পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

しペ9 নব সৌভাগ্যের কথা ভাবিতেছিলেন। ভাবিতে ভাবিতে ছাপিট যখন একটু কমিয়। আসিল, শয়নগুহে আসি। তখন খাটের মশারিট। তুলিয়৷ ধরিয়া গৃহিণীকে একটা ঠেলা দিয়া বলিলেন - “ওগো, শুনছ?” গৃহিণী ঘুমের ঘোরেই রাগ করিয়া বলিলেন —“শ্লীলাতন করে না বলছি, ঘুমোতে হয় ঘুমে ও —নইলে উঠে যাও।” গৃহিণীর মনের ধরণ, প্রভৃটি ঠার শব্যাপার্থেই অাছেন । সুজন রায় বুলিলেন, এ অনন্দের ভাগদার—তাঙ্গার মনটিকে ছাড়া দ্বিতীয় কীষ্টাকে ও আর পাইবেন না তিনি,—একাকীই তাঙ্গকে ষ্টহীর সমস্ত ভীর বহন করিতে হুইবে । ঘড়ীতে ঢং ঢং করিয়া দুষ্টট বাজিল,—তিনি মশারিট ফেলিয়া দিয়া ভূত্য ভোদার তল্লাসে দালনে আসিয়। টাড়াইলেন । কম্বলাবৃত ভে দা তখন ভূমিতলে মশারিখৃষ্ঠ মাছুরে গুইয়া গ্রচুর ডাক-হাক এবং মশার দংশন ভুলিয়া দিব্য আয়েসে নাক ডাক'ষ্টতেছিল। পায়ের ঠেলায় তাহাপ মুখনিদ্রা ভঙ্গ কপিয়া সুজন রায় কঙ্গিলেন, অনেক “ঘুমিয়েছি। — ওঠ পেটা এখন, এক ছিলিম তামাক দে ।” ভোদার এখানে শুইবার উদ্বেগুই ছিল তাঙ্গাই । সে চেপি রগড়াইলে রগড়াইতে উঠিয় দালানের এক কোণে রক্ষিত সরঞ্জামাদি হইতে অবিলম্বে এক চিলিম তামাক সাজিয়া ষ্ট'কটি বাবুঞ্জীর ইস্তে দিয়াই একবার অপ্ত রাত্রিকার মত এখান হইতে বিদায় গ্রহণ করিল । ই কণর ঘড়ঘড়ানি এব’ কাসির খক্গক নিতে অত:পর রাত্রির নিস্তব্ধ শু। বিচলিত করিয়া তুণিয়ী রায় মহাশয় কতকটা সংযতচিত্ত্ব হইয়া ভাবিলেন—“ন, আদালতে তাকে দেখতে য। পূৰ্ণ হবে না ; লোকে নিন্দ করলে 1 অ|মলt 1াদের মুখের কথাতেই তার অন্ধকণর চেহারাখানা আমার চোখে টাদের মতই ফুটে উঠবে ! দরকার কি সেখানে নবার, ভাল দেখাবে না-সেট। ভাল দেখাবে ন!—বুঝলি ত থ মন, সেটা ভাল দেখলে না ।* তিনটা বাজিল,কলিকার আগুনটুকুও প্রায় নিঃশেষ হইয়া আসিল—তিনি এই বার ‘পদ্মনাভকে স্মরণ করিয়া খাটে উঠিলেন। বিছানায় বসিয়া ভাবিলেন —“এখন থেকে রায়-বংশের প্রধান হ'লেম ত আমরাই, অখণ্ড রাজ্যের বিরাট অধিনায়ক ত আমরাষ্ট !” অপৰ্য্যাপ্ত আনন্দে তাহার হৃদয়খন ফাটিয়া উঠিতে চাহিল- -তিনি আবার গৃহিণীকে ডাকিলেন– “শোন না গো,- ম্যাজিষ্ট্রেট স্পষ্ট ক'রে ব'লে গেছেন,— স্বর্ণকুমারী দেবীর গ্রন্থাবলী বিজনকেই তিনি গদিতে বসবেন---তোমার ছেলে রাজা হবে---ওগো রাজা হবে---শুনছ ত ?