পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/২৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গীতাতত্ত্ব ૨& છે শিক্ষার কোন সংস্রব নাই। ঐগুলি যদি আজই সম্পূর্ণ মিথ্যা বলিয়া প্রমাণিত হয়, তাহা, হইলেও আমাদের বিশেষ কোন ক্ষতি হয় না। তবে এত ,ঐতিহাসিক গবেষণার প্রয়োজন কি ? প্রয়োজন আছে—আমাদিগকে সত্য জানিতে হইবে, কুসংস্কারে আবদ্ধ থাকিলে চলিবে না। এদেশে এ সম্বন্ধে সামান্য ধারণা আছে ৷ . অনেক সম্প্রদায়ের বিশ্বাস এই যে, কোন একটি ভাল বিষয় প্রচার করিতে হইলে একটি মিথ্যা বলিলে যদি সেই প্রচারের সাহায্য হয়, *tolo fog to costs aff, offs. The end justifies the means ; এই কারণে অনেক তন্ত্রে ‘পার্বতীং প্রতি মহাদেব উবাচ দেখা যায়। কিন্তু আমাদের উচিত সত্যকে ধারণা করা, সত্যে বিশ্বাস করা । কুসংস্কার মানুষকে এতদূর আবদ্ধ করিয়া রাখে যে, যীশুখ্ৰীষ্ট মহম্মদ প্রভৃতি মহাপুরুষগণঃ অনেক কুসংস্কারে বিশ্বাস করিতেন । তোমাদিগকে সত্যের উপর লক্ষ্য রাখিতে হইবে, কুসংস্কার সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করিতে হইবে। গীতার বিশেষত্ব এক্ষণে কথা হইতেছে—গীতা জিনিসটিতে অাছে কি ? উপনিষদ আলোচনা করিলে দেখা যায়, তাহার মধ্যে অনেক অপ্রাসঙ্গিক কথা চলিতে চলিতে হঠাৎ এক মহাসত্যের অবতারণা। যেমন জঙ্গলের মধ্যে অপুর্ব সুন্দর গোলাপ—তাহার শিকড় কাটা পাতা সব সমেত । আর গীতাটি কি— গীতার মধ্যে এই সত্যগুলি লইয়া অতি সুন্দরস্কপে সাজানো—যেন ফুলের মালা বা স্বন্দর ফুলের ,তোড়া। উপনিষদে শ্রদ্ধার কথা অনেক পাওয়া যায়, কিন্তু ভক্তি সম্বন্ধে কোন কথা নাই বলিলেই হয় । গীতায় কিন্তু এই ভক্তির কথা পুনঃ পুন: উল্লিখিত আছে এবং এই ভক্তির ভাব পুরিস্ফুট হইয়াছে । এক্ষণে গীতা যে কয়েকটি প্রধান প্রধান বিষয় লইয়া আলোচনা করিয়াছেন, দেখা যাউক । পুর্ব পুর্ব ধর্মশাস্ত্র হইতে গীতার নূতনত্ব কি ? নূতনত্ব এই যে, পুর্বে যোগ জ্ঞান ভক্তি-আদি প্রচলিত ছিল বটে, কিন্তু সকলের মধ্যেই পরস্পর বিবাদ ছিল, ইহাদের মধ্যে সামগ্রস্তের চেষ্টা কেহ করেন নাই। গীতাকার এই সামঞ্জস্তের বিশেম চেষ্টা করিয়াছেন। তিনি তদানীন্তন সমুদয় সম্প্রদায়ের ভিতর যাহা কিছু ভাল ছিল, সব গ্রহণ করিয়াছেন।. কিন্তু তিনিও ষে