পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/২৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

.િ6 s छांग्न झाँग्न समभिग्नां शनि न भूछेitव् একটি কুমুমকলি—নয়ন কিরণে একটি জীবন-ব্যথা যদি না জুড়ালে বুক্তর প্রেম ঢেলে,—বিফল জীবনে । আপন রাখিলে, ব্যর্থ জীবন সাধনা জনম বিশ্বের তরে-পরার্থে কামনা । - शक्षितः । তিনি আঁখি মূছিয়া কাৰ্য্যে নামিলেন, কিন্তু কার্য্যে নামিয়াও তৃপ্তি লাভ করিতে পারিতেছেন না । কবি যেমন শতচ্ছন্দ গাথিয়াও মনে করেন, তাহার অনেক ভাবই প্রকাশ করা হইল না,— সেইরূপ যিনি মহাকৰ্ম্মী, তিনি শত কৰ্ম্ম সম্পন্ন করিয়াও মনে করেন, তাহার ঈপ্সিত কৰ্ম্ম অসম্পূর্ণ রহিয়৷ গেল। তাই কবিয় কৰ্ম্মহৃদয় বিফলত-নিপীড়িত হইয়া বলিয়া উঠিল,— ওরে রে পাগল । জ্বলিছে নয়নে তব কি নব বাসনা, কি গীত রয়েছে বাকি ;– কি নব বীজনী ? উচ্চারিত হয় নাই কি প্রেম-মস্তর, কোন পুজা লাগি তব আকুল অন্তর ? আমি ত দিয়াছি যা কিছু আছিল সার ওরে রে পাগল, ওরে পাগল আমার ! নিবিড় নয়ন হ’তে দিয়াছি দরশ, এ গুন্ত্র দেহের আমি দিয়াfছ পরশ. পরাণের প্রীতি-পুষ্প, প্রতি হাসি গীত, জীবন-যৌবন-তর সকল সঙ্গীত, তোমারে করেছি দান ! কি চাহ আবীর, ওরে রে পাগল, ওরে পাগল আমার ! তোমারে করেছি পূজা, দেবতা সমান, প্রভাতে মধ্যাহ্নে গাছি স্বমঙ্গল গান ; সন্ধ্যায় প্রদীপ জালি, ধুপ ধূনা দিয়া আরতি করেছে মোর প্রেমপুর্ণ হিয়া ! আর কি করিব দান, কি আছে আবার । ওরে রে পাগল, ওরে গুণগল আমার । সন্ধ্যাশেরে পুনৰ্ব্বার করেছি বরণ সমস্ত রজনী ভ’রে করেছি স্মরণ, তোমারে, তোমারে শুধু ; হাসিয়া প্রভাতে জানিয়াছি পুষ্পাঞ্জলি ভরিয়া ছ’হাতে। लांब्र किं पञांनिरङ श्रृंॉब्रि कि पञांtझ अांभांग्ल স্বর্ণকুমারী দেবীর গ্রন্থাবলী ওরে রে পাগল, ওরে পাগল আমার ! সকল ঐশ্বৰ্য্যে আমি সাজায়েছি ডালি, পরপুর্ণ প্রাণে মোর করিয়াছি থালি, আরো যে চাহিছ তুমি ! কি দিব গো জানি, চাও যদি ল’য়ে যাও শূন্ত প্রাণখানি । তবে কি মিটিবে আtশ, চাহিবে না আর ? ওরে রে পাগল, ওরে পাগল আমার ! ---६iद्वा । র্তাহার কৰ্ম্মজীবনের নিরাশ মুহুর্তে তিনি ভগবানের প্রদfদ ভিক্ষা করিয়া অীবার বললাভ করিতেছেন – এ পথেই যাব বঁধু! যাই তবে যাই । চরণে বিধুক কঁটি। তাতে ক্ষতি নাই । যদি প্রাণে ব্যথা লাগে, চোখে জাসে জল, ফিরিয়া ফিরিয়া তোমা ডাকিব কেবল। পথের তুলিব ফুল কাটা ফেলি দিব । মনে মনে সেই ফুলে তোমা সাজাইব । গুন গুন গাহি গান পথ চলি যাব – মনে মনে সেই গান তোমারে শুনাব ! দরশন নাই দিলে কাছে কাছে থেকে !— যদি ভয় পাই বঁধু! মাঝে মাঝে ডেকে । —অন্তৰ্য্যামী । এই রূপে আমরা দেখিতে পাই, তাহার সমস্ত কবিতাই একটি মহাপ্রেমের ভাব-প্রেরণ । এই ভাবে তিনি কখন হাসিতেছেন, কখনও কাদিতেছেন। সেই প্রেমকে কখনও কৰ্ম্মরূপে, কখনও ধৰ্ম্মরূপে, কখনও বা প্রিয়ারপে পাইতেছেন, কখনও বা হারাইয়াও ফেলিতেছেন । যেমন তাহার কার্ষের মধ্যে, তেমনই তাহার কবিতার মধ্যেও ভাব ও ভক্তি, জ্ঞান ও শক্তি, চিন্তা ও কল্পনা—-এ সকলে একটি আশ্চৰ্য্য সামঞ্জস্ত আমরা দেখিতে পাই। মৃত্যুর বহুপূৰ্ব্বে তিনি মৃত্যুঞ্জয়ী ঈঙ্গিত রূপিণীর দর্শন লাতে আনন্দের উচ্ছ্বাসভরে বলিতেছেন – আমি যে তোমারে চাই, সন্ধ্যার মাঝারে তোমার ও প্রদীপের অালো-অন্ধকারে ; সকল স্বখেয় মাঝে, সৰ্ব্ব-বেদনায় । কৰ্ম্মক্লান্ত দিবাশেষে চিত্ত ছুটে যায়