পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মিলন-রাত্রি শু্যামাচরণ মাথা হেট করিলেন, রাজা বলিলেন, “আমি দালানে যাচ্ছি, মুখুয্যেমশায়কে বলুন গিয়ে ; তিনি যেন হাসিকে নিয়ে দালানেই আসেন। আর অনাদি ফিরলেই তাকেও দালানে আনবেন । আপনি যেন অন্ত কোন কথা এখন অনাদিকে কিছু বলবেন না, যা বলার আমিই তাকে বলব।” বিচিত্র স্তস্তাবলী-মুশোভিত মৰ্ম্মর-প্রস্তরময় ঠাকুর-দালান বিদ্যুতালোকে সমুজ্জল। সম্মুখে উচ্চ বেদীর পশ্চাদ্বন্তী দেয়ালের ভিতরে কারুকার্য্য ক্ষোদিত ক্ষুদ্র প্রকোষ্ঠ, তন্মধ্যে প্রসাদপুরের রাজবিগ্রহ শু্যাম মন্দর এবং রাধীরাণী—বিরাজিত । বেদীর নীচের দিকে গালিচাবিস্তৃত প্রস্তর-মেজিয়ার উপর সম্প্রদানের প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি, বর-কন্তরি আসন, ফুলমাল্য শোভিত ভগবানের প্রতিনিধিস্বরূপ সীক্ষি-শিলা শালিগ্রাম বি গ্রছ এবং আশে পাশে মাল্য চন্দনের থাল, বসন ভূষণের থালা প্রভৃতি সমস্তই যথানিয়মে রক্ষিত। কৃষ্ণলtলের সহিত হাসি এই দালানেষ্ট আসিয়া উপস্থিত হইল। হাসির প্রাণ তখনো রাজার বিপদচিন্তায় স্থঃথ-প্ৰপীড়িত। অশ্রুপূর্ণ নয়নে সে রাজাকে কহিল, “ডেকেছেন আপনি ?” হাসির বিষাদ-গম্ভীর মুখ দেখিয়া রাজা আর তৎক্ষণাৎ তাহার বিবাহের কথা তুলিতে সাহস পাইলেন না, শুধু বলিলেন—“হাসি ?” হাসি উত্তর করিলেন, “আজ্ঞা করুন ?” "মুখুয্যেমশায়ের কাছে সব কথা শুনেছ বোধ হয়!” “ক্ষমা কৰ্ব্বেন রাজ বাহাদুর ! আপনি ফিরে অম্বিন আগে, তথন ও সব কথা ভাবার সময় আসিবে ।” “আমি ফিরে আস্ব ? দেখছিনে হাসি ?” রাজা বিষাদ-মলিন ক্ষীণ হাসি হাসিলেন । হাসির অশ্রু শুকাইয়া গেল। রাজকন্যা এই একটুখানি আগে তাহীকে যে কথা বলিয়াছিলেন - সে কথা তাহার মনের পাতে আটার মত ভাটিয়া গিয়াছিল। সে সতেজ বিশ্বাসে বলিয়া উঠিল, “যদি অমঙ্গল উদ্দেশ্যেই স্বষ্টি না হয়ে থাকে—ভগবান যদি প্রকৃতই মঙ্গল সত্য হন—তবে নিশ্চয়ই অচিরাৎ আপনি মুক্তিলাভ করবেন । মিথ্যার বল সম্লতানের বল, সে বল ক্ষণস্থায়ী – সত্যের বলই স্থায়ী পরম বল। এতে আপনি সংশয় করছেন কেন ? আপনি যে শীঘ্র মুক্তিলাভ করবেন, অামার হাতে কিছুমাত্র সংশয় নেই।" তার ত কোন আশ। Ꮡ☾ রাজ। এতদিনে হাসিকে একটি সুন্দর হালি বলিয়াই জানিতেন ; তাহার সেই তরল চঞ্চল মাধুরীর মধ্যে এমন গভীর গাম্ভীৰ্য্য দেখিয় তিনি বিস্ময়ে নীরব হইয়া পড়িলেন, মনে মনে ভাবিলেন, এ বাক্য কি দেবতার আশীৰ্ব্বাদ অথবা দুঃখীজনের প্রতি শুধু মমতার সাস্বনা ! হাসি রাজার নিকট হইতে একটু সরিয়া গিয়৷ দালানে প্রতিষ্ঠিত যুগল দেবতার প্রতি করযোঢ় হইয় সৰ্ব্বাস্ত:করণে একবার প্রার্থনা করিল। তাহার পর পুনরায় রাজার কাছে আসিয়া ঠাহীকে প্রণিপাতপুৰ্ব্বক উঠিয়া দাড়াইয়। তিনি কিছু বলিবার পুৰ্ব্বেই দালান পার হইয়া গেল। হাসির পিতা বরাবরই কিছুদূরে দাড়াইয়াছিলেন, ধীরে ধীরে ওঁ শব্দ উচ্চারণ করিতে করিতে তিনি ও তাহার সহবৰ্ত্তী হইলেন। একাকী দাড়াইম্বু রাজার কেবল মনে হইতে লাগিল, উহা কি দেবতার আশীৰ্ব্বাদ-- না শুধুই স। স্বনা বাক্য । তাহার অন্তদেশ– হইতে একটি সুদীর্ঘ নিশ্বাস উথলিয়া উঠিল –মুখে বা দুঃখে সংশয়ে বা বিশ্বাসে, অশায় বা নিরাশায় কে বলিবে । ত্ৰেয়ন্ত্রিংশ পরিচ্ছেদ ওষ্ঠাধর আকর্ণ বিস্তরপূর্বক সুজন রায় খনৰ্থনে হাসি হাসিলেন । হিংসা-পরিতৃপ্তিব কি মহানন্দ ! যে ভাগ্যবান, একমাত্র সেই ব্যক্তিই এই মুখ লাভ করে ! অতুলেশ্বরকে গ্রেপ্তার করিয়া আনিতে পুলিস কলিকাতায় গিয়াছে ; হাতে কড়ি, পায়ে বেড়ি লাগাইয় খুনী নারকার মত র্তাহাকে যখন আদালতের কাঠগড়ায় অনিয়া দাড় করাষ্টবে, তখন ? সেই অপরিমিত মুখ ওরে মন, সইতে পারবি ত তুই ? বাছার আমার সেই গৰ্ব্বদীপ্ত চাদপান মুখখানায় রাহুগ্রাসে অমাবস্তার মাধি লাগিয়ে দিয়েছে । পুর্ণ গ্রহণ রে পুর্ণ গ্রহণ ! দেখবামাত্র মন রে, তোর জীবনের সমস্ত পাপ, তাপ, জাল, মুহূর্বে খণ্ডিত হয়ে যাবে। ও সে কি পরমানন্দ ! বল রে মন, জয় জয় সুজন রায়ের জয় | শয়ন-গৃহের পাশ্বের যে কুঠুরীতে গাদি গাদি রসিদপত্র চারি দেয়াল মাচ্ছন্ন করিয়৷ কড়িকাঠ স্পর্শ করিয়াছে, রাত্রিকালে সেই ঘরের মধ্যে একখানা हेजिएकृब्रांद्दछ अनिम्नां शूछन ज्ञाग्न छैसषझाए॰ डैशंक