পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/২৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গল্প-প্রবন্ধমঞ্জুষা ఖ8ఏ আজি এ সন্ধ্যার মাঝে তব বাতায়নে কেন রাখিয়াছ ওগো ! প্রদীপ জালিয়া ? তোমার ও প্রদীপের কনক-কিরণে আমার সকল মন উঠে উজলিয়া ! কেন রাখিয়াছ আহা ! মুখ-বাতায়নে সোহাগে স্বহস্তে ওই প্রদীপ জালিয়া ? আপনারে কেহ কভু পারে কি রাখিতে আলোকের অন্তরালে গোপন করিয়া । তোমার লাবণ্য-মূৰ্ত্তি পড়ে না আঁখিতে ছায়া তার পড়িয়াছে দেয়াল ভরিয়া ! অস°থ্য অকাজক্ষ জাগে দেখিতে দেখিতে কেন রাখিয়ছি, ওগো ! প্রদীপ জ্বালিয় ? షి অন্ধকার-ঘেরা এই সন্ধ্যার মাঝারে কেন গে। জলিলে দীপ, খুলিলে দুয়ার— কেন গো এমন ক'রে ডাকিছ জামারে সমস্ত পরাণ ভ’রে—পরাণ-মাঝারে । আমি অশ্রুঞ্জল লয়ে—শুধু চেয়ে থাকি আমি ত জালিনি দীপ, কি করিব ডাকি ? (مي তবু মনে হয়, তুমি গুনেছ আমবি অস্তরের অন্তস্বর-অন্তর-মাঝারে । নিবাও প্রদীপ তব, বন্ধ কর দ্বার, এস ভেদে স্বপ্ন-সম অন্তর-আঁধারে । জ্বাল গে। প্রদীপ জ{ল অস্তরে অfমাব অন্ধকার-দ্বের এই সন্ধ্যার মাঝার ! 3 তোমার চঞ্চল দীপ আলোক বন্ধন ; ৰাখিছে সকল মন সৰ্ব্বাঙ্গ অামায় ! কত না অশাস্ত স্বথ অজানা ক্ৰন্দন ঝাপটিছে গরজিছে অস্তরে অামার ! হে মোর নিষ্ঠুরী ! কি যে বেদনা-বন্ধনে টানিতেছ সৰ্ব্ব হৃদি তব সন্নিধানে । কি ব্যাকুল বাদনার আকুল ক্রদনে ভরিয়া গিয়াছে চিত্ত তোমারি সন্ধানে । প্ৰজলিত হৃদিমাঝে, শুষ্ঠ সব ঠাই । হে প্রেমনিষ্ঠুরী ! আমি ষে তোমারে চাই । =প্রেম ও প্রদীপ। હાઁ–૭૨ মাঝে মাঝে র্তাহার কবিতায় তাহার প্রেমসাধনার মধ্যে একটি গভীর নিরাশ দেখা যায় । অতীতের একটি শুভমুহূর্তে র্তfছার দেবী তাহার হৃদয়ে যে প্রদীপ জালাইয়াছিলেন, পরমুহুর্তে ৰেন তাহা নিৰ্ব্বাপিত হইয়া গেল। আকাঙ্ক্ষামন্ত্র ও অতৃপ্তিময় মহাশূন্তের মধ্যে র্তাহাকে ভাসাইয়া তিনি অদৃগু হইয়া পড়িলেন। তখন হাহাকার করিয়া তিনি বলিয়া ঠিউতেছেন,— জীবন, জীবন কোথা ? –যেন নিরবধি, মরণ নিশ্বাস বছে অতৃপ্তি লইয়া, cशन झुनि झुनि अहे–झैनाहेष्ह शनि, অতীত সে জীবনের প্রতিধ্বনি দিয়া । জীবন, জীবন কোথা ?—ত্ৰান্তি স্বপনের, দৃপ্ত স্বরা পান ক’য়ে শুধু ভুলে থাকা । এ কিহালি ! এ কি কাল্লা ! শুধু ব’গে বসে ভবিষ্যের চিত্রপটে অতীতের অঁাকা । মহান মুহূৰ্ত্ত এক জীবনে পশিয়া ভাসাইয়া ল’য়ে গেছে—গ্রাসিছে সকল ! কোথা তুমি কোথা আমি, গেছে হারাইয়া রয়েছে অনন্ত বাথা হৃদয়-সম্বল । সে ব্যথা বাজিছে আজো ; আমার জীবন তারি যেন প্রতিধ্বনি, আর কিছু নয় । যত হাসি যত আশ্র যা তন স্বপন, করেছে জীবন যেন মহাশূন্তময়। —মহাশূত । কিন্তু মহাজন ও মহাপ্রেমিক চিরদিন কল্পিত শৃষ্ঠতা লইয়া থাকিতে পারেন না। কাৰ্য্যশক্তির দ্বারা তাঁহাকে তঁtহার পরাজয় করিভে চাহেন। তাই কবিকে যখন মহাশূন্ত বিরিয়া ফেলিল, তথন তিনি বলিয়া উঠিলেন,— মোছ আঁখি, মনে কর এ বিশ্ব-সংসার কাদিবার নহে শুধু বিশাল প্রাঙ্গণ, রাবণের চিতfসম যদিও আমার জলিছে জলুক প্রাণ, কেন গো ক্ৰন্দন ? অপরের দুঃখ-জtলা হবে মিটাইতে হাসি-আবরণ টানি ছঃখ জুলে ধts, জীবনের সরবস্ব অশ্রু মুছাইতে, বাপনার স্তর ভাঙ্গি বিশ্বে ঢেলে দাও ।