নব ডাকাতের ডায়েরি অtfসয়া থামিলাম, সেখানে আমার বন্ধুগণ বনভোজনের আয়োজনে ব্যস্ত ছিল । তাহার পর যাহা ঘটিল, সেই নিষ্ঠুর ব্যাপারের বর্ণনা না করাই ভtল । বধকালীন ক্রনীলপরায়ণ ছাগশিশুর স্নেহ অনুনয়পুর্ণ কাতর ভৎসনা-দৃষ্টি -আমার প্রাণে যে শেল বিদ্ধ করিয়া গিয়াছে, ভবিষ্যতে উচ্ছ্বসিত নর-রক্তধারাও আমার মনে সেরূপ অমুতাপ বিপাইতে পারে নাই । R যtঙ্গ ভাবিয়ছিলাম, দেখিলাম, মোটেই তাঁহ নয় । স্বদেশী ডাকতীতে ভয়-ভাবনার কারণ -- যে ল অfনায় কড়াক্রাত্তি মেলে কি ন সন্দেহ-- এক কথায় বাধাবিপত্তি নাই বলিলেই হয় । যাত্রার সময় অতী৩ সূগেব আৰ্য্য ীিয্য কাচিনী মন্ত্ৰণ করিতে করিতে কালীমাতার নামডাকে বিজন জঙ্গলপথ যখন প্রতিধ্বনিত করিয়া তুলিলাম— তথন আপনাদিগকে ভীম। জুন তুল্যই মহারথী বলিয়। মনে হইয়াছিল, অপূৰ্ব্ব বীরত্ব প্রদর্শনে ইতিহাসে অমর কীৰ্ত্তি রাখিয়া যাইবার আশায় মনঃপ্রাণ মাত্মগেীববে নাচিয়। উঠিয়াfছল। কিন্তু কার্য্যক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইবামাত্র প্রাণের সেই ভরপুর উপন্সাস শূন্তে বিলীন চহয়। প৬িল— বুঝিলাম, এ রণও নহে, মরণও নহে, একতরফ। শুষ্ঠ আস্ফালন মাত্র । হায় ! হায় । কার্যান্তে মনটা বড়ই দমিয়া গেল ! মুখোসধারী আমরা সংখ্যায় ছিলtম --১৮ জন । যাত্রা করিয়াছি—শ্ৰীশ্ৰiবুর বাড়ীর উদেশে —লক্ষ্মী পুর । আগেই পথঘাট বাড়ী-ঘর দেখিয়। চিনিয়া ম্যাপ মাকিয় লওয়া হইয়াছে। বাড়ী নাই, কার্য্যোপলক্ষে তিনি কলিকাতায়-- সে খবরও আগেই জানিয়াছি । শ্রীবাবু এক জন মহাজন, তেজtল্পতি কারবারে হঠাৎ ফাপিয়া উঠিয়াছেন, ঘরে নগদ টাকা-কড়ি তার যথেষ্ট থাকে ! একতলা পৈতৃক কুঠী শীঘ্রই দোতলা হইবে শুনিতেছি ; কিন্তু আমাদের লুণ্ঠম-কার্য্যে সুবিধা যোগাইবার জন্তই, বোধ হয়, এখনও একতলাই রহিয়া গিয়াছে। পুলিসথান তাহার বাড়ী হইতে অধিক দূরে নহে, আধ ক্রোশ অপেক্ষাও নিকটে--তাছা ছাড়া এ কালে ডাকাতার ভয়ও আজি যে শ্রীবাবু ২৩৫ লোকের মন হইতে এক রকম মুছিয়া গিয়াছে, ডাকাতের বীরত্ব এখন গালগল্প মাত্র । অতএব শ্ৰীবাবু তাহার কানন-ভবনদ্বারে দুইজন ভোজপুরী প্রহরী রাখিয়fই এ যাবৎ নিশ্চিন্তভাবে কালযাপন করিতেছিলেন, সহসা বিন মেঘে বজ্রপাত তুল্য আমরা তাহার শাস্তি-ভবনের শান্তি-নিদ্রা ভঙ্গ করিলাম । তখন রাত্রি প্রায় ১২টা। আমরা সকলে বাগানের সীমানা ধীরে ধীরে পার হইয়া, সদর দ্বারে পৌঁছিয়া দেখিলাম, বহির্ভাগে দুইখানা থাটিয়ার মধ্যে একথান। অনধিকৃত, সম্ভবতঃ ইহার মালিক প্রভুজীর সহিত কলিকাত যাত্রা করিয়াছে, অন্ত খাটিয়াখানির মধিকারী দিব্য আয়েসে নাক ৬া কাইয়। নিদ্র দিতেছে । সাচ্চলাইট তাহার মুখে পড়িবামত্র, সে ঘুমাচ্ছন্ন চোখেই পাশের লাঠীখানার উদ্দেশে হাত বাড়াইয়া “কোন হtয় রে, কোন হয়ে রে,” করিয়া ডাক ছাড়িল এবং সঙ্গে সঙ্গে ধড়মড় করিয়া উঠিয়া বসিবার চেষ্টায় ব্যর্থ হইয়। ভাবচোকা থাইল্প গেল । সর্দার মহাশয় তাহার মুখের কাছে পিস্তল ধরিয়া বলিলেন, *কথ। কহিবে কি গুলী তোমার বুকে পড়িবে।” অন্সের অচিরাং থাটিয়ার সহিত তাহীকে দউীবুনন করিয়া ফেলিল । ইহার পর এক জন পিস্তলধারাকে তাহার নিকটে এবং কয়েকজনকে বাহিরে পাহারায় রাথিয় আমরা ৮ জনে দ্বারপ্রান্তে আসিয়া দাড়াইলাম। দ্বার দেখিলাম ভিতর হইতে অর্গলবদ্ধ । ভাঙ্গিবার উপক্রম কfরতেছি, এমন সময় দৈব অামাদের সহায় হইলেন, দ্বার ভাঙ্গিবীর আর প্রয়োজন হইল না । ভিতর আঙ্গিনায় যে চাকর শুই থাকিত— বাহিরের অস্পষ্ট গুঞ্জন শুনিতে পাহয়, প্রভু আসিয়াছেন ভাবিয়া সে যেমন দরজা খুলিয়া দিল, অমনই অমর কয়েকজন হুড়মুড় করিয়া গৃষ্ঠে প্রবেশ করিলাম । চt করট "ডাকাত ডাকাত, সাবধান হও বাবু বলিতে বলিতে ক্রতপদে কোথা দিয়া কোথায় যে পলাইল, ভtহাকে আর ধরা গেল না । লোহার সিন্দুক থাকে বাড়ীর ভিতরে অর্থাৎ অন্তঃপুরে, সে খবরও আমরা আগেই পাইয়াছিলাম। দরজtয় চারিজনকে রাখিয়া, আমরা চারিজনে ভিতর-বাডাতে ছুটিলাম । পুৰ্ব্বেঙ্ক
