পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

» ሣ e স্বামীজীর বাণী ও রচনা নাই, তাহারা সমাজকে তাহদের গ্রন্থরাশি উপহার দিয়া নীরবে দেহত্যাগ করিয়াছেন। আমাদের দর্শনকার বা পুরাণকারগণের নাম কে জানে ? তাহারা সকলেই ব্যাস, কপিল প্রভৃতি উপাধিমাত্র দ্বারা পরিচিত। র্তাহারাই শ্ৰীকৃষ্ণের প্রকৃত সস্তান । র্তাহারাই যথার্থভাবে গীতার শিক্ষা অনুসরণ করিয়াছেন । র্তাহারাই শ্ৰীকৃষ্ণের সেই মহান উপদেশ–‘কর্মণ্যেবাধিকারস্তে মা ফলেষু কদাচন’ ( কর্মেই তোমার অধিকার, ফলে কখনই নহে )—জীবনে পালন করিয়া গিয়াছেন । ভদ্রমহোদয়গণ, ভারত এইরূপে সমগ্র পৃথিবীতে প্রভাব বিস্তার করিতেছে, তবে ইহার জন্য একটি পরিবেশ প্রয়োজন । পণ্যদ্রব্য যেমন কাহারও নির্মিত পথ দিয়াই একস্থান হইতে অপর স্থানে যাইতে পারে, ভাবরাশি সম্বন্ধেও সেইরূপ । ভাবর।শি এক দেশ হইতে অপর দেশে যাইবার পূর্বে উহাদের যাইবার পথ প্রস্তুত হওয়া আবশ্বক ; আর পৃথিবীর ইতিহাসে যখনই কোন মহা দিগ্বিজয়ী জাতি উঠিয়া পৃথিবীর বিভিন্ন দেশকে এক স্বত্রে গাথিয়াছে, তখনই এই স্বত্র অবলম্বন করিয়া ভারতের চিন্তারাশি প্রবাহিত হইয়াছে এবং প্রত্যেক জাতির শিরায় শিরায় প্রবেশ করিয়াছে। যতই দিন যাইতেছে, ততই আরও প্রমাণ পাওয়া যাইতেছে যে, বৌদ্ধদের পুর্বেও ভারতীয় চিস্তারাশি পৃথিবীর সর্বত্র প্রবেশ করিয়াছিল। বৌদ্ধধর্মের অভু্যদয়ের পুবেই চীন পারস্য ও পুর্ব দ্বীপপুঞ্জে বেদান্ত প্রবেশ করিয়াছিল । পুনরায় যখন মহতী গ্ৰীকশক্তি প্রাচ্য জগতের সমুদয় অংশকে একসূত্রে গ্রথিত করিয়াছিল, তখন আবার সেখানে ভারতীয় চিস্তারাশি প্রবাহিত হইয়াছিল ; খ্ৰীষ্টধর্ম যেসভ্যতার গর্ব করিয়া থাকে, তাহাও ভারতীয় চিন্তার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সংগ্ৰহ ব্যতীত আর কিছুই নহে। আমরা সেই ধর্মের উপাসক, বৌদ্ধধর্ম-উহার সমুদয় মহত্ব সত্ত্বেও—যাহার বিদ্রোহী সন্তান এবং খ্ৰীষ্টধর্ম অত্যন্ত সামঞ্জস্যহীন অনুকরণমাত্র । আবার যুগচক্র ফিরিয়াছে, আবার সময় আসিয়াছে। ইংলণ্ডের দোর্দণ্ড শক্তি পৃথিবীর বিভিন্ন ভাগকে আবার একত্র করিয়াছে। রোমক রাজপথগুলির মতো ইংরেজের পথ—কেবল স্থলে নহে, অতলস্পর্শ সমুদ্রের প্রত্যেক অংশ দিয়া পর্যন্ত ছুটিয়াছে। ইংলণ্ডের পথগুলি সমুদ্র হইতে সমুদ্রাস্তরে ছুটিয়াছে। পৃথিবীর প্রত্যেক,অংশ অন্ত সকল অংশের সহিত যুক্ত হইয়াছে আর বিদ্বাং নব