পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতীয় মহ্লাপুরুষগণ S 84 ততদিন কেবল ধর্মলাভের জন্য প্রস্তুত হইতেছ মাত্র, ততদিন পরোক্ষ বিবরণ দিতেছ মাত্র ৮ এক সময়ে বুদ্ধদেবের সহিত কতকগুলি ব্রাহ্মণের তর্ক হইয়াছিল। সেই সময়ে তিনি একটি অতি স্বন্দর কথা বলিয়াছিলেন, তাহ এখানে বেশ খাটে। ব্রাহ্মণের বুদ্ধদেবের নিকট ব্রহ্মের স্বরূপ আলোচনা করিতে আসেন। সেই মহাপুরুষ তাহাদের একজনকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনি কি ব্রহ্মকে দেখিয়াছেন ? ব্রাহ্মণ বলিলেন, না, দেখি নাই।’ বুদ্ধদেব আবার জিজ্ঞাসা করিলেন, ‘আপনার পিতা ?’, ‘না, তিনিও দেখেন নাই।’ ‘আপনার পিতামহ ?’ বোধ হয়, তিনিও দেখেন নাই ।” তখন বুদ্ধ বলিলেন, ‘বন্ধু, আপনার পিতৃপিতামহগণ ও র্যাহাকে দেখেন নাই, এমন পুরুষ সম্বন্ধে আপনি কিরূপে বিচার দ্বারা অন্যকে পরাস্ত করিবার চেষ্টা করিতেছেন? সমগ্র পৃথুিবী ইহাই করিতেছে । বেদান্তের ভাষায় আমাদিগকেও বলিতে হইবে ; নায়মাত্মা প্রবচনেন লভ্যো ন মেধয় ন বহুনা শ্রতেন । —বাগাড়ম্বর দ্বারা সেই আত্মাকে লাভ করা যায় না, মেধা দ্বারাও র্তাহাকে লাভ করা যায় না, এমন কি, বেদপাঠের দ্বারাও নয় । পৃথিবীর সকল জাতিকে লক্ষ্য করিয়া বেদের ভাষায় আমাদিগকে বলিতে হইবে, তোমাদের বাদ-বিসংবাদ বৃথা ; তোমরা যে-ঈশ্বরকে প্রচার করিতে চাও, তাহাকে দেখিয়াছ কি? যদি না দেখিয়া থাকে, তবে বৃথাই তোমার প্রচার ; তুমি কি বলিতেছ, তাহাই তুমি জান না ; আর যদি ঈশ্বরকে দেখিয়া থাকে, তবে তুমি আর বিবাদ করিব না, তোমার মুখই উজ্জ্বল রূপ ধারণ করিবে । এক প্রাচীন ঋষি তাহার পুত্রকে ব্রহ্মজ্ঞানলাভের জন্য গুরুগৃহে প্রেরণ করেন। সে যখন ফিরিল, পিতা জিজ্ঞাসা করিলেন, ‘তুমি কী শিথিয়াছপ’ পুত্র বলিল, সে নানা বিদ্যা শিথিয়াছে। পিতা বলিলেন, "কিছুই শেখ নাই ; আবার গুরুগৃহে যাও । পুত্র আবার গুরুগৃহে গেল ; ফিরিয়া আসিলে পিতা পুর্ববং প্রশ্ন করিলেন । পুত্ৰও পুর্ববং উত্তর দিল । তাহাকে আর একবার গুরুগৃহে যাইতে হইল। এবার যখন সে ফিরিল,তখন তাহার সমগ্র মুখমণ্ডল জ্যোতির্ময় হইয়া গ্লিয়াছে । তখন পিতা বলিলেন, ‘বংস, আজ তোমার कुंiश्रेनियं, s।२।२७