পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१३b~ স্বামীজীর বাণী ও রচনা তাহারা আত্মাতেই সকল সমস্যার সমাধান পাইলেন ; তাহারা এই আত্মতত্বের আলোচনা করিয়াই বিশ্বেশ্বর পরমাত্মাকে জানিলেন এবং জীবাত্মার সহিত পরমাত্মার সম্বন্ধ, তাহার প্রতি আমাদের কর্তব্য এবং এই জ্ঞানের ' মাধ্যমে আমাদের পরস্পরের সম্বন্ধ, সকলই অবগত হইলেন । আর " এই আত্মতত্ত্বের বর্ণনার মতো গাম্ভীর্যপুর্ণ কবিতা জগতে আর নাই। জড়ের ভাষায় এই আত্মাকে চিত্রিত করিবার চেষ্টা আর রহিল না ; এমনকি আত্মার বর্ণনায় নির্দিষ্ট গুণবাচক শব্দ তাহারা একেবারে পরিত্যাগ করিলেন। তখন আর আনস্তের ধারণা করিবার জন্য ইন্দ্রিয়ের সহায়তা-লাভের চেষ্ট রহিল না । বাহ্য ইন্দ্রিয়গ্রাহ অচেতন মৃত জড়ভাবাপন্ন অবকাশরূপ অনস্তের বর্ণনা লোপ পাইল ; তৎপরিবর্তে আত্মতত্ত্ব এমন ভাষায় বর্ণিত হইতে লাগিল যে, উপনিষদের সেই শব্দগুলির উচ্চারণমাত্রই যেন এক স্বহ্ম অতীন্দ্রিয় রাজ্যে অগ্রসর করাইয় দেয় । দৃষ্টান্তস্বরূপ সেই অপুর্ব শ্লোকটির কথা স্মরণ কর : # ন তত্র স্বর্যে ভাতি ন চন্দ্রতারকম নেমা বিদ্যুতো ভাস্তি কুতোহয়মগ্নিঃ । তমেব ভান্তমকুভাতি সৰ্বং তস্ত ভাসা সর্বমিদং বিভাতি ॥১ —সুর্য সেখানে কিরণ দেয় না, চন্দ্র-তারকাও নহে, এই রিদ্যুৎ তাহাকে আলোকিত করিতে পারে না, এই অগ্নির আর কথা কি ? জগতে আর কোন কবিতা ইহা অপেক্ষ গম্ভীরভাবদ্যোতক ? এইরূপ কবিতা আর কোথাও পাইবে না । , সেই অপুর্ব কঠোপনিষদের কথা ধর । এই কাব্যটি কি অপুর্ব ও সর্বাঙ্গসুন্দর । ইহাতে কি বিস্ময়কর কলানৈপুণ্য প্রকাশ পাইয়াছে ! ইহার আরম্ভই অপুর্ব! সেই বালক নচিকেতার হৃদয়ে শ্রদ্ধার আবির্ভাব, তাহার যমপুরীতে যাইবার ইচ্ছ, আর সেই আশ্চর্ষ তত্ত্ববক্তা স্বয়ং যম তাহাকে জন্ম-মৃত্যু-রহস্তের উপদেশ দিতেছেন! আর বালক তাহার নিকট কি জানিতে চাহিতেছে ?—মৃত্যু-রহস্ত । * উপনিষদ-সম্বন্ধে দ্বিতীয় কথা, যে বিষয়ে তোমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করিতে চাই, তাহা এই—ঐগুলি কোন ব্যক্তিবিশেষের শিক্ষা নহে। যদিও ১ মৃগুক উপ ।২।১৪