পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিজয়ার আশীৰ্ব্বদ সাংসারিক কোন রকম দুঃখই তাহদের ছিল না, কিন্তু রোগমুক্ত হইয় ক্ষেমঙ্করী এক নূতনতর দুঃখের তিতর পড়িল । সে দেখিল, স্বামী গাজার মোহে সৰ্ব্বস্বাস্ত হইতে বসিয়াছেন । দিবারাত্রি প্রায় তাহার ভও সাধু-সঙ্গ্যাসীর সহবাসে কাটে । তিনি এখন চেলা নহেন, স্বয়ং গুরু । বাটীর উঠানে প্রকাও অগ্নিকুণ্ডের সম্মুখে তিনি বোম্ ভোলানাথ গুরু সাজিয়া বসেন, আর বামাচারী, কামাচারী, তান্ত্রিক, শৈব, উদাসপন্থা, নাগ প্রভৃতি সৰ্ব্বদলভুক্ত চেলীগণ তাহাকে বেষ্টন করিয়া বীভৎস অনাচারে রত থাকে। ক্ষেমঙ্করী সে দিকে মোটেই ঘসেন না, কখন কখন দূর হইতে উকি মারিয়া তাছাদের দিকে দৃষ্টিপাত করেন, তখন উঠানের অগ্নিকুও হইতে ঝলক উঠিয় তাহার সৰ্ব্বাঙ্গ যেন ঝলসিয়া দিয়া যায় । তিনি ঘরে ঢুকিয়া কন্যাকে বুকে লইয়। সে জালা নিবৃত্তি করিতে চেষ্টা করেন, কিন্তু এরূপ ভাবে বেশী দিন চলিল না । চেলাদের রসদ ধোগাইতে ক্রমশঃ বনমালী যথাসৰ্ব্বস্ব খোয়াইলেন । জমী-জমা, ধান-চাল, গরু-ৰাছুর, গহনাপত্র সমস্তই দেনার দায়ে বিকাইল, বাড়ীটিও ক্রমে নীলামে চড়িল । চেলার দল বেগতিক দেখিয়া সরিয়৷ পড়িল । বনমালী স্ত্রী-কন্তু লইয়া নদীতীরের শ্মশানে আশ্রয় গ্রহণ করিল । গ্রামের লোক চাদ করিয়া সেইখানেই একখানি খড়ে-ঘর তাঙ্গদের জন্ত বাধিয়া দিল । আহাৰ্য্যও তাহারাই যোগান দিতে লাগিল। আমাদের দেশে সাধু-সন্ন্যাসীর অল্পকষ্ট কখনও ঘটে না । cषtग्र;ि ७हे श्:१-कtडेब्र भtषा भांङ्कप्शtरु श्हे ৰৎসরের হইয়া উঠিল । তখনও যে স্বামী মানতপালন জন্ত তাঁহাকে গঙ্গাসাগর তীর্থে লইয়া যাইবার প্রস্তাব করিতেছেন না, এই ভাবিয়া ক্ষেমঙ্করী মাঝে মাঝে আশ্চর্য্য বোধ করিত। তাহার মনে ইইত, নেশার ঘোরেই সে কথা তিনি ভুলিয়া গিয়াছেন, ইহাতে ক্রমশঃ সে বেশ আশ্বস্ত হইয়। উঠিল । এই দৈন্য-দারিজ্যের মধ্যে কন্যার মুখ দেখিয়া সে সব ভুলিয়া গিয়াছিল । কিন্তু স্বামী তুলিলেও নিষ্ঠুর নিয়তি যে সে কথা ভুলে নাই, ক্ষেমঙ্করী এক দিন ভাল করিয়াই তাহ বুঝিল । সহসা বিনা মেঘে বজ্রপাতের ন্যায় সে কস্তাকে हाब्राहेण । प्रांनांtरु ७क निन नग्नौ श्tष्ठ फिग्निब्रा रेS@ সে দেখিল, কস্তা অচেতন হইয় পড়িয়াছে, তাহার মুখ দিয়া ফেনী উঠিঙেছে, নেত্রতারকা উদ্ধে তুলিয়া সে ঘন ঘন শ্বাস ফেলিতেছে । ক্ষেমঙ্করী কন্যাকে একবার নাড়াচাড়া করিয়া চীৎকারপূর্বক কান্দিয়। উঠিল। দেখিতে দেখিতে ক্ষুদ্র বালিকণর প্রাণবায়ুটুকু বাহির হইয়া গেল । সর্পাঘাতে কস্তার মৃত্যু হইয়াছে, এই অকুমানে বনমালী মৃত কস্তাকে বক্ষে লইয়া জলে ভাসাইতে চলিল, আজি সঙ্গে আগত ক্ষেমঙ্করীর নয়নে জল नाहे-भूtथ शशांकाब्र नाहे, यूठ कश्रांप्रू tष उlशब्रा জলে ভাসাইতে চলিয়াছে, এ জ্ঞান তাহার নাই। তাহার মনে হইল, তাহারা মানভ রক্ষণ করিতে চলিয়াছে। স্বামী কস্তাটিকে জলে ফেলিয়া দিবার সময় সে যখন চক্ষু বুজিল, মুহূর্তের জঙ্গ পূৰ্ব্বস্তুতি তাহার মানসপটে সহসা ভাসিয়া উঠিল ; কিন্তু আবার যখন সে চোখ খুলিল, সে স্মৃতি তখন মনের কোণে মিলাইয়া পড়িয়াছে । মানত রক্ষা করিয়া ঘরে ফিরিয়া জাসিয়াই সে মূচ্ছিত হইয়া পড়িল । সযত্নে পত্নীর মুৰ্চ্চাভঙ্গ করিয়৷ বনমালী তাহার হস্তে গাজীর কলিকা তুলিয়া দিয়া কছিলেন, “পঞ্চহঃখ দূর ছোকৃ তোর ক্ষেম, আমাকে গুর ব’লে মেনে এই ধোঞ্জ। পান কর ত লক্ষ্মীটি ” ক্ষেমঙ্করী স্বামীর চরণে নত হইয়া গাজীর কলিকা লইয়া মুখে ঠেকাইল । অতিরিক্ত গাজ। খাইয়। ইহার কিছুদিন পরে স্বামীও ইহলোক ত্যাগ করিয়া গেলেন । সংসার-বন্ধনমুক্ত ক্ষেমঙ্করী ভৈরবীর দলে মিশিয়া দেশ-দেশাস্তরে ঘুরিয়া বেড়াইতে লাগিল ।

ইহার ১২ বৎসর পরে কাকদ্বীপের জমাদার নিখিলৰ্চাদের পত্নী করুণাময়ী বৈদ্যনাথ-মণিরের বাহিরে আসিয়া দেখিলেন, অদূরে একটি নিজন গাছের তলায় এক ভৈরব বসিয়া আছেন এবং সন্মুখস্থ জলন্ত অগ্নিকুণ্ডের দিকে চাহিয়া বিড় বিড় করিয়া মন্ত্র পাঠ করিতেছেন । এই ভৈরবীর মাহাত্ম্য তিনি বৈগুনাথের অনেকের মুখেই শুনিয়াছেন । করুণাময়ী নিকটে আসিবামাত্র মন্ত্রপাঠ বন্ধ করিয়া ভৈরবী প্রাঙ:-সুৰ্য্যের দিকে একবার চাছিলেন,