পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৩০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভক্তি ఎ సి(t হইয়াছিল, সে উদেশ্ব এখন লোপ পাইয়াছে। কে খাদ্য স্পর্শ করিতে পাইবে, এই বিষয়ে. অবহিত হওয়া প্রয়োজন । ইহার এক অতি গভীর দার্শনিক অর্থ আছে, কিন্তু সাধারণ লোকের প্রাত্যহিক জীবনে এই সাবধানতা রক্ষা করা কঠিন বা অসম্ভব। যে-ভাবটি কেবল ধর্মের জন্য উৎসর্গীকৃতপ্রাণ সাধকের পক্ষেই সম্ভব, তাহ সাধারণের জন্য নির্দেশ করা ভূল হইয়াছে। কেন না, জনসাধারণের অধিকাংশই জড়মুখের আস্বাদে অতৃপ্ত ; এবং তৃপ্তির পুর্বে জোর করিয়া তাহাদের উপর ধর্ম চাপাইয়া দিবার সঙ্কল্প করা বৃথা। ভক্তের জন্য বিহিত উপাসনাপদ্ধতিগুলির মধ্যে মানুষের উপাসনাই শ্রেষ্ঠ । বাস্তবিক যদি কোনরূপ পুঞ্জ করিতে হয়, তাহা হইলে অবস্থাতুযায়ী একটি, ছয়টি বা দ্বাদশটি দরিদ্রকে প্রত্যহ নিজ গৃহে আনিয়া নারায়ণজ্ঞানে সেবা করিলে ভাল হয় । অনেক দেশে দানের প্রথা দেখিয়া আসিয়াছি, কিন্তু উহাতে তেমন স্বফল না হওয়ার কারণ এই যে, উহা যথাযথ ভাবের সহিত অনুষ্ঠিত হয় না। এই নিয়ে যা”—এ-ভাবে দান বা দয়াধর্মের অনুষ্ঠান করা যায় ন, পরস্তু উহা হৃদয়ের অহঙ্কারের পরিচায়ক ; দানের উদ্দেশ্য—জগং যেন জানিতে না পারে যে, দাতা দয়াধৰ্ম করিতেছে। হিন্দুদের অবশ্ব জানা উচিত যে, স্মৃতির মতে—দাত গ্রহীতা অপেক্ষ নিকৃষ্ট ; গ্রহীতা সেই সময় স্বয়ং নারায়ণ, স্বস্তরাং আমার মতে এইরূপ নূতন ধরনের পূজাপদ্ধতি প্রবর্তিত করিলে ভাল হয়—কতিপয় দরিদ্র অন্ধ বা ক্ষুধার্ত নারায়ণকে প্রত্যহ প্রতিগুহে মানয়ন করিয়া প্রতিমার যেরূপ পূজা করা হয়, অৰ্শন-বসন দ্বারা তাহাদের সেইরূপ পূজা কর । পৰু দিবস আবার কতকগুলি লোককে লইয়া আসিয়া ঐরূপে পূজা করা । আমি কোন উপাসনাপ্রণালীর দোষ দিতেছি না, কিন্তু আমার বলিবার অভিপ্রায় এই যে, এইভাবে নারায়ণপুজাই শ্রেষ্ঠ পুজু এবং ভারতের পক্ষে সর্বাপেক্ষা উপযোগী । উপসংহারে আমি ভক্তিকে একটি ত্রিকোণের সহিত তুলনা করিতেছি। ইহার প্রথম কোণ—প্রকৃত ভক্তি বা প্রেম কিছুই চাহে না । প্রেমে ভয় নাই— ইহাই উহার দ্বিতীয় কোণ। পুরস্কার বা প্রতিদানের উদ্দেশ্বে ভালবাসা ভিক্ষুকের ধর্ম, ব্যবসায়ীর ধর্ম, প্রকৃত ধর্মের মুহিত উহার অতি অল্পই সম্বন্ধ। কেহ যেন ভিক্ষুক না হন, কারণ ভিক্ষুকতা নাস্তিকতার চিহ্ন। যে ব্যক্তি গঙ্গাতীরে বসতি করিয়া পানীয় জলের জন্ত কূপ খনন করে, সে মুর্থ