পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/২৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গল্প-প্ৰ কান্তিবাবুর খোসনাম শ্ৰীমান কান্তিচন্দ্র নবনামকরণে কবিবাসন ; লাইব্রেরী-ঘরে বসিয়া তিনি কবিতা লিখিতেছিলেন এবং দুই চারি ছত্র শেষ করিয়া, মনের আনন্মে তাহ 兴波 বন্ধমঞ্জুষ কাণায় কাণায়--. মরি দখিণ হাওয়ায় ।” কাচিন্তন্ত্রের দক্ষিণ হাওয়ার কবিতা দক্ষিণ হাওয়াতেই কিন্তু মিলাইয়া যায় নাই, আরও এক আবৃত্তি করিয়া যাইতেছিলেন। কবিতাটি অপ্ত সন্ধ্যার জনের কানের মধ্য দিয়া মরমে পশিতেছিল। সময় তাহীদের নব-সাহিত্য-সভায় পঠিত হুইবে ।

  • মরি আজি দখিণ হাওয়ায় কোন কাননের বিদেশিনী কোন স্বরে গান গায় ?

কম্পিত থর-থর-পল্লব মর-মর, হৃদয় হা-হুতাশে করে হায় হায় ! মূরি দখিণ হাওয়ায়। মধুর চাদিনী আজি ফুটেছে ফুলের সাজি যেন স্তব্ধ ভোজবাজি— নিশার দিশায় ! মরি দখিণা হাওয়ায় । আমার প্রাণের ফুলটি কেন— শুকাইয়ে যায় ! ওরে বাতাস দে রে আশাস দে cর রঙিন দেtল, মনকে আমার মদির রসে মাতাইয়ে তোল । কলি ফুটুক মুঞ্জরিয়া— অলি উঠক গুঞ্জরিয়া নদী দুটুক কল্পোলিয়া প্রেমের মমতায়, মরি দখিণা হাওয়ায় । অীয় বসন্ত অtয় রে ভূমী ছড়িয়ে দে রে রঙ্গে চুমা— अत्र श्रांत्रिनांग्न, ছল-ছলিয়ে কল-কলিয়ে প্রাণের কলস দে ভরিয়ে এখন সবেমাত্র বেলা দুইটা, কিন্তু পাশের খালি বাড়ীর মালীমহলে সন্ধ্যাবেল আজি মুমিত্র দাদীর নিমন্ত্রণ অাছে। সেখানে আজ মালীর সখের কৃষ্ণযাত্রা করিবে ;–নামজাদ। উড়ে কনসাঁটওয়ালারাও সেখানে আসিয়া জুটিয়াছে – তাহার যাত্রার পর্বে পর্বে হারমোনিয়ম-বেহালাতে গড়ের বাদ্য বাজাইবে, যাত্রা অপেক্ষ ইহা শুনিবার লোভই মুমিত্রার অধিক । তাই আজ বেলাবেলি সান্ধ্যপাট শেষ করিবার অভিপ্রায়ে দাদীবাবুর ঘরের কিরোদিন-বাতিটা সে লইতে আসিয়াছিল। আসিয়া কবিতাপাঠ শুনিয়া—সুমিত্রা দরজার পাশে দাড়াইয়া শেল ; পড থামিলে ঘরে ঢুকিয় বলিল— “বড় ভাল লাগে মোর দাদাবাবুর গন—শুনিকিরি খালি ক{ল্লা পায়।” বলিয়া সে খিল-খিল করিয়া হাসিয়া উঠিল। মুমিত্র উড়েনী, আধাবয়সী ; কিন্তু সাজসজ্জার আড়ম্বরে বয়সটাকে একান্তই কাচাইয়া তুলিয়াছে সে। তাহার খাট চুলের ঝুটিটি শাড়ীর ছেড়া পাড় দিয়া অতি মনোমোহনরূপে বাধা,—দুঃখের বিষয়, এই যত্ন-রচিত কেশবিন্যাস তাহার সচরাচর লোকের নজরে পড়ে ন!— মাথার কাপড়ের আড়ালে ঢাকা পড়িয়া যায়। কিন্তু সীতির দুই পাশ হইতে তাহার . সম্মুখের কপালের উপর তেল-জব-জবে পেটে পাড়ান চুলের যে বাহার খুলিয়াছে, তদর্শনে বুদ্ধ কুওলিমালীর অন্ধ নয়নেও সহসা পোনাৰ্য্য-জ্ঞানের দিব্যদৃষ্টি ফুটিয়াছে। সুমিত্রীকে দেখিলেই সে তাহার মুখের দিকে চাহিয়া থাকে এবং গোপনে ও প্রকাতেও বার