পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/১৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૪ ૭૨ স্বামীজীর বাণী ও রচনা বড় বড় উপাধিধারী পর্যন্ত র্তাহাকে দেখিয়া একজন মহামনীষী বলিয়া স্থির করিয়াছিলেন । তিনি এক অদ্ভুত মানুষ ছিলেন । সে অনেক কথা, অর্জ রাত্রে তোমাদিগের নিকট র্তাহার বিষয়ে কিছু বলিবার সময় নাই। সুতরাং আমাকে ভারতীয় সকল মহাপুরুষের পুর্ণপ্রকাশস্বরূপ যুগাচার্য মহাত্মা শ্রীরামকৃষ্ণের নাম উল্লেখ করিয়াই আজ ক্ষান্ত হইতে হইবে-এই মহাপুরুষের উপদেশ আধুনিক যুগে আমাদের নিকট বিশেষ কল্যাণপ্রদ। ঐ ব্যক্তির ভিতর যে ঐশ্বরিক শক্তি খেলা করিত, সেটি লক্ষ্য করিও । ইনি দরিদ্রব্রাহ্মণসন্তান, বঙ্গদেশের অজ্ঞাত অপরিচিত কোন মুদূর পল্লীতে ইহার জন্ম। আজ ইওরোপ-আমেরিকায় সহস্ৰ সহস্র ব্যক্তি সত্য সত্যই ফুলচন্দন দিয়া তাহার পুজা করিতেছে এবং পরে আরও সহস্ৰ সহস্ৰ লোক পুজা করিবে ! ঈশ্বরের ইচ্ছা কে বুঝিতে পারে ? হে ভ্রাতৃগণ, তোমরা যদি ইহাতে বিধাতার হাত না দেখিতে পাও, তবে তোমরা অন্ধ, নিশ্চিত জন্মান্ধ ; যদি সময় আসে, যদি আর কখনও তোমাদের সহিত আলোচনা করিবার সুযোগ হয়, তবে তোমাদিগকে ইহার বিষয় আরও বিস্তারিতভাবে বলিব ; এখন কেবল এইটুকু মাত্র বলিতে চাই, যদি আমার জীবনে একটিও সত্য কথা বলিয়া থাকি, তবে তাহা তাহার-র্তাহারই বাক্য ; আর যদি এমন অনেক কথা বলিয়া থাকি, যেগুলি অসত্য, ভ্ৰমাত্মক, ষেগুলি মানবজাতির কল্যাণকর নহে, সেগুলি সবই আমার, সেগুলির জন্য আমিই সম্পূর্ণ দায়ী।