পাতা:স্বর্ণ-শৃঙ্খল নাটক.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨ જ স্বর্ণ-শৃঙ্খল নাটক । আমাকে স্বভাবতঃই কাতর হইতে হয় । তুমি পুরুষ, অবলাকে বঞ্চনা করা তোমাদের জাতীয় স্বভাব ; তুমি যে ভ্রমরের পক্ষ হবে, সেও আশ্চর্য্য নয় । অৰ্জুন । চাৰ্ব্বঙ্গি ! ভ্রমরের প্রতি এত অসুযোগ কেন ? এদের দোষ কি ? আর নলিনীর সহিত তুমি সমব্যথ কেন ? দ্রৌপদী। বটে বটে, পুরুষের দোষ কি ? ওয়া, আমি কোথা যাব ? তা বলবেই তো ? আশ্রিত সরলা অবলাগণকে প্রতারণ করা তো তোমরা দোষের মধ্যে গণ্য করনা, বরঞ্চ সে তোমাদের পৌরুষের মধ্যে গণনীয়। তোমরা ক্রীড়াচ্ছলে আমাদের মৰ্ম্মভেদ কর, স্বচ্ছন্দে বাক্‌-কৌশলে বিশ্বাস জন্মাইয়া পরে অবসর পাইলে সৰ্ব্বনাশ কর । কিন্তু এক বারও মনে করন যে, তোমাদের পক্ষে ক্রীড়া বটে, কিন্তু আমাদের মৃত্যু অপেক্ষাও ক্লেশকর । তোমরাই যথার্থ পয়োমুখ বিষকুস্ত। “আমি তোমার দাস” “আমি তোমা বই অণর করে। নই” ইত্যাকার কয়েকট বচন দ্বারা অল্পবুদ্ধি স্ত্রীলোককে ভূলাও । তোমাদের এক ধন্ত শতেক ধন্য । আর আমাদেরও ধিক্ যে, বারস্বার বঞ্চিত হইয়াও এরূপ শূন্যগর্ভ বাক্যে আবার ভুলি । অৰ্জুন । বরাননে। যদি তুমি নিরপেক্ষ হইয়া বিচার কর – দ্ৰৌপদী | ক্ষমা কর, আর আমার নিরপেক্ষতায় কায নাই, বিচারেও কাষ নাই, আমি যা শুনিয়াছি তাই যথেষ্ট, আর কেন ? অৰ্জুন ! হরিণাক্ষি । তথাচ একবার শুনা উচিত, না শুনিয়া দণ্ড করা অবিধি । দ্রৌপদী। (ঈষদ্ধাস্ত করিয়া অৰ্জুনের হস্ত আপন হস্ত হইতে নিক্ষেপ