পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> &ぐう স্বামীজীর বাণী ও রচনা লইয়া যাইবার চেষ্টা করিতেছে; কিন্তু অর্ধ পথে গিয়াই ক্ষান্ত হয়, তোমাকে কেবল এক ধারণাতীত অতীন্দ্রিয় বস্তুর আভাস দেখাইয়া দেয়, তথাপি সুেই বস্তুর অস্তিত্ব সম্বন্ধে তোমার কোন সন্দেহ থাকে না । জগতে এমন কবিতা কোথায়, যাহার সহিত এই শ্লোকের তুলনা হইতে পারে ?– ' ন তত্র স্থযে ভাতি ন চন্দ্রতারকম নেমা বিদ্যুতো ভাস্তি কুতোহয়মগ্নিঃ , ' —সেখানে স্বর্য কিরণ দেয় না, চন্দ্র-তারাও নহে, এই বিদ্যুৎও সেই স্থানকে আলোকিত করিতে পারে না, এই সামান্ত অগ্নির আর কথা কি ? ' পৃথিবীর সমগ্র দার্শনিক ভাবের পুর্ণতর চিত্র আর কোথায় পাইবে ? হিন্দুজাতির সমগ্র চিন্তার, মানবজাতির মুক্তির সামগ্রিক কল্পনার সারাংশ যেমন অদ্ভুত ভাষায় চিত্রিত হইয়াছে, যেমন অপুর্ব রূপকে বর্ণিত হইয়াছে, তেমন আর কোথায় পাইবে ? e দ্বা স্বপর্ণ সমুজা সখায়। সমানং বৃক্ষং পরিষস্বজাতে । তয়োরন্যঃ পিপ্পলং স্বাদ্বত্ত্যনপ্পন্নন্ত্যোহভিচাকশীতি ॥ সমানে বৃক্ষে পুরুষো নিময়োহনীশয়া শোচতি মুহমান । জুgং যদা পশু্যত্যন্যমীশমস্ত মহিমানমিতি বীতশোকঃ ॥ যদা পশু: পশুতে রুক্মবৰ্ণং কর্তারমীশং পুরুষং ব্রহ্মযোনিম্। তদা বিদ্বান পুণ্যপাপে বিধূয় নিরঞ্জন পরমং সাম্যমুপৈতি ॥ ২ —একই বৃক্ষের উপর দুইটি সুন্দরপক্ষযুক্ত পক্ষী রহিয়াছে---উভয়েই পরম্পর সখ্যভাবাপন্ন ; তন্মধ্যে একটি সেই বৃক্ষের ফল থাইতেছে, অপরটি না খাইয়া স্থিরভাবে নীরবে বসিয়া আছে । নিম্নশাখায় উপবিষ্ট পক্ষী কখন মিষ্ট কখন বা কটু ফল ভোজন করিতেছে এবং সেই কারণে কখন স্বধী, কখন বা দুঃখী হইতেছে ; কিন্তু উপরিস্থ শাখার পক্ষীটি স্থির গম্ভীরভাবে উপবিষ্ট—সে ভালমন্দ কোন ফলই খাইতেছে না, সে মুখ-দুঃখ উভয়েই উদাসীন— নিজ মহিমায়ু মগ্ন হইয়া আছে । এই পক্ষিদ্বয়—জীবাত্মা ও পরমাত্মা । মানবাত্মার ইহাই যথার্থ চিত্র। মাহুষ ইহজীবনের স্বাদু ও কটু ফল ভোজন করিতেছে—সে কাঞ্চনের অন্বেষণে মত্ত—সে ইঞ্জিয়ের পশ্চাতে ১ কঠোপনিষদ, ২২।১৫ ২ মুণ্ডকোপনিষদ, ৩১ ১