পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মিলন-রীত্রি রায় বাহাদুর বড়ই মুসড়িয়া গেলেন । কিছু পরে বলিলেন—“এখনকার ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেব কিছু ঠাণ্ডামেজাজের লোক, এখানে তাই তবু তোমাকে থাকতে দিয়েছে। হাকিম যে বিচার করতে আসছে, সে না কি বড় কড়া, শুনে পর্য্যস্ত ভাবনায় অস্থির হয়ে পড়েছি।” অতুলেশ্বর মনে মনে হাসিয়া গম্ভীর মুখে বলিলেন —“অত ভাবন করবেন না, খুড়ে ।” "বল্লেই কি বাবা মন প্রবোধ মানে ? তোমার খুড়ীমা ত অtহার-নিদ্রা ত্যাগ করেছেন। আসতে চাচ্ছিলেন ‘আজ তিনি, আমি বল্লুম, আগে নিজে গিয়ে একবার দেখে অগসি * "আনলেন না কেন তাকে ? তিনি এলে খুব খুীই হতুম । রাজা সত্য কথাই কহিলেন । উত্তরে সুজন বলিলেন, “হ্যl, তা আনিব এবার । কিন্তু আসবেই ব। কখন ? তিনি ঠাকুরঘরে ত সারাদিন ধন্ন দিয়েষ্ট পড়ে অাছেন । বিচিত্র লীলা ভগবানের, রাজাকেও তিনি ফকীর বানাচ্ছেন—অার ফকীরকে ও রাজমুকুট পরাচ্ছে ন ।" সহানুভূতি প্রকাশ করিতে গিয়া তাহার বাক্যের মধ্য দিয়া আনন্দ লীলায়িত হইয়া উঠিল ; কৌতুকদৃষ্টিতে তাহ দেসিয়া রাজা বলিলেন -"এবার চামুণ্ডাপুজায় কত বলি দিলেন খুড়া মশায় ।” স্বজন ইহার অর্থ বুঝিলেন ; কিন্তু না দমিয়া অন্ত অর্থে কথাটা ঘুরাইয়া লইয়া বলিলেন—“এ বিপদের সময় বলি দেব না ত কখন আর দেব ? শাস্ত্র যে মানে, বলির মাঙ্গাত্মাও তাকে মানতে হয় । আজকালকার ছেলেদের মতিগতি সব উণ্টো—কিন্তু তাতে কি সংসারে মুখবৃদ্ধি হচ্ছে ?” অতুলেশ্বরও এ বাক্যবাণ সহজেই পরিপাক করিম লইয়া কহিলেন, “ঠিক বলেছেন খুড়ো । জীবনটা ভুলের মধ্যেই কাটলো, যদি সময় পাওয়া যায়, তা হ’লে আপনার পথ ধ’রেই চলতে শিখব ।” সুজন রায় জিভ কাটিয়া বলিয়া উঠিলেন –“ও কি কথা বলিস ? অমন কথা মুখে আনিস নে, তোর এ খুড়ে যতক্ষণ আছে, ততক্ষণ তোদের বিন্দুবিসর্গ চিস্তা নাস্তি । তুষ্ট ভাবিস, আমি তোর শত্ৰু,— বিষয়ের অংশীদার হ’লে সময় সময় শঞতা করতে হয় বৈ কি, কিন্তু এখন যে তোর অপমানে রায় বংশের অপমান, এ অপমান ত আমার প্রাণে সহ হচ্ছে ন। এই কথা আমি মহারাণীকেও বলছিলুম, জার তোমাকেও বলছি ।" సి.పి , “এ সময় তার দেখা পেলেন ?” "কেন পাব না ? আমি কি বেরান লোক নাকি ? তিনি আমার কাছে মেয়েটার জন্ত কত দুঃখই করলেন । তার ভারী ইচ্ছে, আমি পুত্রবধু করি তাকে । আমিও ত এতে আপত্তির কোন কারণ দেখিনে, তুমি বল্পেই দিনক্ষণ একটা ঠিক হয়ে श्iब्र ।” রাজার মনে এ কথায় বেশ বড় রকম একটা ক্রোধের তরঙ্গ উঠিল—কিন্তু সবলে তাহ চাপিয়া লইয়া বলিলেন—“জামাই ত আমার ঠিকই আছে, শরৎকুমার এলেই বিয়ে হয়ে যাবে ।” স্বজন বায়ও ক্রোধে জলিয়া উঠিলেন এবং ক্রুদ্ধভাবেই বলিলেন “সে হতভাগাটা ত জেলে পচছে, প্রসাদপুরেব রাজার মেয়ের ভাগ্যে শেষে এই বর !" "fচরদিন ভ অণর সে জেলে থাকবে না ।” "জেলে না থাকে —অ{ওীমানে যাবে। কি না জেনেছি সে খবর 1* “আচ্ছা, বিচার ত শেষ হয়ে স্বীকৃ। তখন সে বিষয় ভাববার সময় আসলে ।" সুজন অfর আত্মসংবরণ করিতে পারিলেন না বলিয়া উঠিলেন– “অধ:পাতে বা তবে । আমি ভাল কথা বল্লে ও মন্দ হয়-—শত্রু কি না আমি । আচ্ছা! বেশ, তfষ্ট হোক ; আমার মিত্র ও উপেক্ষা করলি, শক্ৰতাটা কি রকম, তাই দেখে নে এবার ! তোমার জীবনের কলকাঠি বাবা হাতে নিয়ে তবে এখানে এসেছি ” বলিয়া চেকখানা দেখাইয়া বলিলেন— "এই চেক তুমি বীদের দিয়েছিলে, তারা আমার কাছেই এনেছিল—ভাঙ্গাবার জন্তে, এ চেক আমি এখনও দাখিল করি নি কোটে। বুঝলে ত ?” স্বজনের হাতে এ চেক দেখিয়া রাজা প্রথমটা বিস্মিত হইলেন ; মুহূর্বে সে বিস্ময় সন্দেহে মিলিত হইল ;–র্তাহার বিরুদ্ধে এই যে সব ষড়যন্ত্র, তাহা রায় খুড়োরই কাও নয় ত ? তিনি একটু চড়া স্বরে কহিলেন - “বেশ, চেক কোর্টে দাখিলই করবেন— তার জন্ত আমি ভীষ্ঠ নই ; জাল চেক আপনার বিরুদ্ধেষ্ট প্রমাণ দ। ড্রাবে।” রায় পুড়ো অগ্নিশৰ্ম্ম ইষ্টয়া উঠিলেন ; রোষঅশীলিত স্বরে কহিলেন, “জাল চেক বটে ? তুমি বল্লেষ্ট ত হবে না । বুটে কি সাচ্চা, জহুরী লোকেই সেটা বিচার করবে। জঞ্জ, ম্যাজিষ্ট্রেট সবাই এই মুটোর মধ্যে, বুঝেছ যাদ্ধপন ?” রাজা বুঝিলেন, সুজন যাঙ্ক বলিতেছেন—তষ্ঠা ফাক আওয়াজ মুর ন ষ্টে – এই জাল (নাটক্ট অমি