পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মিলন-রাত্রি “বেঁচে আছে কি মরেছে—সে খবরটা জানেন ?” রাজা বেশ একটু তীব্রস্বরে এই প্রশ্ন করিলেন। ইহার উত্তরে দেওয়ান কহিলেন,—“আঞ্জে তার’ পেয়েছি, সন্তোষ বেঁচেই আছে। আর আশা করি, শরৎবাবু গেলে তাকে শীঘ্রই সারিয়ে তুলতে পারবেন।” রাজা কছিলেন,—“সন্তোষই এ বিচারে প্রধান সাক্ষী। তার জবানবন্দী পেলে সহজেই এ বিচার নিম্পত্তি হ’তে পারত। আপাততঃ আমি প্রসাদপুর যাওয়া পৰ্য্যন্ত বিচার মুলতুবী থাক । আপনার আজই সেখানে চলে যান, গিয়ে বেশ ভাল ক’রে তদন্ত করুন ; এমন কি, সস্তোষ মারা গেলেও যেন সেই তদন্ত-ফলে সভ্যাসত্য নির্ণয়ের সুবিধা পাওয়া शांग्र ।” দেওয়ানের প্রতি এই অনুজ্ঞা করিয়ী রাজা কৃষ্ণনাথকে কহিলেন,—“পুনর্বিচার পর্য্যস্ত আপনি suspend হলেন । কুপ্রবাবু, আপনি হাতিয়ারশালার দ্বিতীয় সহকারী তারানাথকে আপাততঃ এই কার্য্যে নিযুক্ত করবেন।” এই ৰলিয় রাজা বিচারাসন হইতে উঠিয়া পড়িলেন। অন্যান্ত সকলেই তাহার দৃষ্টান্ত গ্রহণ করিলেন। কৃষ্ণনাথ উঠিয়া করযোড়ে কহিলেন,--“আমি ত জ্ঞানতঃ বা অজ্ঞানতঃ কোন দোষই করি নাই, ধৰ্ম্মাবতার ” রাজা কছিলেন,—"জ্ঞানতঃ না করুন, অজ্ঞানতঃ আপনি পুর্ণমাত্রায় অপরাধী। নিজের গুরু দায়িত্বভার সন্তোষের উপর ফেলে রেখে আপনি যদি নিশ্চিন্ত ন থাকৃতেন, তা হ’লে আমার ত মনে হয়, এ চুরী ঘটতেই পাৰ্বত না । এরূপ কর্তব্যঅবহেলা কি অপরাধগণ্য নয় ?” কৃষ্ণনাথ কাতরকণ্ঠে বলিলেন,—“এবারকার মতন মার্জন করুন, ধৰ্ম্মাবতীর !” রাজা কহিলেন,– “সত্য কথা বলতে কি, আপনাকে গুরু দায়িত্বপূর্ণ কাজে রাখতে আর আমার সাহস হয় না। যা হউক, এখনও ত বিচার নিম্পত্তি হয় নাই। যথাসময়ে এ বিষয়ে আমি ভেবে দেখব । আপনি যদি দোষমুক্ত হন, আপনার উপর পুনরায় যদি সম্পূর্ণ বিশ্বাসস্থাপন করতে পারি, তা হ'লে এ কাজ না হোক, অন্ত কাজও আপনি পেতে পারবেন।” অটল রাজ-মুক্তির দিকে চাহিয়; ইহার পর কৃষ্ণনাথের আর বাক্য নিঃসারিত হইল না। ఏషి অষ্টম পরিচ্ছেদ সভাভঙ্গের পর রাজা অতুলেখর পাশ্ববর্তী গৃহে প্রবেশ করিয়া বিচারালয়ের মোগলাই-সজি ত্যাগ করিলেন। এ সম্বন্ধে প্রসাদপুরের পুরাতন রাজকীয় প্রথাই তিনি মানিয়া চলিতেন। পরে তিনি বাঙ্গালীবেশ ধারণ করিরা শুীমাচরণের সছিত বৈঠকখানার দক্ষিণ বারান্দাৱ আসিয়া বসিলেন। সম্মুখে সবুজ ঘাসের প্রশস্ত ময়দান,—তাছাৱ পশ্চিম প্রান্তে বিলুষ্ঠিত বৃহৎ দীর্ঘিকার আংশিক জলথও তটভূমিস্থিত বিশাল রবার-বটের ছায়া বক্ষে ধারণ করিয়া কাপিয়া কঁাপিয়া উঠিতেছিল। ময়দানের ধীরে ধীরে শীত ঋতুর ৰিচিত্রবর্ণ পুষ্পশোভ, স্থানে স্থানে কৃত্রিম জলপ্রপাত, মধ্যস্থিত ফোয়ারার দুই পার্থে দুইটি মূল্যবান প্রস্তরমূর্তি, হ্রদবাসী কিন্নয়কিল্লরী যেন কৌতূহলাক্রান্তভাবে উপরে উঠিয়া সহসা প্রস্তরমূৰ্ত্তিতে পরিণত হইয়াছে। ভিনাস-মূৰ্ত্তির মাথার উপর একটি খঞ্জন পাখী বসিয়া নৃত্য আরম্ভ করিল। রাজা দেখিয়া কছিলেন,—“নৃত্যশীল এই চঞ্চল পাখীটি পতিয়কেও যেন প্রাণান্ত করে তুলেছে।” শুীমাচরণবাবু কবি নছেন, রাজার দৃষ্টিতে এ দৃশুের মাহাত্ম্য দেথিতে অক্ষম হইয়া তিনি কছিলেন, —“খঞ্জনটি না নেচে যদি স্থির থাকত, তা হ’লে ওকে প্রস্তরমূর্তিরই অঙ্গভুক্ত ৰ’লে মনে করা যেতে পাবৃত।” রাজা ঐ কথায় মনোনিবেশ না করিয়া, আরামচৌকির ছেলনে আরামে মাথা রাখিরাই, পূৰ্ব্ববৎ তাৰবিভোরভাবে কছিলেন,—“আচ্ছা বলুন ত গাজুলি মশার, আপনার কি মনে হয় ? দেহগঠন সুন্দৰ ৰ’লেই কি আমরা এই মূৰ্ত্তিটিকে এত সুন্দর দেখি 1" শুfমাচরণ সম্প্রতি গোফ জোডী কামাইয়া ফেলিয়াছেন, তাহাতে চাড়া দিয়া বুদ্ধি শাপাইয়৷ जहेबोच्च श्राद्ध खेश्राब्र माहे, यांश झुणकाहेब ७ख्द्र कब्रिएलन,-*ठांहे उ मरन श्ब्र ।” ইতিমধ্যে থঞ্জন পাখীটি উড়িয়া গেল, রাজার দৃষ্টি তদনুসরণে একবার নীলাকাশে উখিত হইল । তাহার পর আবার ভিনাস-মূৰ্ত্তির দিকে নয়নপাত করিয়া শুীমাচরণের মস্তব্যের প্রতিবাদস্বরূপ তিনি कश्रिणन,-*ञtगांब्र किरू उi' भrन श्ब्र नां । আচ্ছ, দেখুন ত গাঙ্গুলি-মশায়, কোমলতা, প্রতি, করুণ প্রভৃতি রমণী-হৃদরের রমণীয় ভাবগুলি ঐ প্রস্তরমূৰ্ত্তির সর্বাঙ্গ দিয়ে বেয়ে পড়ছে কি না ?