পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> 88 স্বামীজীর বাণী ও রচনা করিয়া থাকেন। কোনরূপ কাল্পনিক ঈশ্বর অপেক্ষ আমাদের কল্পনাস্থষ্ট কোন বস্তু অপেক্ষা অর্থাং আমরা ঈশ্বর সম্বন্ধে যতটা ধারণা করিতে পারি,•তাহ অপেক্ষ তাহারা অধিকতর পুজ্য। ঈশ্বর সম্বন্ধে তুমি আমি যতটা ধারণা করিতে পারি, তাহ অপেক্ষ শ্ৰীকৃষ্ণ অনেক বড় । আমরা আমাদের মনে যতদূর উচ্চ আদর্শের চিন্তা করিতে পারি, বুদ্ধ তদপেক্ষ উচ্চতর আদর্শ, জীবস্তু আদর্শ। সেই জন্যই সর্বপ্রকার কাল্পনিক দেবতাকেও অতিক্রম করিয়া তাহারা চিরকাল মানবের পূজা পাইয়া আসিয়াছেন । আমাদের ঋষিগণ ইহা জানিতেন, সেইজন্য র্তাহারা সকল ভারতবাসীর জন্য এই মহাপুরুষ-উপাসনার—এই অবতারপুজার পথ খুলিয়া দিয়া গিয়াছেন । শুধু তাহাই নহে, যিনি আমাদের শ্রেষ্ঠ অবতার, তিনি আর একটু অগ্রসর হইয়া বলিয়া গিয়াছেন : যদ যদু বিভূতিমং সত্ত্বং শ্ৰীমদূজিতমেব বা । তত্তদেবাবগচ্ছ ত্বং মম তেজোহংশসম্ভবম্ ॥ —মানুষের মধ্য দিয়া যেখানেই অদ্ভুত আধ্যাত্মিক শক্তির প্রকাশ হয়, জানিও আমি সেখানে বর্তমান ; আমা হইতেই এই আধ্যাত্মিক শক্তির প্রকাশ হইয়া থাকে । ইহা দ্বারা হিন্দুগণের পক্ষে সকল দেশের সকল অবতারকে উপাসনা করিবার দ্বার খুলিয়া দেওয়া হইয়াছে। হিন্দু যে-কোন দেশের যে-কোনু সাধু-মহাত্মার পুজা করিতে পারে । আমরা কার্যতও দেখিতে পাই, আমরা অনেক সময় খ্ৰীষ্টানদের চার্চে ও মুসলমানদের মসজিদে গিয়া উপাসনা করিয়া থাকি। ইহা । ভালই বলিতে হইবে । কেন আমরা এভাবে উপাসনা করিব না ? আমি পুর্বেই বলিয়াছি, আমাদের ধর্ম সার্বভৌম । উহা এত উদার, এত প্রশস্ত যে, সর্বপ্রকার আদর্শকেই উহা সাদরে গ্রহণ করিতে পারে ; জগতে যতপ্রকার ধর্মের আদর্শ আছে, তাহাদিগকে এখনই গ্রহণ করা যাইতে পারে, আর ভবিষ্যতে যে-সকল বিভিন্ন আদর্শ আসিবে, তাহাদের জন্য আমরা ধৈযের সহিত অপেক্ষা করিতে পারি। ঐগুলিকেও ঐভাবে গ্রহণ করিতে হইবে, বৈদাস্তিক ধর্মই তাহার অনস্ত বাহু প্রসারিত করিয় সবগুলিকে আলিঙ্গন করিয়! w লইবে । 战 છો, ન