পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বর্ণকুমারী দেবার গ্রন্থাবলী দান করিতেছিল । সেখানে আসিয়া ভাঙ্গা ভাঙ্গ বাঙ্গালায় তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন– কাদে কেন স্ত্রীলোকটি, কি হয়েছে ওর ?” চ।ধা বলিল, “এঞ্জে, ম্যাজিষ্টরের চাকর এসে—এ মাইয়ের অীপ দু’চারধান লই গেছে--" স্ত্রীলোক গর্জন করিয়। উঠিল—“দু’চারখান ? মুষ্ট ত দু’চারথীন অ্যপনা ত’তেই তানারে দিচ্ছি - বেটা জোর কয়ি—আপেকের বেশী লইল, ঐ দেখ ক’থানই বা আছে মোর ? আ1জ ছেণেগুলো আর থtইতে পাপে না, স্নাথ বেচেষ্ট চাল মিলত— হাঃ রে—কপাল ?” বলিয়। সে শিরে করাঘাত করি ে৩ লাগিল । মিঃ রো বলিলেন “আমিষ্ট সেই ম্যাজিষ্টর,— bল আমার সঙ্গে, কে অখি কেড়ে নিয়েছে দেখিয়ে দাও,– তোমার আখের দ1ম তার কাছ থেকে তোমাকে দিষ্টয়ে দেব ।” “আপুনি ম্যাঙ্গিষ্টয়” । সবিস্ময়ে এই কথা বলিয়া অবনতমস্তকে তাহকে সেলাম করিয়া চাষী তাহার পল স্বালোকটিকে দলিল –“চ রে -আমিন চল, তেীব ভাগ্যি ফিলো। মঠের ফচল দু’চারখানা সরকারকেও দিতে হয় বই কি --অ্যাতে এতুষ্ট কান্নাকাটি কেন করিসূ ?” আ11মন কিন্তু ক 4ে 5.থে নিতাস্ত জ্বলিরা আছে, সে ম্যাজি েপ্রটের বাক্যে আশ্বস্ত ইষ্টল না, তাত কে সেলামও করিল •0,---তাহার ভাল কথার উত্তরে ক্রুদ্ধস্বরেক্ট বলিল—“ন গো সাহেব, মই গ’ব না— এই কথানা আছে,--না ও গে নাও,—মুই ঘরকে 5न, ” বলিয়া সে উঠিয়া দাড়াইল ; চাধা বলিল - “আীরে হতভাগ্যি, সরকার তোর ভাল কবে ” স্ত্রীলোক রাগিয়া বলিল “ভtণ করবে ! সৃষ্টদের ভাল করে না । কেউ ! মোর থসম যহন বাচি ছিল— ভহন ম্যাজিষ্টরকে দুঃখের কথা কইতে গিয়ে কি মারটাই খাইছিল সে ! মরি রে মরি দম ফাটি উঠে। মুই যাব না, ওদের দরবারে, নসাবে ধ। লেখছেন আল্লা তাই হ’বে ।” স্বীলোকটি চলিয়া যাটতে উদ্যত দেখিরা মিঃ রে নিকটে আসিয়া তাহার হাতে দশ টাকার একখানা নোট দিলেন। সে অবাকৃ হইয়া তাহাব মুখের দিকে চাহিয়া রহিল, তিনি অশ্ব ছুটাইয় গৃহাভিমুখে গমন করিলেন ; পরে তদন্তের ফলে যে সিপাহীব দোষ প্রমাণিত হইল - তাহাকে পদচু্যত করিলেন । পরদিন কলিকাতার ডাক্তার আসিলে ম্যাজিষ্ট্রেট র্তাহাকে শরৎকুমারের কথা জানাইলেন, রাজার সহিত তিনি বিদ্রোহের অপরাধে অভিযুক্ত শুলিয়া ডাক্তার ‘সাহেব’ সংশয়চিত্ত হইয়া সবিস্ময়ে কহিলেন—“আমি রাজাকে যতদূর জানি—তাহাতে এ কথা অসম্ভব বfলয়াই মনে হয় । সম্ভবতঃ রাজাকে বিপদে ফেলিবার চেষ্টায় ইহাও সুজন রায়ের একটা চলি ।” অতুলেশ্বরকে পুৰ্ব্বে চিকিৎসা করিতে আসিয়া সুজন রায়ের বিদ্বেষপ্রস্থত অনেক ঘটনার কথাই ডাক্তার শুনিয়াছিলেন, এই প্রসঙ্গে সে গল্পও দুই একটা তিনি করিলেন । মিঃ রো শরৎকুমারকে মনয়নে দেখিয়াছিলেন, তাহাকে দোষী মনে করিতে র্তাহার ইচ্ছা হইতেছিল না, ডাক্তারের মুখে তাহার ইচ্ছার পোষকবাক্য তিনি বেশ সন্তুষ্ট হইয়াই শুনিলেন । যথাসময়ে দুই জন কন্‌ষ্টেবল শরৎকুমারকে মিঃ রোর বাঙ্গলোয় আনিয়া হাজির কfরল । রোগীকে CitfVIII SIIf IT 5I GTFITA– consultation করিতে বসিলেন। শরৎকুমার বলিলেন, "একখানা অতি ক্ষুদ্র ভাঙ্গ হাড়ের কুচি এখনো ভিতরে আছে বলির মনে হয় সেটুকু বাহির করিয়া দিলেই রোগী আরাম হইয়। যাইবেন ।” শরৎকুমারের কথায় ৬ক্তিার আর একবার রোগীর পী পরীক্ষণ করিয়া দেখিলেন এবং তাহার মীমাংসাই ঠিক বুঝিয়া একটু অপ্রতিভভাবে কহিলেন—“অন্ত ৬। ক্লারের উপর বিশ্বাস ক’রে নিশ্চিন্ত থাকাটাই দেখছি আমার ভুল হয়েছে। অার একবার তা হ’লে অপারেসনই না করলে চলবে না, দেখছি।” শরৎকুমার বলিলেন “সামান্ত operation, তাতে ভয়-ভাবনার কোনও কারণ নেই।” সেই দিনই তৎক্ষণাৎ তাহারা মিলিয়া রোগীর ক্ষতস্থান হইতে যথানিয়মে ভাঙ্গা হাড়ের কুচি বাহির করিয়া দিলেন । operation বেশ নিৰ্ব্বিঘ্নে শেষ হইল। ডাক্তার তখন রোগীর তত্ত্বাবধান-ভার শরৎকুমারের উপর দিয়া অপরাহ্লে বিদায় গ্রহণ করিলেন । যাইবার সময় ডাক্তার মিঃ রোকে বণিয়া গেলেন—“এবার রোগী শীঘ্রই আরাম হ’য়ে উঠবেন, সম্ভবতঃ আমাকেও আর আসতে হবে না। তবে যদি দরকার হয়—শরৎকুমার জানালেই আমি আসিব ।” প্রকৃতই অন্ত কোন ডাক্তারকে অণর ডাকিতে হইল না। শরৎকুমারের চিকিৎসার রোগী এক সপ্তাহের মধ্যেই অল্প-সল্প নড়িয়া চড়িয়া বেড়াইতে লাগিলেন এবং পরে অল্পদিনের মধ্যেই ক্ষতস্থানের আঘাত-বেদনা এমন বেমালুমভাবে মিলাইয়া