পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বপ্নবাণী তখন সকলেই উঠিয় দাড়াইলেন । হঠাৎ পাশের টেবিলের দিকে দিদিমার দৃষ্টি পড়িল, এতক্ষণ ফুলের মালার কথাটা একেবারেই তাহারা ভুলিয়া গিয়াছিলেন । শুামাচরণের দিকে চাহিয়া বলিলেন, "আজকের দিনে যে, বরের শ্বশুরকে মালা পরীতে হয়—দে না হাসি মালা পরিয়ে !" হাসি এক গাছি গ'ড়ে মাল উঠাইয়া শুমাচরণের দিকে অগ্রসর হইবামাত্র তিনি এক প। দূরে সরিয়া গিয়া কছিলেন, “মোটে ত তোমার খুজি দেখছি ঐ একগাছি মালা, আমি ত ঘরের লোক, অতিথিকে ত সৰ্ব্বাগ্রে সম্মানিত করা উচিত, ওঁকেই দাও মালাগাছি।” হাসি কিংকৰ্ত্তব্যবিমূঢ় ভাবে মালা-হস্তে র্তাহার দিকে দৃষ্টিপাত করিল। রাজা নিঃসঙ্কোচে বেশ সহজ ভাবেই স্বয়ং অগ্রসর হইয়া আসিয়া কণ্ঠ বা ডাইরী দিয়া কহিলেন, “তোমার হাতে ভ্রাতৃবরণ-মাল্য সাদরে গ্রহণ করি । পরিবর্তে কি আর দিব, আর কিছুষ্ট ত সঙ্গে নাই—এই আংটিটি আমার স্নেহাশীৰ্ব্বাদরূপে গ্রহণ কর।” রাজা আংটি খুলিয়া তাহাকে পরাইয়া দিলেন। গ্রামাচরণ তাহা দেখিয়া মুখ টিপিয়া হাসিলেন। রাজাকে এখানে আনিবার উদ্দেশু তাহার নিষ্ফল হয় নাই। কৃষ্ণলাল সহসা ওঁ শব্দ ছাড়িয়া এদিকে দৃষ্টিপাত করিলেন, বরকন্যার স্তায় উভয়কে মাল্যাঙ্গুরবিনিময় কয়িতে দেখিয় স্তম্ভিত হইয়া রছিলেন, এ ঘটনা তাহার মনঃপূত হইল কি না বুঝা গেল না। দিদিমাও হাসিবেন বা কাদিবেন, বুঝিতে ন পারিয়া নীরব হইয়া রছিলেন । দ্বারান্তরালে দাড়াইয়া গৃহিণীই কেবল আনন্দচিত্তে ভগবানকে স্মরণ করিলেন। মাতার দ্যায় দিব্যদর্শক সংসারে কে আছে ! রাজা যখন বিদায় গ্রহণ করিয়া চলিয়া গেলেন, দালান শূন্ত হইয়া পড়িল, তখন দিদিমার মুখ ফুটিল । তিনি হাসিয়া বলিলেন,— “অজানা অচেনা করি গলায় মালা দিলি লে৷ রূপসি নাতনি ! তোর রাজা এল নাকি ?” আজ আর হাসির হাসি-ঠাট্ট ভাল লাগিল না, —গম্ভীর মুখে বলিল, “দিদিমার সব তাতে ঠাট্ট " এই সময় গৃহিণী দালানে আসিয়া দাড়াইলেন, আর শচীনও বায়স্কোপ রঙ্গালয়ের রঙ্গদর্শনান্তে এখানে আসিয়া হাজির হইল। পিদিমা তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “তোর সঙ্গে ওদের দেখা হোল ?” “হ দেখলুম, তারা গাড়ীতে উঠছেন।” "(क उनि जानिन !" SS(t শচীন বুঝিল, কাহার সম্বন্ধে এ প্রশ্ন,—আশ্চর্য্য হইয়া বলিল, “জান না নাকি ? রাজা যে ?” শচীন প্রসাদপুরে গিয়াছিল তাহ পাঠক জানেন। দিদিমা সবিস্ময়ে প্রশ্ন করিলেন, "রাজা ! কোথাকার রাজা রে ?” উত্তর হইল, “প্রসাদপুরের।” চতুর্দশ পরিচ্ছেদ রাজা অতুলেশ্বর কলিকাতা গিয়া ভাগ্যবলে সুখ ও সমৃদ্ধি এই দ্বিবিধ প্রসাদই লাভ করিলেন । অনেকদিন হইতে তিনি লোকালয়-সংস্পর্শরহিত ভাবে প্রসাদপুরের নির্জন নীড়ে বাস করিতেছিলেন। দেশের রাজনৈতিক বিপ্লব-বারত সংবাদপত্র হইতে তিনি পাইয়া থাকেন ; কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে সমাজবায়ুও যে কিরূপ ঘূর্ণিত-বেগে আলোড়িত হইয়া উঠিয়াছে, দূর হইতে এতদিন তাহার স্বম্পই স্পর্শ লাভ করেন নাই। হাসিকে দেখিয়া বুঝিলেন যে, তিনি এক নহেন, দেশের ঘরে-ঘয়েই সম্ভবতঃ নারী-গঠনের একটা প্রয়াস চলিতেছে। তাহার জীবনব্যাপী উদ্দেশ্যের সফলতা যেন হাসিতে তিনি প্রত্যক্ষ করিলেন । কলিকাতা প্রবাসের এই ক্ষণস্থায়ী ক্ষুদ্র দিনগুলা মুখ-স্মৃত্তিতে র্তাহার মনে স্থায়িত্ব লাভ করিল ! কিন্তু জ্যোতিৰ্ম্ময়ীর ভাগ্যলিপিতে বিধাতাপুরুষ অন্তরূপ লিখিয়াছিলেন । এ সময়টা রীতিমত কষ্টের ভাবেই তাহার কাটিল । ট্রেণে ডিক্রুজ সাহেবের কুকড়িতে শরৎকুমারের হাতে যে আঘাত লাগিয়াছিল ;--তাহার ক্ষত শুকাইবার পরও মাঝে মাঝে সেই স্থানে তিনি বেদন অনুভব করিতেন । সম্প্রতি স্নাখিবন্ধন দিনে হাসপাতালে অস্ত্রচিকিৎসা করিবার সময় দৈবক্রমে ছুরির সামান্ত স্পর্শ লাগিব মাত্র উক্ত স্থান ঈষৎ উন্মুক্ত হইয়া পড়িল। কিন্তু রাজকুমারী তাহার অপেক্ষায় থাকিবেন বলিয়াছেন, যথারীতি ঔযধাদি লাগাইতে গেলে বিলম্ব হইয়া পড়িবে, তিনি হাসপাভালের কার্য্যশেষে তাড়াতাড়ি সামান্ত জলপটিতে মাত্র ক্ষত বাধিয়া লইয়া চলিয়া গেলেন । বাগানে আসিয়া দেখিলেন যে, কেন্তুষ্ট সেখানে নাই। রাজকুমারী গৃহে মাষ্টবার সময় ঘে গ্রন্থটির দিকে ফিরিয়া দৃষ্টিপাড় কৱিাছিলেন, ***ब्रपान न लॉजिंक्रांस फ़ाशां*ि कि हॉश्छि