স্বর্ণ-শৃঙ্খল নাটক । &న দুৰ্য্যো । ( কর্ণের প্রতি ) বন্ধে ! এইটি না তোমার পুত্র, অামার জ্ঞান ছিল যে এটি সুবোধ বালক, এখন দেখি বিকর্ণ তে৷ বরং ভাল, এ আবার “সপাপিষ্ঠস্ততোধিকঃ" ( বৃষকেতুর প্রতি ) অহে, একটা অধিকার শব্দ লইয়া তোমরা কি মিথ্য বিতণ্ডা করিতেছ ? আমি এক কথায় তোমাদিগের সকল কথার মীমাংসা করিতেছি । ভাল, জিজ্ঞাসা করি, পাণ্ডব দিগের অধিকারটাই বা কি ? দ্রৌপদীতে পাণ্ডবদিগের যেরূপ অধিকার, আমারও সেইরূপ অধিকার তোমারও সেইরূপ অধিকার । পাণ্ডবেরা দ্রৌপদীর স্বামী-বিষ্ণু ! স্বামিগণ (এই বলিয়া হাস্ক ; কর্ণ ও দুঃশাসন প্রভৃতিরও হাস্ত) ওরে ! আদৌ যে এই স্বামিত্বই অসিদ্ধ, এক স্ত্রীর একাধিক স্বামী কোন শাস্ত্রে আছে ? বেদ বিধি, সকল বিরুদ্ধ । বেদেই কহিয়াছেন "যথা হোকেন যুপেন" ইত্যাদি, যদি বল স্বামিত্ব অসিদ্ধ হইলে পণও অসিদ্ধ, তাহা নয়, কারণ যদিও দ্রৌপদী পাগুবদিগের স্ত্রী না হউক তাহাদিগের ভোগ্য দাসী ত বটে ; দাসীতে স্বামীর পণে সম্পূর্ণ অধিকার। আর পণ অসিদ্ধ হইলেই বা কি ? দৌপদী স্বৈরিণী, স্বৈরিণী জাতি স্বভাবতঃ স্বতন্ত্রা, কাহার ও অধীন নয় ; যতদিন পাগুবদিগের ঐশ্বৰ্য্য ছিল ততদিন দ্রৌপদী তাহদের ভোগ্য ছিল, এক্ষণে অবগুই অন্য চেষ্টা কfরবে। যাও হে! একজন যাও, দ্রৌপদীকে আন ; বলিও, এক্ষণে কৌরব ভজন করিলে ঐশ্বর্য্যের আর সীমা থাকিবে না । আর তাহার বিশেষ মনস্তুষ্টির হেতু কহিবে যে, পূর্বে পঞ্চজন লইয়া বিহার করিত ; এক্ষণে শত কৌরবের সহিত রসক্রীড়া করিবে, কারণ
