পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/২৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Հ8 Ն কুসুমে ফোটাই গন্ধে পাপীরে ডাকাই ছন্দে তরঙ্গে নাচারে তটিনী রসেতে ভরায়ে ধরণী প্রমোদ-মত্ত রছি । আমি প্রেমের নিপুণ সারথি, চির-কৈশোরে চির-নিপুণগতি । যৌবন-মদ-রঙ্গে, বরণ ফুটায়ে অঙ্গে মিলনে বিরহ অনিয়া স্নথেতে দুঃখ টানিয়া জীবন স্বপনে মোহি কৌতুক-নট আমি কপট নছি। সখি কপট নহি ।” পড়িয় কান্তি বলিয়া উঠিল, “ভারী মজা ত । আমরা দুজনেই লিখেছি বাতাসের কবিতা । আচ্ছা, মজা করবি একট, ভাই ?” “কি মজা ?” তোরটা আমার নামে—আর আমারটা তোর নামে "ভারতী’তে পাঠান যকৃ—দেখ, কোনটা তার নেন ? নামের মাহীত্ম্যে তারা চলে কি না, এতেই বুঝতে পারবি।”

  • বেশ । আমার তাতে আপত্তি নেই।”

রাত্রিীত সাহিত্য-সভায় দুই কবিতাই কাস্তি তাকার বলিয়া পাঠ করিল । সভার বাহ বা রব পড়িয় গেল এবং সাহিত্যিকরা মিলিয়। ষ্টtহার নামকরণ করিলেন, অমৃতাম্বুজনিধি কবিবাসন। 、ク ভারতলক্ষ্মী কাগজে কান্তি বিজ্ঞাপন দেখিল – একটি ভাল গল্পের জন্য ১ • • টাকা পুরস্কার ! এতদিন সে কবিতাই লিখিতেছিল— এইবার সে গল্প লিখিতে প্রবৃত্ত হইল। শুধু কবিতা লিখিয়া বাহিরে সে সাহিত্যিক নাম লাভ করিতে পরিবে না—গল্পও লিখিতে হইবে, ই২ সে বুঝিল কিন্তু গল্প লিখিতে বসিস সে দেখিল, কবিতা লিখা তাহার পক্ষে যতটা সহজ, গল্প লিখাটা সে রকম নয়। প্লটগুলি মাথtয় যেমন আসে, কাগজেকলমে লিখিতে গেলেই অন্যরকম হইয়া যায়, একের মুণ্ডু অষ্ঠের বড়ে গিয়া পড়ে। অনেক কষ্টে একটি স্বর্ণকুমারী দেবীর গ্রন্থাবলী গল্প শেষ করিয়৷ সে বিনয়কে শুনাইল ; কিন্তু এ হেন বন্ধু বিনয়—যে তাহার কবিতা চোখ বুজিয়ী গুনিয়া অtহ উহু করে ; সে-ও কিন্তু আজ কাস্তির গল্পের প্রশংসা করিতে পারিল না। অগত্য। কাস্তি আর একটা লিখিল, খ্যাতনামা লেখকদিগের রচনাংশ বাজেয়াপ্ত করিয়া লইয়। নিজের আখ্যানটি কোন রকমে সাজাইয়া তুলিল। তাছার বার বার মনে হইতে লাগিল, শান্তি যদি গল্পটি দেখিয়া শুনিয়া তাহার মনের মত করিয়া লিখিয় দেয়--- তবে ইহার শ্ৰী ফিরিতে পারে । কিন্তু তাহ হইলে ত শাস্তির কাছে নুন্নতা স্বীকার করিতে হয় । তবে দায়ে পড়িয়া মাঙ্গুষ কি না করে । অনিচ্ছ। সত্ত্বেও গল্পটা হাতে লইয়া সে শাস্তির ঘরে গেল । গিয়া দেখিল, শান্তি ঘরে নাই—টেবলের উপর তাহার অসমাপ্ত একখান চিঠি পড়িয়া আছে। বুঝিল— লিখিতে লিখিতে সে কোথাও গিয়াছে, এখনি আসিবে। চিঠিটা সে পড়িতে আরম্ভ করিল— “প্রিয়তম” এ কি রকম সম্বোধন ? বন্ধু বিনয় তার স্ত্রীর নিকট হইতে যে সব চিঠি পায়—তাহাতে সম্বোধনের কি চমৎকার ঘট ।—প্রাণ অামার, প্রাণের প্রাণ, আত্মার আত্মা, হৃদয়সৰ্ব্বস্ব, এইরূপ কত অপরূপ মনমাতান ডাকে ভর সে চিঠি । আর শাস্তি লিখিতেছে শুধু-ছোট্ট একটি প্রিয়তম শব্দ । “ছি !” নিমিষের মধ্যে এইরূপ ভাবিয়া লইয়৷ আবার সে পড়িতে অfরস্ত করিল— “প্রতি সপ্তাহে তোমার চিঠিখানির জন্ত কিরূপ আকুল-মাগ্রহে অপেক্ষ ক'রে থাকি, তা কি বুঝতে পার না তুমি ? নিশ্চয়ই তা পার না । পালে হাজার কাযের মধ্যেও একটু সময় ক’রে নিয়ে হ’লাইনও লিখতে । কেন বল দেখি, গত মেলে চিঠি পেলুম না? অম্লখ করে নি ত ? কত রকম ভাবনাই যে হচ্ছে। আসছে মেলে যদি চিঠি না পাই ত কি যে করব জানি না । মিস ক্রিষ্টিকে তা হ’লে চিঠি লিখব। হয় ত বা তার সঙ্গেই তুমি আমোদ ক’রে কোথাও বেড়াতে গেছ— আর আমি এ দিকে ভেবে মরছি। তা যদি শুনি, ও হ’লে কিন্তু ভয়ানক রাগ করব । “আগের চিঠিতে লিখেছিলে, টাকার টানাটানি পড়েছে তোমার । বাড়ী থেকে যত টাকা