পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১৪ পুত্র ও ভাবী সম্মান উভয়েই মৃত্যুমুখে পতিত হইবে, এই বিশ্বাস তাঙ্গদের সদ্বয়ে বদ্ধমূল । শিশুকে ভেলীয় শোয়াইয়া, সমস্ত প্রাণ তাছার উপর ঢালিয়া দিয়া, মৰ্ম্মভেদী আকুল দৃষ্টিতে পিতামাস্ত উভয়েই মূহূৰ্ত্তকাল তাঙ্গর দিকে চাচিয় রছিলেন । নক্ষত্র-দেবতাগণ একসঙ্গে জলিয়া উঠিয়া বালকের মুৰ্বি জ্যোতিৰ্ম্ময় করিয়া তুলিল। মাত৷ ক্ষিপ্তের দ্যায় কান্দিয়া শিশুকে ক্রোড়ে উঠাইয়া লষ্টতে গেলে ন। স্বামী বনমালী সবল হস্তে র্তাহাকে বাধা দিয়া মনের বেদন ক্রোপের আগুনে জালিয়া কষ্টিলেন,—“সৰ্ব্বনাশী, ক্ষত্তি দে, চিরকাল সৰ্ব্বনাশ ক’রে এসে এখনও তোর আশ মিটল না ? নতুন ক’রে আবার সৰ্ব্বনাশ করতে চাস ?” এ ভৎসিন পত্নী ক্ষেমঙ্করীর মৰ্ম্মের শিরায় শিরায় বিধিল । স্বামী ত ঠিক কথাই বলিতেছেন, অভাগিনী-ই ত সৰ্ব্ব ক্ষনর্থের মূল । সে মুতবৎস। ন হইলে ত আজি এষ্ট ভয়ঙ্কর অবস্থায় তাহাদিগকে পড়িতে চইত না । স্ত্রী উত্তোলিত হস্ত গুটাইয়া লইয়। চীৎকার করিয়া কান্দিয়া উঠিল । স্বামীর নয়নও মশ্র জলে তদ্ধ হইয় গেল। দুই হাতে চোখের জল ঝাড়িয়া ফেলিয়। নরম স্বরে কfহলেন, "একে স্বরে নিয়ে গিয়ে কি রক্ষা করতে পারবি গো তুই ? এ যে দেবতার মানত, দেবতার নিবেদিত ধন, কত রকম ছদ্মবেশে ঘরে ঢুকে সাগর-দেবতা তার ধন তুলে নিয়ে যাবেন । একেও বfচাতে পারবিনে, আর যেটিকে গর্ভে ধ’রে অাছিল, সেটিকেও তারাবি । তুই স’রে দাড়া ।” স্ত্রী দুই হাতে চোখ ঢাকিয়া বসিয়া পড়িল । স্বামী হুই হাতে ভেলা ধরিয়া জলে ভাসাইল । কিন্তু মনের কঠোর কর্তব্য কাৰ্য্যতঃ সে ঠিক পালন করিতে পারিল না । সমস্ত প্রাণে ভেল। ঠেলিয়া দিতে সে অক্ষম হুইল ; কম্পিত দুৰ্ব্বল-হস্ত-চালিত ভেলা বেশী দূর গেল না ; একটিমাত্র বিপরীতগামী তরঙ্গবলে তাহ পুনরায় পিতার হাতের কাছে আসিয়া পৌছিল ‘ মাত ব্যগ্র হইয়। বলিয়া উঠিলেন, “ফিরে এল গে। বাছ আমার । সাগর দয়া ক’রে ফিরে দিলেন আমার কোলের ধনকে তুলে নাও গো, তুলে নাও । আমার বুকে তুলে मां७, तृकऎ1 %NG झरब पांरु ।" एकडिक्लमश्छांब्रांश्न खनशांलौ कझेिडा, *कि क'zङ्ग স্বর্ণকুমারী দেবীর গ্রন্থাবলী छांमव cए, ठिनि नब्रl रू'tब्र शिब्रिटब्र निtग्नtछ्न ? আমরা যে কাঁদতে কঁদিতে দান করেছি, যদি অশ্রহীন চোখে কর্ণরাজীর মত বিশ্বাসে ছেলে দান করতে পারি, আর সাগরদেব তখনও যদি ফিরিয়ে দেন, তবেই বুঝব তার দয়া ।” হৃদয়ে ভক্তি বল সংগ্ৰহ করিয়া অশ্রুইন নেত্রে সবল হস্তে এবার বনমালী ভেলা ঠেলিয়া দিল । ভেলা আর ফিরিল না,--তরঙ্গে তরঙ্গে উঠিয়া পড়িয়া চলিল। একবার ষেন শিশুর ক্রননধ্বনি তাছার বর্ণে প্রবেশ করিল,—একবার যেন দুইটি ছোট হাত উৰ্দ্ধে উঠিয়া পিতামাতার ক্রোড় প্রার্থনা করিল । তাহার পর আর কিছুই দেখা বা শুনা গেল না। দূর হইতে দূরান্তরে চলিতে চলিতে ভেলtখানি অদৃষ্ঠ হইয়া পড়িল। 臺 臺 臺 廢 পিতা-মাতা মানত রক্ষা করিল বটে, কিন্তু ভক্তি-বিশ্বাস তাহীদের মনঃকষ্ট দূর করিতে পারিল না । পুত্ৰশোকে ক্ষেমঙ্করী পাগল হইয়া গেল । উন্মত্তাবস্থাতেই তাহার একটি কন্যাসন্তান ভূমিষ্ট হইল। ইহার পর হইতে ক্রমশঃ তাহার বাতুলত। যদিও কমিয়া আসিতে লাগিল, কিন্তু পূৰ্ব্বস্তৃতি সে পুরাপুরি ফিরিয়া পাইল না। এক দিন ষে ইহার অগ্রজকে তাহারা সাগরজলে বিসর্জন দিয়াছে, এ কথা তাহার মনে নাই । নবজাত শিশুকে সে তাহার পূর্বপিগু বলিয়াই জানে । পাগলিনী ভূলিল না কেবল পূৰ্ব্ব-মানতের কথা । এক দিন ইহাকে সাগরজলে নিক্ষেপ করিতে হইবে, এ কথা মনে করিয়া অtতঙ্কে দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিতে ফেলিতেই সে কন্যাকে স্তম্ভ দান করিত । স্ত্রী পুত্ৰশোক ভূলিল পাগল হইয়া, স্বামী পুত্ৰশোক ভুলিতে চেষ্টা করিল গুরু ধরিয়া । গুরুর কৃপায় ধূমপানমস্ত্রে দীক্ষিত হইয়া ক্রমশঃ ক্ষেপামীতে তিনি স্ত্রীকেও ছাড়াইয়া উঠিলেন । মেদিনীপুর জিলার রাঘবপুর গ্রামে বনমালীর নিবাস । গ্রামের মধ্যে সে ছিল এক জন সম্পন্ন লোক । জমী-জমা, গরু-বাছুর, ধানের মরাই, কুষাণ, ভূত্য এ সবই তাঁহার ছিল, ইহা ছাড়া সে মহাজনী কারবার ও চালাইত। ইহার দৌলতে &ांभङब्रां छांश थtद्रब्र भरक्षा ठाँझाँग्नई fझेन ¢कथांनि ८कॉछेॉबॉडौ । फाँझाँब्रां नेि: न खांन, ७ई हु; १ हाँ छ।