পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/২৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সর্বাবয়ব বেদান্ত - 象之登 to উপনিষদ সংখ্যায় অনেক। কেহ কেহ বলেন ১০৮, কেহ কেহ আবার উহাদের সংখ্যা আরও অধিক বলিয়া থাকেন। উহাদের মধ্যে কতকগুলি স্পষ্টই আধুনিক, যথা—আল্লোপনিষৎ । উহাতে আল্লার স্তুতি আছে এবং মহম্মদকে রজস্বল্প বলা হইয়াছে। শুনিয়াছি, ইহা নাকি আকবরের রাজত্বকালে হিন্দু ও মুসলমানের মধ্যে মিলন-সাধনের জন্য রচিত হইয়াছিল। সংহিতাভাগে আল্লা বা ইল্লা অথবা এরূপ কোন শব্দ পাইয়৷ তদবলম্বনে এইরূপ উপনিষৎসমূহ রচিত হইয়াছে । এইরূপে এই আল্লোপনিষদে মহম্মদ রজস্বল্লা হইয়াছেন । ইহার তাৎপর্য যাহাই হউক, এই জাতীয় আরও অনেকগুলি সাম্প্রদায়িক উপনিষদ আছে। স্পষ্টই বোধ হয়, এগুলি সম্পূর্ণ আধুনিক, আর এইরূপ উপনিষদ-রচনা বড় কঠিনও ছিল না । কারণ বেদের সংহিতাভাগের ভাষা এত প্রাচীন যে, ইহাতে ব্যাকরণের বড় বাধাবাধি ছিল না। কয়েক বৎসর পুর্বে আমার একবার বৈদিক ব্যাকরণ শিখিবার ইচ্ছা হয় এবং আমি অতি আগ্রহের সহিত পাণিনি এবং মহাভাষ্য পড়িতে আরম্ভ করি । কিন্তু কিছুটা পাঠে অগ্রসর হইবার পর দেখিয়া আশ্চর্য হইলাম যে, বৈদিক ব্যাকরণের প্রধান ভাগ কেবল ব্যাকরণের সাধারণ বিধিসমূহের ব্যতিক্রম-মাত্র। ব্যাকরণে একটি সাধারণ বিধি করা হইল, তারপরেই বলা হইল বেদে এই নিয়মের ব্যতিক্রম হইবে। সুতরাং দেখিতেছ, যে-কোন ব্যক্তি যাহা কিছু লিখিয়া কত সহজে উহাকে বেদ বলিয়া প্রচার করিতে পারে । কেবল যাস্কের ‘নিরুক্ত’ থাকাতেই একটু রক্ষা। কিন্তু ইহাতে কতকগুলি সমার্থক শব্দের সন্নিবেশ আছে মাত্র। যেখানে এতগুলি স্থযোগ, সেখানে তোমার যত ইচ্ছা উপনিষদ রচনা করিতে পারে। একটু সংস্কৃতজ্ঞান যদি থাকে, তবে প্রাচীন বৈদিক শব্দের মতো গোটাকতক শব্দ রচনা করিতে পারিলেই হইল । ব্যাকরণের তে মার কৈান ভয় নাই, তখন রজমুল্লাই হউক বা যে-কোন স্বল্পাই হউক, তুমি উহাতে অনায়াসে ঢুকাইতে পারে । এইরূপে অনেক নৃতন উপনিষদ রচিত হইয়াছে, আর শুনিয়াছি, এখনও হইতেছে । আমি নিশ্চিতরূপে জানি ভারতের কোন কোন প্রদেশে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে এখনও এইভাবে নূতন উপনিষদ রচিত হইতেছে।” কিন্তু এমন কতকগুলি উপনিষদ আছে, সেগুলি স্পষ্টই খাটি জিনিস বলিয়া বোধ হয় । “ শঙ্কর, রামানুজ ও অন্যান্য বড় বড় ভাষ্যকারের সেইগুলির উপর ভান্য রচন-রিয়া গিয়াছেন। r 意一》登