পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৩১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেদাস্ত \4 מס এক বস্তুতে পর্যবঘ্নিত হইয়াছে। সেই দুইটির মধ্যে কি আবার কোনরূপ একত্ব বাহির করা যাইতে পারে ? ইহাদিগকেও কি এক তত্ত্বে পর্যবসিত করা যাইতে পারে? আমাদের আধুনিক বিজ্ঞান এখানে নীরব—কোনরূপ মীমাংসা করিতে পারে নাই, আর, যদি ইহার মীমাংসা করিতে হয়, তবে বিজ্ঞান যেমন প্রাচীনদিগের ন্যায় আকাশ ও প্রাণকেই পুনরাবিষ্কার করিয়াছে, সেইরূপ সেই প্রাচীনদিগের পথেই চলিতে হইবে। আকাশ ও প্রাণ যে এক তত্ত্ব হইতে উদ্ভূত, তিনি সেই সর্বব্যাপী সত্তা, র্যাহার পৌরাণিক নাম ব্রহ্ম।–চতুর্মুখ ব্ৰহ্মা বলিয়া পরিচিভ এবং মনোবিজ্ঞানে র্যাহাকে ‘মহৎ’ বলা যায় । এখানেই উভয়ের মিলন । দার্শনিক ভাষায় যাহা ‘মন’ বলিয়া কথিত হয়, তাহ মস্তিস্করূপ ফাদে আবদ্ধ সেই মহতের কিয়দংশ । মস্তিষ্কের জালে আবদ্ধ ব্যষ্টি-মনের যোগফলকে ‘সমষ্টি মন’ বলা যায়। •o কিন্তু বিশ্লেষণ এইখানেই শেষ হয় নাই, আরও দূরে অগ্রসর হইয়াছিল। আমরা প্রত্যেকে যেন এক একটি ক্ষুদ্র ব্রহ্মাণ্ড, আর সমগ্র জগং একটি বৃহৎ ব্রহ্মাও । আর ব্যষ্টিতে যাহা হইতেছে, সমষ্টিতেও তাহা ঘটিতেছে —ইহা আমরা অনায়াসেই অনুমান করিতে পারি। যদি আমরা আমাদের নিজেদের মন বিশ্লেষণ করিতে পারিতাম, তবে সমষ্টি-মনে কি হইতেছে, তাহাও অনেকট নিশ্চিতরূপে অনুমান করিতে পারিতাম। এখন প্রশ্ন : এই মন কি ? বর্তমানকালে পাশ্চাত্যদেশে জড়বিজ্ঞানের দ্রুত উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে সুীৱবিজ্ঞান যেমন ধীরে ধীরে প্রাচীন ধর্মের একটির পর আর একটি দুর্গ অধিকার করিয়া লইতেছে, পাশ্চাত্য আর দাড়াইবার স্থান পাইতেছে না ; কারণ আধুনিক শরীরবিজ্ঞান প্রতিপদে মনকে মস্তিষ্কের সহিত মিশাইতেছে দেখিয় তাহারা হতাশাগ্রস্ত। কিন্তু ভারতবর্ষে আমরা এ-সব তত্ত্ব বুরাবর জানি । হিন্দু-বালককে প্রথমেই শিখিতে হয়, মন জড়পদার্থ,—তবে স্বক্ষতর জড় । আমাদের এই দেহ স্কুল, কিন্তু এই দেহের পশ্চাতে সূক্ষ্ম শরীর বা মন রহিয়াছে ; ইহাও জড়, কিন্তু সূক্ষ্মতর ; ইহা আত্মা নহে । এই ‘আত্মা’ শব্দটি আমি তোমাদের নিকট ইংরেজীতে অনুবাদ করিয়া বলির্তে পরিতেছি না, কারণ ইওরোপে আত্মাrশব্দের প্রতিপাদ্য কোন ভাবই * নাই ; অতএব এই শব্দের অনুবাদ করা যায় না। জার্মান দার্শনিকগণ আজকাল এই আত্মা-শব্দটি Self-শব্দের দ্বারা অম্বুবাদ করিতেছেন, কিন্তু যতদিন না এই tఉ* a