পাতা:স্বর্ণ-শৃঙ্খল নাটক.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বর্ণ-শৃঙ্খল নাটক । ছেন । অতি ক্ষুদ্রপ্রাণী আমরাও অজ্ঞাতসারে সেই কৌশলের উপষোগিতা করিতেছি । অবশুই কোন মহাব্যাপার সম্পাদনের নিমিত্ত আমাদিগকে বিপদগ্ৰস্ত হইতে হইতেছে । ( নেপথ্যে গান— শোতিথিহামে রঙ মহলামে ) এই যে, মধ্যম দাদা আসিতেছেন । হা ! অনেকে অণক্ষেপ করিয়া কহেন যে, জগদীশ্বর অণমাদিগকে জ্ঞানা লোক দিয়াও তাহার জ্যোতিঃ সঙ্কীর্ণ করিয়াছেন, ভবিষ্যৎ আমাদের দৃষ্টিপথের বহিভূত রাখিয়া আমাদিগকে কুপমণ্ড কম্বরূপ করিয়াছেন । কিন্তু কি চমৎকার! একবার কি ভ্ৰমেও বিবেচনা করেন না যে, বিশ্বরচনাতে বিশ্বের মঙ্গলই বিশ্বকৰ্ত্তার প্রধান উদ্দেশ্য । তিনি আমাদিগকে যে যে নিয়মে বদ্ধ রাখিয়াছেন, যে যে শক্তি ও যে যে প্রবৃত্তি দিয়াছেন, তাহাই আমাদের শুভকর, তাহাই আমাদের মঙ্গলহেতু, তাহাতেই সস্তুষ্ট থাকিয় কৃতজ্ঞচিত্তে তাহার ধন্যবাদ করা অামাদের উচিত । তদতিরিক্ত দুরাশামাত্র । আমরা শিশুগণকে যে নিয়মে আহার প্রদান করি, তাহাই ত{হাদের সুপথ্য । তাহাদের স্বেচ্ছামত আহার দিলে কি অস্বাস্থ্যকর হয় না ? অামি জ্যোতিৰ্ব্বিদ্যাবলে ভবিষ্যতে বিপদ ঘটিবেক জানিতেছি, কিন্তু তাহাতে ফল কি ? “লাভঃ পরমে গোবধঃ” এই মাত্র । মধ্যম দাদা এ বিষয় জগত নন, তাহাতেইবা তাহার ক্ষতি কি ? নিরুদ্বেগে কালযাপন করিতেছেন । আমার মত জ্যোতিৰ্ব্বিদৃ নহেন, চিত অপেক্ষ তশপপ্রদ চিন্তালল তাহার হৃদয় দগ্ধ করিতেছে না । বলির: ছাগের আশু মৃত্যু জ্ঞান হইলে কি তৃণ সে গ্রহণ করে ?