পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বপ্নবাণী তাছার মনে হইল, ততদিন শরৎকুমার বেশ সবল হইয়া উঠিতে পরিবেন। পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ জ্যোতিৰ্ম্মী এইবার আপনার দিকে দৃষ্টিপাত করিবার অবসর পাষ্টলেন –কি দুশ্চিন্তা, কি ঔংস্থক্যের মধ্যে সপ্তাহ কাল কাটিয়া গিয়ছে ! এমন কি, ব্যায়ামসমিতি, কনফারেন্স কিছুই একদিন র্তাহার মনে পড়ে নাই। এ কিরূপ তন্ময়তা ! কই পিতার অমুখের সময় ত জ্যোতিৰ্ম্ময়ী এত কাতর হইয়া পড়েন নাই ! তাহার লজ্জাসমুচিত মন উত্তর স্বরূপ কহিল, “কোন কারণ ছিল না ত তাহার, পিতার ত জীবনসংশয় হয় নাই —তবুও—” ইহার অর্থ,—তবুও এক জন আত্মীয়, পরের জন্ত এত কেন ভাবনা | প্রতিদিন ত রোগে-তাপে পৃথিবীর কত লোক মৃত্যু-গ্ৰাসে পড়িতেছে ; কে কার জন্য এত ভাবে ? এ স্থলে মৃতুর কথাটা মনে আসিব মাত্র বালিকার মনের মধ্যে একটা কষ্টের শিহরণ উঠিল ! তখন ৰি প্রহর অঙ্গীত হইয়। গিয়াছে। অহারাদির পয় সোফাথ শুইঙ্ক জ্যোতিৰ্ম্ময়ী বিশ্রাম করিতেছিলেন । পাশেই হাতের কাছে একটি টেবিলে, ফলভরা ফুলদানী অার একটির চারিদিকে নানা কাগজ পত্র, বহি সাঙ্কণন । জ্যোতিৰ্ম্ময়ী তাহার মধ্য হইতে একখানি থিয়সফিষ্ট পত্র টানিয়া লইয়৷ পড়িতে আরম্ভ করিলেন । একটা প্রবন্ধ আগাগোড়া শেষ করিয়। তখন তাঙ্কার হুস ইষ্টল,- এক অক্ষরও মস্তিষ্কে প্রবেশ করে নাই। পাঠিকার স্থল অক্ষি বহির পাতায় নিবদ্ধ ছিল বটে---বিস্তু সুক্ষ্ম আখি ঘুরিতেছিল অন্ত ঘয়ে। আজ ইচ্ছা করিয়াই প্রাতঃকালে শরৎকুমারকে রাজকুমারী দেখিতে যান নাই,—ভাল আছেন ত তিনি ! তিনি কি জ্যোতিশ্ময়ীর প্রতীক্ষা করতেছিলেন, তাহাকে দেখিতে চাহিতেছিলেন ? এ কিরূপ প্রশ্ন ? রাজকুমারী তাহাকে দেখিবার জন্ত ব্যাকুল বলিয়া তিনিও কি ব্যাকুল থাকিবেন ? এ কি পিপাসা ! এখন ত তিনি আরাম ছষ্টয়া উঠিয়াছেন—এখনো তাহার চিস্তাতেই জ্যোতি - শ্মরী মগ্ন কেন ? তাছার সন্নিধ্যলাভের জন্ত কেন তিনি এক তৃষাতুর ? এ কি সৰ্ব্বগ্রাসী ভাব । ষ্টছাই কি প্লেম ? ՖՏԳ ক্ষতি কি ? প্রেমদেবতাকে মনে মনে পুঞ্জ। করিতে ক্ষতি কি ? কিন্তু ইহার পরিণাম ? এই আকাঙ্কা—এই চিন্তা, এই পুজার পরিণাম ? লোকে বলে বিবাহ। জ্যোতিৰ্ম্ময়ী হাতেব বহিখানি ছুড়িয়া ফেলিয়া দিলেন —“ন। তাই। হইতে পারে ন:-- পারে না,-আমি জ্যোতিৰ্ম্ময়ী--চিরকুমারীব্ৰতগ্রহণ করিয়াfছ—দেশের জন্ত জীবনদান করিয়াছি —আমি ব্যক্তিবিশেষের পরিণীত পত্নী – অসম্ভব,—অসম্ভব।” একবার তিনি অতি চুপে, চুপে—স্বগত উচ্চারণ করিলেন, “মিসেস চৌধুরী।" “র্তাহার চিন্ত-মলিন মুখে সহসা হাসি ফুটিয়া উঠিল । ঘরের বারান্দায় খাচার রক্ষিত পোষা কোকিলটি এই সময়ে কুহু কুহু করিয়া উঠিল, বাহিরের আমবাগানে দুই চারিটা কোকিল এক সঙ্গে ইহার উত্তর গাহিল ; সহসা –কুহু-কুহু তানে আকাশ ভরিস্থা গেন – জ্যোতিৰ্ম্ময়ী মনে মনে বলিলেন,—“বনের পার্থী তোমরা খাচার পার্থীকে ধরা দিতে চাও ত দাও, আমি কিন্তু ধরা দিব না।” তিনি প্রতিজ্ঞ করিলেন, আজ সন্ধ্যাতেও শরৎকুমারকে দেখিতে যাইবেন না । ভাবিতে ভাবিতে অন্তমনস্কভাবে জ্যোতিৰ্ম্ময়ী ফুলদানীর একটি ফুল তুলিয়া লষ্টয়া অঘ্রাণ করিলেন । ঠিক দুষ্টটার সময় কুন্দ গৃহ আসিয়া হাজির হইল। আজই সকালে সে বাড়ী হইতে ফিরিয়াছে ; হাসির চিঠিথান, রাজকুমারীর হাতে দিয়া কছিল,— “এট লও রাজকুমারী। চিঠিখানি তোমার হাতে ধ’রে বিতে অ।মি প্রতিশ্রুত আছি । আজি দাঙ্গমুক্ত হলুম।” জ্যোতিৰ্ম্ময়ী চিঠিখন গ্রহণ করলেন, কুন্দ খিয়সফিষ্ট পঞ্জখান কুড়ঃইয়া যথাস্থানে রাখিয়', আলমার খুলি। রাজকন্যার বৈকালক সাজসজ্জার আয়োজনে রত হইল । আজ তাহীদের ম্যাণ্ডিষ্ট্রেটের বাড়ী চা-পানের নিমন্ত্রণ – হাসির চিঠিখানা পড়িয়া জ্যোতিৰ্ম্মী বলিলেন,— "মুগুণ দেবী—কে কুনা দিদি ? আমাকে তিনি এত প্রশংসা ক’রে লিখেছেন – লজ্জা করে যে ।” কুন্দ বলিল, “ও আমাদের হাসি । সকলে ওকে হাসি ব’লেই ডাকে । এমন সুন্দর মেমােটি, কি বলব ! তাকে যদি দেথ রাজকুমারী ত তুমিও ভাল বাসবে ,* শরৎকুমার প্রলাপের খেfরে ধে হাসির নাম ऍक्रॉब्र१ कबिtज्रन, ¢गद्दे एांगि न६ छ १ ? ७ क3|