পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/২৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& to স্বামীজীর বাণী ও রচনা কৃষ্ণসম্বন্ধে এই বোধ হয় যে তিনি একজন রাজা ছিলেন । ইহা খুব সম্ভব এই জন্য যে, প্রাচীন কালে আমাদের দেশে রাজারাই ব্রহ্মজ্ঞানপ্রচারে উদ্যোগী ছিলেন। আরও একটি বিষয় লক্ষ্য করা আবশ্বক—গীতাকার যিনিই হউন, গীতার মধ্যে যে শিক্ষা, সমুদয় মহাভারতের মধ্যেও সেই শিক্ষা দেখিতে পাই । তাহাতে বোধ হয়, সেই সময় কোন মহাপুরুষ নৃতনভাবে সমাজে এই ব্ৰহ্মজ্ঞান প্রচার করিয়াছিলেন । আরও দেখা যায়, প্রাচীনকালে এক একটি সম্প্রদায় উঠিয়াছে—তাহার মধ্যে এক একখানি শাস্ত্র প্রচারিত হইয়াছে। কিছুদিন পরে সম্প্রদায় ও শাস্ত্র উভয়ই লোপ পাইয়াছে, অথবা সম্প্রদায়টি লোপ পাইয়াছে, শাস্ত্রখানি রহিয়া গিয়াছে । সুতরাং অকুমান হয়, গীতা সম্ভবতঃ এমন এক সম্প্রদায়ের শাস্ত্র, যাহা এক্ষণে লোপ পাইয়াছে, কিন্তু যাহার মধ্যে খুব উচ্চ ভাবসকল নিবিষ্ট ছিল । তৃতীয় প্রশ্ন কুরুপাঞ্চাল-যুদ্ধের বিশেষ প্রমাণ প্রাপ্ত হওয়া যায় না, তবে কুরুপাঞ্চাল নামে যুদ্ধ যে সংঘটিত হইয়াছিল, তাহাতে সন্দেহ নাই। আর এক কথা—যুদ্ধের সময় এত জ্ঞান, ভক্তি ও যোগের কথা আসিল কোথা হইতে ? আর সেই সময় কি কোন সাঙ্কেতিক-লিপি-কুশল ব্যক্তি ( Short-hand writer) উপস্থিত ছিলেন, যিনি সে-সমস্ত টুকিয়া লইয়াছিলেন ? কেহ কেহ বলেন, এই কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ রূপকমাত্র। ইহার আধ্যাত্মিক তাৎপর্য—সদসংপ্রবৃত্তির সংগ্রাম। এ অর্থও অসঙ্গত না হইতে পারে। 甲,头 চতুর্থ প্রশ্ন অজুন প্রভৃতির ঐতিহাসিকতা-সম্বন্ধে সন্দেহ এই যে, শতপথব্রাহ্মণ অতি প্রাচীন গ্রন্থ, উহাতে সমস্ত অশ্বমেধধজ্ঞকারিগণের নামের উল্লেখ আছে । কিন্তু সে স্থলে অজু নাদির নামগন্ধও নাই, অথচ পরীক্ষিৎ জনমেজয়ের নাম উল্লিখিত আছে। এ দিকে মহাভারতাদিতে বর্ণনা—যুধিষ্ঠির অজু নাদি অশ্বমেধযজ্ঞ করিয়াছিলেন । • * #. এখানে একটি কথা বিশেষরূপে স্মরণ রাখিতে হইবে যে, এই-সকল ঐতিহাসিক তত্বের অনুসন্ধানের সহিত আমাদের প্রকৃত উদ্বেশর্থাৎ ধর্মসাধনা