পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৩৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেদ ख्ठिं Woo হইব, ইহার কোন হেতু নির্দেশ করিতে পারে না। যাহা হউক, এই পর্যন্ত দেখা গেল—একমাত্র অদ্বৈতবাদই নীতিতত্ত্ব ব্যাখ্যা করিতে সমর্থ। অদ্বৈতবাদ-সাধনে লাভ কি ? উহাতে শক্তি তেজ বীর্য লাভ হইয়া থাকে। শ্রুতি বলিতেছেন, ‘শ্রোতব্যে মস্তব্যে নির্দিধাসিতব্যঃ’ –প্রথমে এই আত্মতত্ত্ব শ্রবণ করিতে হুইবে । সমগ্র জগতে তোমরা যে মায়াজাল বিস্তার করিয়াছ, তাহা সরাইয়া লইতে হইবে । মানুষকে দুর্বল ভাবিও না, তাহাকে দুর্বল বলিও না । জানিও, সকল পাপ ও সকল অশুভ এক দুর্বলতা’ শব্দ দ্বারাই নিদিষ্ট হইতে পারে। সকল অসংকার্যের মূল – দুর্বলতা। দুর্বলতার জন্যই যাহা করা উচিত নয়, মানুষ তাহাই করিয়া থাকে ; দুর্বলতার জন্তই মাতুষ তাহার প্রকৃত স্বরূপ প্রকাশ করিতে পারে না । তাহারা কি, এ তত্ত্ব তাহারা সকলেই জামুক। দিবারাত্র তাহারা নিজেদের স্বরূপের কথা বলুক। " "আমিই সেই”—এই ওজস্ব ভাবধারা মাতৃস্তন্তের সঙ্গে তাহারা পান করুক। তার পর তাহারা উহা চিন্তা করুক ; ঐ চিস্তা—ঐ মনন হইতে এমন সব কাজ হইবে, যাহা পৃথিবী কখনও দেখে নাই । কিভাবে উহা কার্ষে পরিণত করিতে হইবে ? কেহ কেহ বলিয়া থাকে— এই অদ্বৈতবাদ কার্যকর নয়, অর্থাৎ জড়-জগতে এখনও উহার শক্তি প্রকাশিত হয় নাই । এই কথা আংশিক সত্য বটে। বেদের সেই বাণী স্মরণ কর : এতদ্ধোবাক্ষরং ব্রহ্ম এতদ্ধোবাক্ষরং পরম্। এতদ্ধোবাক্ষলুং জ্ঞাত্বা যো যদিচ্ছতি তস্ত তৎ ॥২ —ওঁ, ইহা মহারহস্ত । ওঁ—ইহা আমাদের শ্রেষ্ঠ সম্পত্তি। যিনি এই ওঙ্কারের রহস্য জানেন, তিনি যাহা চান, তাহাই পাইয়া থাকেন। অতএব প্রথমে এই ওঙ্কারের রহস্য অবগত হও—তুমিই যে সেই ওঙ্কার, তাহা জানো । এই তত্ত্বমসি’ মহাবাক্যের রহস্য অবগত হও ; তখনই—কেবল তখনই তোমরা যাহা চাহিবে, তাহ পাইবে। যদি জড়জগতে বড় হইতে চাও, তবে বিশ্বাস কর—তুমি বড়। আমি হয়তো একটি ক্ষুদ্র বুদ্বুদ, তুমি হয়তে পৰ্বততুল্য উচ্চ তরঙ্গ, কিন্তু জানিও আমাদের উভয়েরই পিছনে অনস্ত সমুদ্র ೩ ಇ °), 3RIು ೬೨