়ে অল্পদিনের মধ্যেই ভারত বিদেশীবিবজ্জিত হয়ে যাবে। দেশে হুলস্থল বেঁধে গেছে,- বিদেশী যা কিছু- সব বয়কট”-- “এই যে পণ্ডিত মশায় ।” “বন্দে-মাতরম" ধ্বনি করিতে করিতে পণ্ডিত মহাশয় গৃহ-প্রবেশ করিলেন । দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ “নমস্তে পণ্ডিতমহাশয়, আসতে আজ্ঞা হোক।” জ্যোতিৰ্ম্মী এবং অনাদি উভয়েই এক সঙ্গে এই কথা বলিয়৷ পণ্ডিত মহাশয়কে স্বাগত করিয়া লইলেন। পণ্ডিত মহাশয় প্রত্যুত্তরে হাত তুলিয়া স্বর্ণকুমারী দেবীর গ্রন্থাবলী স্বস্তিবাচন করিবণমাত্র অনাদি একগাছি রাখি-হস্তে অগ্রসর হইয়া কহিল, “হাতটা আর নামাবেন না পণ্ডিত মশার ; আরো একটু বাড়িয়ে দিন, আপনার হাতে রার্থী বেঁধে ধন্ত হই ।” জ্যোতিৰ্ম্মী তাড়াতাড়ি চৌকি হইতে উঠিয়া বলিলেন, “ন। পণ্ডিত মশায়, আপনার হাতে রার্থী পরাব আগে আমি ।” বলিতে বলিন্তে পণ্ডিত মহাশয়ের নিকটবৰ্ত্তী হষ্টলেন ; কিন্তু অনাদি ততক্ষণ ভট্চাধমহাশয়ের ইতিটা অধিকার করিয়া লইয়। সাধন-স্বত্র কষিতে আরম্ভ করিয়াছে, তিনি গ্রেপ্তার অবস্থtতেই বামহস্তে আপনার দাড়ী টানিতেছেন। অনাদি রাজকুমারীর দিকে ব্যঙ্গকটাক্ষ নিক্ষেপ করিয়া কহিল, “তুমি বাহুবল মানতে চাও না দিদি, তোমীর নৈতিক বল এখানে পরাস্ত কি না তুমিই বল ।” পণ্ডিত মহাশয় উত্তরে কছিলেন, তবে কিনা বাহুবলের কার্য্য পদ্মপত্রস্থিত জলবৎ ক্ষণস্থায়ী ! এস রাজকুমারি, তুমি না হয় আমার এই বা হাতটাতেই রাগী পরা ও ” দাড়ীতে হাত বুলাইবার এ হেন আয়েষ হইতেও আপনাকে বঞ্চিত রাখিয়া পণ্ডিত মঙ্গশয় রাজকুমারীর দিকে বাম হাতটা বাড়াইয়। ধরিলেন ; জ্যোতিৰ্ম্ময়ী হাদিয়া ইণ তট। ধরিয়া রার্থী পরাইতে প্রবুন্তু হইলেন। পরাইতে পরাষ্টতে বলিলেন, "দেখলে অনাদি, নৈতিক বলের অাকর্ষণ ?” অনাদির রাখী-বন্ধন তপন শেষ হইয়াছে, পণ্ডিত মহাশয়েব ডান হাঁ তটা ছাড়িয়া দিয়। সে কহিল, “আচ্ছা, বেশ গো বেশ! কিন্তু একটা স্পশু পরাতে তুমি দিনটা কবির করবে নাকি ? থাকৃ তোমার স্থত বাধা, তুমি ততক্ষণ গান লেখ, সময়ের সন্ধ্যবহার হোকৃ ।” জ্যোতিৰ্ম্ময়ী বলিলেন, “তোমারই দোষ, এমন ছোট্ট রাখী এনেছ যে, টানাটানিতে এর ক্ষীণ জীবনটুকু বুঝি বা ছিড়ে যায় ।” “দাও তবে আমাকে, এ রকম tug of war তোমার কৰ্ম্ম নয় । দেথ আমার হাতের জোরে এই খাট স্থতও কি রকম লম্বী হয়ে পড়ে !" অনাদি সবলে পণ্ডিত মহাশয়ের হাতখানা টানিয়া লইয়া রাখী কষিতে প্রবৃত্ত হইল। জ্যোতিশ্ময়ী হাল ছাড়িয়া দিয়া কহিলেন, "আচ্ছ, অনাদি ওগাছা আপনার হাতে বেঁধে দিক্‌, আমার গাছ৷ আমি পয়ে পরিয়ে দেব, কি বলেন পণ্ডিত মশায় ?” তোমার হাতের রার্থী না প’রে আমি এখান থেকে উঠব না মা, তবে ছাতটা যদি—জারে আরে