* গৃহিণী কোন উত্তর করিলেন না ; তাহাকে ঠেলিয়া উঠাইতে অার সাহস হইল না। রায় মহাশয় তখন পাশ ফিরির চোখ বুজিলেন-নয়ন মুদ্রিত রহিল – কিন্তু অধরোষ্ঠ আবার ছাস্তরেখায় বিস্ফারিত হইয়া উঠিল—“কায় রে অতুল, বtছ। আমার ! এত দিন যে অহঙ্কারে মাটীতে তোর পা পড়ত না ! আমার ছেলেকেও তাই কন্যাদানে অস্বীকৃত হয়েছিলি তখন ! এই বার পথে এস বাবা ! তোমার মেয়ে যতই সুন্দরী হোক না কেন – মামার পুত্রবধু গুপীর যোগ্য নয়— নয়—নয় ! কে চায় মেয়েকে তেলি – কে পৌছে !” এইরূপ মুখকল্পনায় মুজন রায় বিনিদ্র রাত্রি যাপন করিলেন । কিন্তু সয়তানের এত আনন্দ দপহারীর প্রাণে বাজিল, র্তাহীর মহামুপ্তি ভঙ্গ হইল । পরদিন সুজন রায় সংবাদ পাইলেন, অতুলেশ্বর জেলবন্দী হয়েন নাই, জামীনমুক্ত হইয়া বিচারশেধ পৰ্য্যস্ত আপাতত: প্রসাদপুর-প্রাসাদেই আটক রহিলেন । আরও শুনিলেন যে, বিলাতেও তাইfর পক্ষ হইতে আবেদনপত্র গিয়াছে । ক্লাউডেন সাহেব পাল মেণ্টের এক জন মেম্বর--হয়কে নয় করিতে তাহার কতক্ষণ । তাহার চেষ্টায় রাজ-বিরুদ্ধের সমস্ত প্রমাণ হয় ত বা অপ্রমাণ হইয় পড়িলে—ফলে রাজা যিনি, তিনি বাজা, আর ভিখারী যে, সে ভিথtরাষ্ট থাকি যাইবে । তবুও দুরাশীর আশ। বুকে অঁটিয়া তিনি মুসংবাদের জন্ত অপেক্ষা করিয়া রহিলেন । চামুণ্ড;-মন্দিরে ঘন ঘন পীটা, মহিষ বলি এবং গৃহে হোম-স্বস্ত্যয়ন প্রভৃতি নিয়মিত চলিতে লাগিল । তবু কিন্তু ভাগ্যদেবী প্রসন্ন হইলেন না, প্রায় অtড়াই বৎসর অপেক্ষার পর, রাজা জানিবার পূর্বেই মনরো সাহেবের পরে তিনি জানিলেন, ক্লাউডেন সাহেবের চেষ্টার ফল ধরিয়াছে। মনরো সাহেবের বিরুদ্ব-চেষ্টা ব্যর্থ করিয়া খুব সম্ভব রাজা শীঘ্রই মুক্তিলাভ করিবেন । স্বজনের আশা-ভরসা, বজ্ৰদণ্ডে যেন চুরমার হইয়া গেল, বিপদের সময় আবার তাহার মনে পড়িল রাজকণ্ঠাকে । এই অকূল পাথরে তিনিই একমাত্র তাঁহাদের আশা-তরণী । তাহার সহিত যদি পুত্রেব বিবাহ দিতে পারেন, তবেই সব দিক রক্ষণ পায় । কিন্তু অতুলেশ্বর ষেকপ একগুঁয়ে লোক---প্রেমারার তাড়ায় যদি তাহীকে বশে অনিতে পারেন ত পরিলেন, নহিলে এ আশাও তাহার বৃথা । এই উদ্দেশু মনে ধরিয়া স্বজন রায়