পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У X o স্বামীজীর বাণী ও রচনা f স্বরের সহিত সঙ্গত হইয়া ঐকতান স্বষ্টি করিতেছে। কোন দেশের—যথা ইংলণ্ডের জীবনীশক্তি রাজনীতিক অধিকার । কলাবিদ্যার উন্নতিই হয়তো অপর কোন জাতির জীবনের মূল লক্ষ্য । ভারতে কিন্তু ধর্ম आजै बोर्कनत्व কেন্দ্রস্বরূপ, উহাই যেন জাতীয় জীবন-সঙ্গীতের প্রধান স্ট্রর। আর যদি কোন জাতি তাহার এই স্বাভাবিক জীবনীশক্তি–শত শতাব্দী ধরিয়া যে দিকে উহার বিশেষ গতি হইয়াছে, তাহা পরিত্যাগ করিতে চেষ্টা করে এবং যদি সেই চেষ্টায় কৃতকার্য হয়, তবে তাহার মৃত্যু নিশ্চয় । সুতরাং যদি তোমরা ধর্মকে কেন্দ্র না করিযা, ধর্মকেই জাতীয় জীবনের প্রাণশক্তি না করিয়া রাজনীতি, সমাজনীতি বা অন্য কিছুকে উহার স্থলে বসাও, তবে তাহার ফল হইবে এই যে, তোমরা একেবারে বিনাশপ্রাপ্ত হইবে । যাহাতে এরূপ না ঘটে, সেজন্য তোমাদিগকে তোমাদের প্রাণশক্তিস্বরূপ ধর্মের মধ্য দিয়। সব কাজ করিতে হইবে । তোমাদের স্নায়ুতন্ত্রীগুলি তোমাদের ধর্মরূপ মেরুদণ্ডে দৃঢ়সম্বন্ধ হইয়া নিজ নিজ মুরে বাজিতে থাকুক। আমি দেখিয়াছি, সামাজিক জীবনের ক্ষেত্রে ধর্ম কিভাবে কাজ করিবে — ইহা না দেখাইয়া আমি আমেরিকায় ধর্মপ্রচার করিতে পারিতাম না । বেদাস্তের দ্বারা কিরূপ অদ্ভুত রাজনীতিক পরিবর্তন সাধিত হইবে, ইহা ন৷ দেখাইয়া আমি ইংলণ্ডে ধর্মপ্রচার করিতে পারিতাম না । এইভাবে ভারতে সমাজসংস্কার প্রচার করিতে হইলে দেখাইতে হইবে, সেই নূতন সামাজিক প্রথা দ্বার। আধ্যাত্মিক জীবনলাভ করিবার কি বিশেষ সাহায্য হইবে। রাজনীতি প্রচার করিতে হইলেও দেখাইতে হইবে, মামাদের জাতীয় জীবনের প্রধান আকাঙ্ক্ষ-আধ্যাত্মিক উন্নতি উহার দ্বারা কত অধিক পরিমাণে সাধিত হইবে । এই জগতে প্রত্যেক মাহুষ নিজ নিজ পথ বাছিয়া লয় ; প্রত্যেক জাতিও ' সেইরূপ । আমরা শত শত যুগ পুর্বে নিজেদের পথ বাছিয়া লইয়াছি, এখন আমাদিগকে তদনুসারে চলিতেই হইবে । আর এই পন্থা-নির্বাচন এমন কিছু খারাপ হয় নাই। জড়ের পরিবর্তে চৈতন্য, মাহুষের পরিবর্তে ঈশ্বরের চিন্তাকে কি বিশেষ মন্দ পথ ‘বলিতে পারো ? তোমাদের মধ্যে পরলোকে দৃঢ় বিশ্বাস, ইহলোকের প্রতি তীব্র বিতৃষ্ণ, প্রবল ত্যাগশক্তি এবং ঈশ্বরে ও অবিনাশী আত্মায় দৃঢ় বিশ্বাস বিদ্যমান। কই, এই ভাব ত্যাগ কর