পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/২৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সর্বাবয়ব বুেদাস্ত % 8Xy তোমার গুরু হইৰু। আমার পিতা তোমার পিতার গুরু ছিলেন, সুতরাং আমিও তোমার গুরু হইব । গুরু কাহাকে বলে ? এ সম্বন্ধে প্রাচীন বৈদিক মত আলোচনা কর : যিনি বেদের রহস্য জানেন—গ্রন্থকীট, বৈয়াকরণ বা সাধারণ পণ্ডিতগণ গুরু হইবার যোগ্য নহেন—কিন্তু যিনি বেদের যথার্থ তাৎপর্য জানেন, তিনিই গুরু । যথা খরশ্চন্দনভারবাহী ভারস্য বেত্তা ন তু চন্দনস্ত। —যেমন চন্দনভারবাহী গর্দভ চন্দনের ভারই জানে, কিন্তু চন্দনের গুণাবলী অবগত নহে । এই পণ্ডিতেরাও সেইরূপ । ইহাদের দ্বার! আমাদের কোন কাজ হইবে না ।” তাহারা যদি প্রত্যক্ষ অনুভব না করিয়া থাকেন, তবে তাহারা কি শিখাইবেন ? বালক-বয়সে এই কলিকাতা শহরে অামি ধর্মান্বেষণে এখানে ওখানে ঘুরিতাম আর বড় বড় বক্তৃতা শুনিবার পর বক্তাকে জিজ্ঞাসা করিতাম, আপনি কি ঈশ্বর দর্শন করিয়াছেন ? ঈশ্বর-দর্শনের কথায় সে ব্যক্তি চমকিয় উঠিত ; একমাত্র রামকৃষ্ণ পরমহংসই আমাকে বলিয়াছিলেন, “আমি ঈশ্বর দর্শন করিয়াছি।’ শুধু তাহাই নহে, তিনি আরও বলিয়ছিলেন, “আমি তোমাকে তাহার দর্শনলাভ করিবার পথ দেখাইয়া দিব ।’ শাস্থের বিকৃত অর্থ করিতে পারিলেই য়ুথার্থ গুরুপদব{চ্য হওয়া যায় না । বাথৈখরী শব্দঝরী শাস্ত্রব্যাখ্যানকৌশলম | বৈদুষাং বিদুধাং তদ্বভূক্তয়ে ন তু মুক্তয়ে ॥১ —মান প্রকারে শাস্ত্র ব্যাখ্যা করিবার কৌশল কেবল পণ্ডিতদের আমোদের জন্ত, মুক্তির জন্য নহে। ‘শ্রোত্রিয়’—যিনি বেদের, রহস্যবিং, ‘অবুজিন’—নিম্পাপ, ‘অকণমহত’— যিনি তোমাকে উপদেশ দিয়া অর্থসংগ্রহের বাসনা করেন না, তিনিই শাস্ত, তিনিই সাধু। বসন্তকাল আসিলে যেমন বৃক্ষে পত্রমুকুলোদয় হয়, অথচ উহ যেমন বৃক্ষের নিকট ঐ উপকারের পরিবর্তে কোন প্রত্যুপকার চাহে না, কারণ উহার প্রকৃতিই অপরের হিতসাধন, তেমনি পরের হিত করিব, কিন্তু তাহার প্রতিদানস্বরূপ কিছু চাহিব না। প্রকৃত গুরু এইরূপ * তীর্ণা: স্বয়ং ভীমভবার্ণবং জনা: | অহেতুনান্যানপি তারয়ন্তঃ " X বিবেকচুড়াম85. ২ শাস্তাঃ মহাস্ত; নিবসস্তি সস্ত: sు షో, రిసె 輸 বসন্তবশ্লোকহিতং চরস্ত; (—ঐ, ৩৯