পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার সুমরনীতি ది £ বর্ণ(জাতি)কে স্পর্শ করে, অন্য বর্ণকে নহে। বিধবাবিবাহ-আন্দোলনে শতকরা সত্তর জন ভারতীয় নারীর কোন স্বার্থই নাই। আর সর্বসাধারণকে বঞ্চিত করিয়া যে-সকল ভারতীয় উচ্চবর্ণ শিক্ষিত হইয়াছেন, তাহাদেরই জন্য এ ধরনের সকল আন্দোলন । তাহারা নিজেদের ঘর সাফ করিতে এবং বৈদেশিকগণের নিকট নিজদিগকে মুন্দর দেখাইতে কিছুমাত্র চেষ্টার ত্রুটি করেন নাই। ইহাকে তো সংস্কার বলা যাইতে পারে না। সংস্কার করিতে হইলে উপর উপর দেখিলে চলিবে না, ভিতরে প্রবেশ করিতে হইবে, মূলদেশ পর্যন্ত যাইতে হইবে। ইহাকেই আমি 'আমূল সংস্কার’ বা প্রকৃত সংস্কার বলিয়া থাকি। মূল দেশে অগ্নিসংযোগ কর,'অগ্নি ক্রমশঃ উর্ধ্বে উঠতে থাকুক, [ আবর্জনা পুড়িয়া যাক ] এবং একটি অখণ্ড ভারতীয় জাতি গঠিত হউক । আর সমস্তা বড় সহজও নহে। ইহা অতি গুরুতর সমস্ত ; সুতরাং ব্যস্ত হইবার প্রয়োজন নাই! এটিও জানিয়া রাখো যে, গত কয়েক শতাব্দী যাবৎ এই সমস্যা সম্বন্ধে আমাদের দেশের মহাপুরুষগণ অবহিত ছিলেন। আজকাল বিশেষতঃ দাক্ষিণাত্যে বৌদ্ধধর্ম এবং বৌদ্ধধর্মের অজ্ঞেয়বাদ সম্বন্ধে আলোচনা একটা ঢঙ হইয়া দাড়াইয়াছে । আলোচনাকারীরা স্বপ্নেও কখন ভাবে না যে, আমাদের সমাজে যে-সকল বিশেষ দোষ রহিয়াছে, সেগুলি বৌদ্ধধৰ্মকৃত । বৌদ্ধধর্মই আমাদিগকে তাহার উত্তরাধিকারস্বরূপ এই অবনতির ভাগী করিয়াছে। যাহারা বৌদ্ধধর্মের উন্নতি ও অবনতির ইতিহাস কখনও পাঠ করেন নাই, তাহাদের লিখিত পুস্তকে তোমরা পড়িয়া থাকো যে, গৌতমবুদ্ধ-প্রচারিত অপুর্ব নীতি ও র্তাহার লোকোত্তর চরিত্র-গুণে বৌদ্ধধর্ম এরূপ বিস্তার লাভ করিয়াছিল । ভগবান বুদ্ধদেবের প্রতি আমার যথেষ্ট ভক্তি-শ্রদ্ধা আছে। কিন্তু আমার বাক্য অবহিত হইয়া শ্রবণ কর : বৌদ্ধধর্মের বিস্তার উহার মত বা *উক্ত মহাপুরুষের চরিত্রগুণে ততটা হয় নাই—বৌদ্ধগণ যে-সকল মন্দির নির্মাণ করিয়াছিলেন, যে-সকল প্রতিমা প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন, সমগ্র জাতির সমক্ষে যে-সকল আড়ম্বরপুর্ণ ক্রিয়াকলাপ ধরিয়াছিলেন, এগুলির দরুন যতটা হইয়াছিল। এইরূপে বৌদ্ধধর্ম বিস্তারলাভ করে। এই-সকল বড় বড় মন্দির ও ক্রিয়াকলাপের সহিত সংগ্রামে धूम्ह প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিগত ক্ষুদ্র হোমকুওগুলি দাড়াইতে পারিল না। পরিশেষে ঐ সকল ক্রিয়াকলাপ-অনুষ্ঠান ক্রমশঃ অধঃপতিত হইল। এগুলি’ এরূপ স্বতি ভাৰ ধারণ ৰূরে যে, শ্লোবর্গের নিকট