পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/২৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সর্বাবয়বু বেদান্ত RNඵI আনিয়াছে, এমন কি যে স্পর্শ করিয়াছে, তাহার গুণদোষ বুঝিতে পারিতেন, এবং আমি নিজ জীবনে একবার নয়, শতবার ইহা প্রত্যক্ষ করিয়াছি । -তৃতীয়ত: নিমিত্তদোষ—খাদ্যদ্রব্যে কেশ কীট আবর্জনাদি কিছু পড়িলে তাহাকে খাদ্যের নিমিত্তদোষ বলে । আমাদিগকে এখন এই শেষ দোষটি নিবারণ করিবার বিশেষ চেষ্টা করিতে হইবে । ভারতে আহারে এই দোষটি বিশেষভাবে প্রবেশ করিয়াছে। এই ত্ৰিবিধদোষনিযুক্ত খাদ্য আহার করিতে পারিলে সত্ত্বশুদ্ধি হইবে । তবে তো ধর্মটা বড় সোজা ব্যাপার হইয়া দাড়াইল ! যদি বিশুদ্ধ খাদ্য খাইলেই ধর্ম হয়, তবে সকলেই তো ইহা করিতে পারে । জগতে এমন কে দুর্বল বা অক্ষম লোক আছে, যে আপনাকে এই দোষসমূহ হইতে মুক্ত,করিতে না পারে ? অতএব শঙ্করাচার্য এই আহার-শব্দের কি অর্থ করিয়াছেন, দেখা যাউক । তিনি বলেন, 'আহার’ শব্দের অর্থ ইন্দ্রিয়দ্বারা মনের মধ্যে যে চিস্তারাশি আহত হয়। চিস্তাগুলি নির্মল হইলে সত্ত্ব নির্মল হইবে, তাহার পুর্বে নহে। তুমি যাহা ইচ্ছা খাইতে পারে। যদি শুধু পবিত্র ভোজনের দ্বারা সত্ত্ব শুদ্ধ হয়, তবে বানরকে সারা জীবন দুধভাত খাওয়াইয়া দেখ না কেন, সে একজন মস্ত যোগী হয় কি না । এরূপ হইলে তো গাভী হরিণ প্রভৃতিই সকলের অগ্রে বড় যোগী হইয়া দাড়াইত । ‘নিত নহ নেসে হরি মিলে তো জলজন্তু হোই ফলমূল থাকে হরি মিলে তো বাদুড বান্দরাই তিরন ভথনুসে হরি মিলে তো বহুত মৃগী অজা ইত্যাদি যাহা হউক এই সমস্যার সমাধান কি ? উভয়ই আবশ্যক। অবশ্ব শঙ্করাচার্য আহার-শব্দের যে অর্থ করিয়াছেন, উহাই মুখ্য অর্থ ; তবে ইহাও "সতা যে, বিশুদ্ধ ভোজন বিশুদ্ধ চিম্বার সহায়তা করে । উভয়ের সম্বন্ধ ঘনিষ্ঠ। দুই-ই চাই । তবে গোল এইটুকু দাড়াইয়াছে যে, বর্তমানকালে আমরা শঙ্করাচার্যের উপদেশ ভুলিয়া গিয়া শুধু খাদ্য' অর্থটি লইয়াছি। এই জন্যই যখন আমি বলি–ধর্ম রান্নাঘরে ঢুকিয়াছে, তখন লোকে আমার বিরুদ্ধে খেপিয়া উঠে। কিন্তু ধদি মাদ্রাজে যাও, তবে তোমরাও আমার সহিত একমত হইবে । তোমরা ४ यौम्नछिखन्